আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে শেন ওয়ার্নের মেয়ের আবেগঘন চিঠি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেন ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুর দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ সোমবার। মৃত্যুর এই দিনটিতে অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে স্মরণ করেছেন সাবেক সহকর্মী ও ভক্তরা। বাবাকে স্মরণ করে একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন ওয়ার্নের কন্যা ব্রুকও।

বিশ্বখ্যাত স্পিনারের তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় হলেন ব্রুক। মৃত বাবার উদ্দেশে তিনি লিখেছেন আজ দুই বছর, ডেড। তোমাকে ছাড়া এটি সবচেয়ে ধীর এবং দ্রুততম দুই বছর ছিল। এখানে আমাদের সঙ্গে তুমি শিশুদের মতো ছিলে এবং পিকি ব্লাইন্ডারের নতুন মৌসুম কতটা ভালো তা নিয়ে কথা বলতে। তুমি বাড়িতে এলে পরের পর্ব আমরা একসঙ্গে দেখব। তোমাকে ছাড়া এখানে জীবনের কোনো মানে নেই। আমরা প্রতিদিনই তোমাকে গর্বিত করার চেষ্টা করছি। তোমার কথা খুব মনে পড়ে। তোমাকে ভালোবাসি চিরকাল।

২০২২ সালে ৪ মার্চ থাইল্যান্ডে শেন ওয়ার্নকে মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করেছিলেন তাঁর বন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার অ্যান্ড্রু নিওফিতো। দুজন একসঙ্গে একটি পানীয় আড্ডা এবং রাতের খাবার খাওয়ার কথা ছিল সেদিন। অচেতন ওয়ার্নের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁকে সিপিআর দিয়েও কোনো ফল পাননি নিওফিতো।

ওয়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, শেনকে অচেতন অবস্থায় তাঁর ভিলায় পাওয়া গেছে। মেডিকেল কর্মীদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

ওয়ার্নের ম্যানেজার জেমস এরকসাইন জানিয়েছিলেন, ফক্স ক্রিকেটের সঙ্গে পুরো গ্রীষ্ম অ্যাশেজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পর তিন মাসের ছুটি পেয়েছিলেন ওয়ার্ন। ছুটি কাটাতেই তাই থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি।

ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, আমরা সবাই ওয়ার্নিকে দেখে বড় হয়েছি। তাকে আদর্শ মেনেছি। আমাদের সবার দেওয়ালে তার পোস্টার ছিল। তার কানে ছিল দুল।


আরও খবর



নাফ নদী থেকে ১০ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

দেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজারের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশের ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা।

বুধবার (১ মে) সকালে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আরকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদীতে মাছ শিকাররত অবস্থায় ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানবীর হোসেন বলেন, গত রাত একটার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই বিজিবির হস্তক্ষেপে অপহৃতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

অপহরণের শিকার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের জানে আলম, আবদুর রহিম, আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আইয়ুবুল ইসলাম, শাহীন।

আরও রয়েছেন- চার নম্বর ওয়ার্ড গৌজঘোনা এলাকার আবদুর রহিম প্রকাশ আবদুর রহমান, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের টিবনিয়া এলাকার ওসমান গণি, ওসমান ও আবুল হাশিম।


আরও খবর



জয়পুরহাটে আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় শুনে আসামী পক্ষ অজ্ঞান হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামকে আসামীরা শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পারিবার পুরাতন কবরে লাশ লুকিয়ে রেখে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়রা ওই কবরে জীবজন্তু খাওয়া অবস্থায় তার লাশের পা দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মোঃ শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৮ বিমানে দেশে পৌঁছে ওই আট বাংলাদেশির মৃতদেহ। বিমানবন্দর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় নৌকায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তিউনিসিয়া উপকূলে গেলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় মোট ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন এবং নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তাদের মধ্যে পাঁচ জন মাদারীপুরের এবং তিন জন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুই জন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, ওই আট জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২ এর ৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের দুদিন পর তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে সজলকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সজল ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হন। গত বছর ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জের বাসায় যুবরাজ কাজীর হাতে আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর সজলকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সজল।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেন সুনীল বৈরাগী। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। পরে গণমাধ্যমে জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই আট জনকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।


আরও খবর