আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়ে 'অপহরণ' নাটক, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবাস ফেরত বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে নিজের সাত বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাবা।

বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত রোববার বিকেলে সামিরা জাহান পপি নামের এক নারী তার সাত বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করছে জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শ্রীপুর থানার একাধিক টিম শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে অভিযানে নামে। পরে এই অপহরণের সাথে বারার সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর ছেলেকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন বাবা। গ্রেফতার বাবা কামরুজ্জামান (২৯) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চর কামারিয়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছে। সহযোগী আনোয়ার হোসেন (৩০) নেত্রকোণা জেলার সুসংদুর্গাপুর গ্রামের মো. দুলালের ছেলে। কামরুজ্জামান তার সহযোগীদের নিয়ে সাত বছর বয়সী ছেলে আফনানকে অপহরণ করে মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে দুই লাখ মুক্তিপণ চেয়েছিল। পরে কামরুজ্জামানের দেয়া তথ্য মতে সহযোগী রিপনের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিশু আফনানকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে থাকা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ জানান, সাকিবকে অপহরণের পর বিকাশে আদায় করা মুক্তিপণ শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতাল এলাকায় একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা হয় বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে ওই বিকাশের দোকান থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শিশুর বাবা কামরুজ্জামানের উপস্থিতি পায় পুলিশ। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সে সাকিবকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের দায় স্বীকার করে নিলেও ছেলে অপহরণের কথা স্বীকার করছিল না। পরে তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখালে তখন সে প্রবাস ফেরত বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই নিজের ছেলেকে অপহরণ করে। শিশু আফনানকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে সহযোগী রিপনের বাড়িতে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



বিনা টিকিটে কেউ রেল ভ্রমণ করতে পারবে না: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রীরা ট্রেনে করে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারবেন। এবার ঈদে সব টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে, যারা অনলাইনে টিকেট নিতে পারেননি তাদের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিনা টিকিটে কেউ রেল ভ্রমণ করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, টিকিট তদারকি করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সতর্ক ও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গন্তব্যে যাতে সময় মতো ট্রেন চলাচল করে সে জন্যও আগে থেকেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফিরতি যাত্রাও যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয় সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা স্টেশনসহ প্রায় প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ২০০ বগি কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, রেলের দুর্নীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি সামনে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কমলাপুর স্টেশনে মাল্টিপল হাব নির্মাণ করা হবে। এর কার্যক্রম শুরু হলে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না।

ঢাকা স্টেশন পরিদর্শন এবং মতবিনিময়কালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তাপমাত্রা বাড়তে পারে তিন বিভাগে

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের তিন বিভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। এতে রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলা ও ঈশ্বরদীতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ গতকাল জানান, বুধবার তাপমাত্রা মঙ্গলবারের মতোই থাকতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে।


আরও খবর



৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী মাসে ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করছে আর্জেন্টিনা। মূলত রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।

গত মঙ্গলবার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম অব আমেরিকাসের ল্যাটাম ফোরামে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন জাভিয়ের মিলেই।

চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের বাইরেও জনসাধারণের বিভিন্ন কাজ জব্দ করণসহ প্রাদেশিক সরকারের কিছু তহবিল বন্ধ করে দেওয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ২ লাখেরও বেশি সামাজিক কল্যাণ পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বলে জানান তিনি। মিলেই তার বক্তৃতায় দেশে ২৭৬ শতাংশ বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে মজুরি এবং পেনশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় প্রায় ৩৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছে। এর মধ্যে ৭০ হাজার ছাঁটাই করা হলে তা হবে খুবই সামান্য। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এরই মধ্যে কর্মচারীদের সংগঠন ধর্মঘটে গিয়েছিল। ফলে মিলেই সরকার যদি আরও কর্মচারী ছাঁটাই করতে চান, তাহলে ধারণা করা হচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে আরও বাধার মুখোমুখি হবেন।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ডানপন্থী উদারবাদী রাজনীতিবিদ মিলেই। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মিলেই আর্জেন্টিনায় নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনার ঘোষণা দেন তিনি।

নির্বাচনের আগে মিলেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতিকল্পে বেশ কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থনৈতিক শক থেরাপির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া, মুদ্রা হিসেবে পেসোকে বাতিল বা সংস্কার করা এবং সরকারি ব্যয় কমানো। তার এসব প্রতিশ্রুতি অর্থনৈতিক কারণে সংক্ষুব্ধ থাকা ভোটারদের অনুরণিত করেছিল, যা তার জয়ের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।


আরও খবর



মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



জাতির জনকের সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈতৃক বাড়ি ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থান সমূহ পরিদর্শন করেন।

পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বশক্তি নিয়োগ কথা উল্লেখ করে চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষায় বিশ্বমান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। এসময় তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চিকিৎসাসেবায় স্টেট অব আর্ট খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে দ্রুত চালুর ঘোষণা দেন।

এ সময় সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অধ্যাপক ডা. এইচএম জহিরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. তোহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, স্বাচিপ নেতা সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন, অতিরক্তি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, ডা. জাহান শামস নিটোল, ডা. সমরেশ চন্দ্র সাহা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আলবেলী অফিফা, উপাচার্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান আসিফ মোহাম্মদ নূর, কন্যা জারা দীন নূর,  একান্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম পলাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার, আইন কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ, স্বাচিপ এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক এর পিতা হলেন মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা আফজালুন্নেছা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ৫ সন্তানের পিতা। তাঁর সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন-পুত্র দীন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রিসাত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট জাদিত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট তৌসিফ মোহাম্মদ নূর এবং একমাত্র কন্যা স্টুডেন্ট জারা দীন নূর। তাঁর সহধির্মিনী হলেন মিসেস রোজিনা হক। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়া ও মিরাপাড়া গ্রামে।

 তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), রয়েল আলেকজান্দ্রা হাসপাতাল, পেইজলী, ইউকে থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৮১ সালে চকুরীতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি অধ্যাপক (চক্ষু), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, অধ্যাপক (চক্ষু), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, লাইন ডাইরেক্টর, ন্যাশনাল আই কেয়ার (জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচী), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে শিক্ষকতাসহ দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর