বাবা অভিভাবক, বন্ধু, সুরক্ষাদাতা, শিক্ষক
এবং কখনও কখনও প্রিয় ব্যক্তিত্ব। সন্তানের মঙ্গলের জন্য তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেন, জলাঞ্জলি
দেন নিজের আকাঙ্ক্ষা। বাবার এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা উদযাপন করতেই প্রতি বছর জুনের তৃতীয়
রোববার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় বাবা দিবস। এ বছর ২০ জুন, অর্থাৎ আজ বিশ্ব বাবা দিবস।
বিশেষ এই দিনে আপনি চাইলেই বাবার জন্য
বিশেষ কিছু করতে পারেন, যা তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করবে। ভারতের জীবনধারা
ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এমন কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আসুন, আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই—
সারা দিন বাবার সঙ্গে কাটান-
বাবা দিবস উদযাপনের অন্যতম সেরা উপায় হলো,
এ দিনে তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো। বাবাকে নিয়ে বাইরে ভ্রমণেও যেতে পারেন। বাবার সঙ্গে
নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারেন। শুনতে পারেন তাঁর অনুভূতি।
বাবার জন্য বিশেষ রান্না-
এমন দিনে বাবার জন্য বিশেষ রান্না করুন।
আপনি তো জানেন, বাবার কোন খাবার পছন্দ। সেই খাবারই তৈরি করুন এবং দিনটিকে স্মরণীয় করে
রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।
বাবাকে উপহার দিন-
সারা জীবনই সন্তানের সব আবদার যথাসাধ্য
পূরণের চেষ্টা করেছেন বাবা। বাবা দিবসে আপনি কি তাঁর জন্য সুন্দর জামা বা টি-শার্ট
উপহার দিতে পারবেন না? এক জোড়া জুতা, ঘড়ি বা চশমাও উপহার দিতে পারেন। বাবা সন্তানের
কাছ থেকে তেমন প্রত্যাশা না করলেও আপনার উপহার বাবাকে উজ্জীবিত করবে।
বাবার সঙ্গে প্রিয় সিনেমা দেখুন-
আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বাবার প্রিয় সিনেমা
কোনটি। বিশেষ এই দিনে আপনি তাঁর সঙ্গে সেই সিনেমাটি দেখতে পারেন। অথবা তাঁর প্রিয় কোনো
টিভি শো দেখতে পারেন। এমনও হতে পারে, আপনিই একটি প্রিয় সিনেমা নির্বাচন করলেন এবং বাবার
সঙ্গে বসে দেখলেন।
স্মৃতিচারণ করুন-
বাবার পাশে বসে বাবার হাত ধরে ফিরে যান
সেই ছেলেবেলায়। এর পর ধীরে ধীরে জীবনের প্রিয় মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিন। আমরা নিশ্চিত,
বাবার মন ভালো হয়ে যাবে।
ভবিষ্যতের ভাবনা ব্যক্ত করুন-
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাবার সঙ্গে ব্যক্ত
করা কিছু কঠিন। কিন্তু আপনি যদি তা ভাগ করেন, বাবার ভেতরে বিশেষ অনুভূতি এনে দেবে।
এর কারণ হচ্ছে, যখন আপনি নিজের ভবিষ্যৎ-ভাবনা ভাগ করবেন, তার মানে দাঁড়াবে বাবার কাছে
আপনি খোলা মনের। বাবার পরামর্শ আপনার পাথেয়।
পৃথিবীর সব ঝড়-ঝঞ্ছা থেকে আগলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন যে মানুষটি, তিনি বাবা। বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা এমন একটি বিষয়, যেটি বলার জন্য কোনো বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তবুও পালন করতে পারেন একটি দিন একেবারে বাবাকে উৎসর্গ করে।