আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়ে 'অপহরণ' নাটক, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবাস ফেরত বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে নিজের সাত বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাবা।

বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত রোববার বিকেলে সামিরা জাহান পপি নামের এক নারী তার সাত বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করছে জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শ্রীপুর থানার একাধিক টিম শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে অভিযানে নামে। পরে এই অপহরণের সাথে বারার সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর ছেলেকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন বাবা। গ্রেফতার বাবা কামরুজ্জামান (২৯) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চর কামারিয়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছে। সহযোগী আনোয়ার হোসেন (৩০) নেত্রকোণা জেলার সুসংদুর্গাপুর গ্রামের মো. দুলালের ছেলে। কামরুজ্জামান তার সহযোগীদের নিয়ে সাত বছর বয়সী ছেলে আফনানকে অপহরণ করে মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে দুই লাখ মুক্তিপণ চেয়েছিল। পরে কামরুজ্জামানের দেয়া তথ্য মতে সহযোগী রিপনের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিশু আফনানকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে থাকা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ জানান, সাকিবকে অপহরণের পর বিকাশে আদায় করা মুক্তিপণ শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতাল এলাকায় একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা হয় বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে ওই বিকাশের দোকান থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শিশুর বাবা কামরুজ্জামানের উপস্থিতি পায় পুলিশ। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সে সাকিবকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের দায় স্বীকার করে নিলেও ছেলে অপহরণের কথা স্বীকার করছিল না। পরে তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখালে তখন সে প্রবাস ফেরত বাবার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই নিজের ছেলেকে অপহরণ করে। শিশু আফনানকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে সহযোগী রিপনের বাড়িতে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।


আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইআইইউয়ের প্রতিবেদন

২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই তালিকায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়াও স্থান পাবে। ফলে চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইআইইউ বলছে, বাংলাদেশের বাজারের আকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গাড়ির কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি করা হয়েছে মূলত চীনের বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশগুলো আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে, তার সম্ভাবনার নিরিখে। চীনের বহুল আলোচিত অঞ্চল ও পথোদ্যোগ দ্বিতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। সে উপলক্ষে এই প্রতিবেদন দিয়েছে ইআইইউ।

আরও পড়ুন>> মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে ৩০০

র‌্যাঙ্কিং করেছে ইআইইউ। সেই র‌্যাঙ্কিং বা ক্রমতালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ। এক দশক আগে ২০১৩ সালেও এমন একটি র? যাঙ্কিং করা হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২তম। অর্থাৎ গত এক দশকে চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, ১০ বছরে ৫২তম স্থান থেকে ১২তম স্থানে উঠে আসা তার প্রমাণ।

এই ক্রমতালিকার আবার কিছু উপবিভাগও আছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য কোন দেশগুলো। সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিসর, ভারত ও তানজানিয়া।

এরপর সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে কোন দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে- সেই তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে, অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর; এরপর আছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও মিসর।

তবে আরেকটি উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। সেটা হলো- যেসব দেশের সুযোগ বেশি যদিও ঝুঁকি কম, এই তালিকায় বাংলাদেশের পরে আছে যথাক্রমে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিসর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল।

এরপর বিনিয়োগের যেসব গন্তব্যে দেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি সেই দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় সবার ওপরে আছে ভারত; এরপর আছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ব্রাজিল ও তাইওয়ান। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

বিষয়টি হলো, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। দেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীও অনেক বড়। আগামী এক দশকে দেশে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর আকার পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরাই এই বাজার ধরতে চান।

এ বাস্তবতায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ইআইইউ

আরও খবর



‘নির্ধারিত দামে বিক্রি না হলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে’

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় আলু উৎপাদনকারী জেলা রংপুরে পণ্যটির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির কারণ সরেজমিন দেখতে এসে রংপুর নগরীর উত্তম হাজিরহাট এলাকায় হিমাগারে অভিযানে নেতৃত্ব দিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।

এ সময় হিমাগারের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম লেবু এবং সিন্ডিকেট আলু ব্যবসায়ী রাসেলকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।

আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে বেঁধে দেওয়া ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি না হলে, সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে, ডিমের মতো আলু আমদানির জন্যও সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার রংপুর নগরীর উত্তম হাজীরহাট এলাকায় আরমান কোল্ড স্টোরেজে বিপুল পরিমাণ আলু অবৈধভাবে গুদামজাত করে রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছি। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। জনগণকে জিম্মি করে আলুর বাজার অস্থির করে মুনাফা করবেন, তা বরদাশত করা হবে না। আমরা আরও তিন-চার দিন দেখবো, তারপর আলু আমদানির জন্য সুপারিশ করবো।

তিনি বলেন, এই আরমান কোল্ড স্টোরেজে রাসেল নামে এক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা এবং স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১২ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রাখা আইনত অপরাধ এবং আলুর বাজার অস্থির করে রাখার একটা সুগভীর চক্রান্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটিরও বেশি টাকা ঋণ নিয়ে নাকি কৃষকদের দিয়েছে। কী উদ্দেশ্যে তারা ঋণ নিয়ে কৃষকদের দিয়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে আলু ব্যবসায়ী রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেট চক্র আলু কোল্ডস্টোরে জমা করে কী করেছে, কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিলবিস্তারিত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, আমরা সরেজমিন দেখেছি, আরমান কোল্ডস্টোরেজে এখনও পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে। আলু বের করার সময় আর মাত্র দেড় থেকে দুই মাস বাকি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আলু কোল্ডস্টোরেজ থেকে বের করা না হলে পচে যাবে। তারপরও কেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে স্টোরে মজুত রেখেছেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আলুর কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বেশি পাওয়ার জন্য মজুত করে রাখা হয়েছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।

