বাবা-ছেলের কোম্পানির
ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন সাতক্ষীরার ৭০০ আমানতকারী। মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির
ঋণের বেশির ভাগই রয়েছে কর্তৃপক্ষের স্বজনদের কাছেই। জমার মূল টাকা তো হারিয়েছেনই, মাসিক
মুনাফা পেতেও প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে গ্রাহকদের, তবুও সুরাহা হয়নি।
২০০৩ সালে মার্চেন্ট
কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড যাত্রা শুরু করে সাতক্ষীরায়। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মামুনুর রশিদ ও চেয়ারম্যান তার পুত্র আহসানুর রশিদ। পরিচালনা পরিষদের সদস্যও
তাদেরই আত্মীয়স্বজনদের ৬ জন। এখানে টাকা জমা রাখলে শতকরা ১৮ থেকে ২০ শতাংশ মুনাফা দেওয়ার
প্রলোভন দেখায় কর্তৃপক্ষ। এভাবে সংগ্রহ করা হয় ১১ কোটি টাকারও বেশি। প্রথমে কয়েক বছর
ঠিকভাবে মুনাফা দিয়ে আসলেও সম্প্রতি টালবাহানা শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
তবে সোসাইটির
চেয়ারম্যান আহসানুর রশিদের দাবি, করোনার কারণে লেনদেনে সমস্যা দেখা দিলেও দ্রুত সমাধান
হয়ে যাবে।
আমানতকারীদের
অভিযোগ, সোসাইটির এমডি মামুনুর রশিদের কাছে দুই কোটি ৩০ লাখ ও তার পুত্র চেয়ারম্যান
আহসানুর রশিদের কাছে এক কোটি ২৫ লাখসহ চেয়ারম্যানের ভাই মেহেবুবার রহমানের কাছে ৭০
লাখ, বোন তানিয়ার কাছে ৫০ লাখ, মাতা হোসনেয়ারা বেগমের কাছে ৫ লাখ ও শাশুড়ির কাছে ১৯
লাখ টাকা রয়েছে। এতে অর্থ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন গ্রাহকরা।
ঋণ নেওয়ার কথা
স্বীকার করেন অভিযুক্তরা। আর অভিযোগ লিখিতভাবে করার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক এস এম
মোস্তফা কামাল।