তিনি কোল্ডস্টোরেজ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অভিযান পরিচালনাকালে তার সঙ্গে ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা অধিদফতর ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিউজ ট্যাগ: আলু

আরও খবর
ধামরাইয়ে ৩০ লিটার চোলাই মদসহ আটক ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পরিবারের সদস্যদের সামনে ৩ নারীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পরিবারের সদস্যদের সামনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন নারী। অজ্ঞাত চারজন পুরুষ বাড়িতে ঢুকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ভারতের হারিয়ানা রাজ্যের পানিপথ গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্তরা ছুরি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। চারজন পুরুষ বাড়িতে ঢুকে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বেঁধে ফেলে। পরে তিন নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করার পর অভিযুক্তরা তাদের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারও ছিনিয়ে নেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, একই গ্রামে আরেকটি ঘটনা বুধবার গভীর রাতে ঘটেছিল। এক বাড়িতে ঢুকে অসুস্থ নারীর ওপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। পরে আহত নারীর মৃত্যু হয়। এ সময় তার স্বামী আহত হন। এ ঘটনাটি ঘটে গণধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ওই দম্পতির বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। দ্বিতীয় ঘটনায় একই ব্যক্তিরা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ টাকা ও তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়।

পানিপথের মাতলাউদা থানার স্টেশন হাউস অফিসার বিজয় বলেন, দুটি ঘটনা একই গ্রামে ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।


আরও খবর



‘মৎস্য খাতে ই-সার্টিফিকেশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা’

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য আমদানি-রপ্তানিতে ই-সার্টিফিকেশন চালু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে মৎস্য অধিদপ্তরের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মৎস্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্প যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বাংলাদেশের মৎস্য খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের জন্য আমাদের সব খাতকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মৎস্য খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত থেকে খাবারের একটি বড় অংশের চাহিদা মেটে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে উপাদান দরকার তার একটি অংশ মাছে রয়েছে। মাছ বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি বিশ্বের ৫২ টি দেশের মাছ রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানিকৃত দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের চমৎকার উন্নয়ন হচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতকে গতানুগতিক রেখে সনাতনী পদ্ধতিতে পরিচালনা করলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব দেশের সাথে আমাদের মাছ আমদানি ও রপ্তানির সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের চাহিদা পূরণ যথাযথভাবে করতে গেলে ই-সার্টিফিকেশনের স্মার্ট পদ্ধতি আমাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে মূহুর্তের ভেতর ঝামেলাহীনভাবে সেবা প্রদান করে গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করা যাবে, অনুরূপভাবে সময়ের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্তরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। একইসাথে এ খাতে দেশে ও দেশের বাইরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, বরং অনেক দেশের কাছে শিক্ষণীয়। সে জন্য দেশের প্রতিটি খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস অধিদপ্তর কাজ করছে।

তিনি যোগ করেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে যা দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছে। এজন্য রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক মৎস্য সেক্টর তৈরির জন্য নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা হলো। এক্ষেত্রে মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্তদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সবসময় সবার ভালো লাগেনা। যখনই বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলে, তখন একটি শ্রেণি আছে যারা ক্ষমতার হালুয়া রুটি ভাগ করার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন তারা অগ্নি সন্ত্রাস, পেট্রোল সন্ত্রাস করে অথবা অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায় কিনা, সে প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এখন হুট করে অনির্বাচিত কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারে না। মানুষের ভোটে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। সে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ প্রক্রিয়া যারা ধ্বংস করতে চায় তারা দেশের হোক বা দেশের বাইরের হোক তা বাংলাদেশের শান্তিকামী সাধারণ মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে সারাহ গিলেস্কি। অনুষ্ঠানের কো-চেয়ার ছিলেন ইউএসডিএ-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাইকেল জে. পার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মৎস্য এবং মৎস্যজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজিকরণের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় ই-সার্টিফিকেশন সিস্টেম ও ল্যাবরেটরী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মৎস্য ও মৎস্যজাত উপকরণের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে ২০ টি লাইসেন্স ও সার্টিফিকেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদান করা হবে। ফলে মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারের কর্মপদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এই উদ্যোগ মৎস্য ও মৎস্যজাত উপকরণের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যয় সংকোচন এবং স্বচ্ছতা ও গতি বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



শেষ ধাপে একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তৃতীয় ধাপের আবেদন আজ থেকে শুরু হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://xiclassadmission.gov.bd) ঢুকে আবেদন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ দেয়া হবে আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর। এরপর সময়সীমা না বাড়ানো হলে আর কারও আবেদন এবং কলেজে ভর্তির সুযোগ থাকবে না।

একাদশ শ্রেণিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি শুরু হয়, চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর থেকে। এ বছর সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেও কলেজ পাননি ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন জিপিএ-৫ পাওয়া ২ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীও। কলেজে ভর্তি হতে তাদের পুনরায় তৃতীয় বা শেষ ধাপে আবেদন করতে হবে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হিসাবে এখনও সাড়ে ৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবছর পাস করেন ১৬ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে পাস করেছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী।


আরও খবর