আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাড্ডায় বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহত ২, দগ্ধ ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর বাড্ডার ১০০ ফিট এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি লাগানোর সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সোমবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতরা হলেন- জুয়েল শিকদার (৩০) ও শহিদুল ফকির (২৫)। এ ছাড়া আহত হয়েছেন- শাকিল (৩২) ইলিয়াছ (৩১) ও রেজাউল (৩০)। আহত তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

নিহত জুয়েল পটুয়াখালীর বাউফল থানার যৌতা গ্রামে আলাউদ্দিন ফকিরের ছেলে। এছাড়া নিহত শহিদুল একই থানার আদাবাড়িয়া গ্রামের মোতালেব শিকদারের ছেলে। তারা যাত্রাবাড়ী মীরহাজিরবাগ এলাকায় থাকতেন।

শহিদুলের আত্মীয় বাচ্চু শিকদার বলেন, তারা দু’জন লেবারের কাজ করতো। বাড্ডা ১০০ফিট এলাকায় সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এমএস করপোরেশনের মাধ্যমে কাজ করছিল তারা। রাতে বিদ্যুতের খুঁটি মাটিতে পোতার সময় তারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।’

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজদ জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে বাড্ডা ১০০ ফিট এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি লাগানোর সময় পাঁচ ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জন মারা যায়। বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ তিনজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



মিয়ানমারে সংঘাত: উখিয়া সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ারুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতের বিল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।

এ নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি হলো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জলপাইতলী এলাকায় ওপারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে দুজন নিহত হন। এদের একজন বাংলাদেশি নারী ও অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

গুলিবিদ্ধ আনোয়ারুল এক মাসেরও বেশি চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যায় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন>> পাঁচ দিনের মাথায় উৎপাদনে ফিরছে এস আলমের চিনিকল

তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল অস্ত্র নিয়ে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই দিন পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্রধারী ২৩ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে তাঁরা গুলি ছোড়েন।

গুলিতে আনোয়ারুলসহ পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আনোয়ারুল ইসলামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানো হয়। আনোয়ারুল ইসলাম তিন সন্তান রয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘাত চলে আসছে। এ সংঘাতের জেরে প্রায় প্রতিদিন গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে এপারের সীমান্তঘেঁষা বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে আছেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১০ মার্চ) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।

ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।


আরও খবর



সন্তান প্রসবের পর মারা গেলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এক সময় বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত ছিলেন রাজিয়া খাতুন। বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন বছর চারেক আগে। এরপর ঘরোয়া লিগ খেলেছেন। নারী ফুটবলের সেই পরিচিত মুখ রাজিয়া আর নেই। প্রসবকালীন জটিলতায় আজ ভোরে পৃথিবী ছেড়েছেন তিনি। তার সতীর্থ ফুটবলার ও ফুটবলসংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফুটবলসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, গতকাল (বুধবার) রাতে রাজিয়া সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। সেই রক্তক্ষরণেই প্রাণ হারিয়েছেন রাজিয়া। রাজিয়ার মৃত্যুতে দেশের ফুটবলে নেমে এসেছে গভীর শোক।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। তাই রাজিয়াকে খুব কাছ থেকেই চেনেন দেশের নামী এই কোচ। রাজিয়ার মৃত্যুর খবরে স্মৃতিচারণ করে ছোটন বলেন, ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে এএফসি অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে রাজিয়া খেলেছিল। পরের বছর সাফ অ-১৮ ভুটানের চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিল। সিনিয়র দলে ক্যাম্পও করেছে কিছু দিন। পারফরম্যান্স অবনতির জন্য ২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে।

রাজিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে খুবই ব্যথিত জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ সানজিদা আক্তার। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে এখন আছেন ভারতে। সেখান থেকেই ব্যথিত কণ্ঠে বলেন, আমাদের ক্যারিয়ার একই সময়েই শুরু মূলত। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর ও লিগ খেলেছে এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেছে। বাচ্চা হওয়ার মুহূর্তে ও মারা গেছে শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আমরা একজন বন্ধু হারালাম।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের প্রেক্ষাপটে বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর আবার ফিরে আসা কঠিন। লিগ অনিয়মিত এবং এত দিন ফিটনেস ধরে রাখাও কষ্ট। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পরেও ফুটবলের সঙ্গে ছিল। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কাচারিপাড়া দুই দলে গত দুই লিগ খেলেছিলেন রাজিয়া। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জুবায়ের বলেন, এক মৌসুম আগের লিগে আমাদের দলে খেলেছে রাজিয়া। সাতক্ষীরায় তার বাড়ি। আমাদের সাবেক খেলোয়াড়ের প্রসবকালীন মৃত্যুতে আমরা খুবই ব্যথিত।

২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম নেয়া রাজিয়া বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উত্থানের শুরুর দিকের একজন। এএফসি অ-১৪ রিজিওনাল (সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ এশিয়া) চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৩ ও ১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন তিনি৷ এরপর অ-১৬ ও অ-১৯ দলেও খেলেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে ৪০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

মাহে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন। এ সময় প্রতি পিস তরমুজ ৪০০ টাকা বিক্রি করলেও ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভোক্তাদের ন্যায্য দামে তরমুজ কিনতে দেখা যায়।

রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে  উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার, মালঘর বাজার, রাংগাদিয়া সিইউএফএল বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এদিকে মূল্য তালিকা না রাখা, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করাসহ অন্যান্য অপরাধে ২৪টি মামলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫'শ  টাকা জরিমানা করা হয়। এবং নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করতে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়।

এতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইশতিয়াক ইমন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন এবং আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন ছিলেন।

অভিযানের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইশতিয়াক ইমন বলেন, বেশি দামে মাংস বিক্রি করায় মাংস ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মূল্য তালিকা না রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৪টি মামলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫'শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়।এই অভিযান অব্যাহত থাকবে জানান তিনি।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার পরিবার। একইসঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদনও করা হয়েছে।

তবে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর নির্বাহী আদেশে খালেদার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আবার ৬ মাস বাড়ানো হতে পারে।  সোমবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আবেদন হাতে পেলেও এখনো ভালোভাবে পড়ে দেখার সুযোগ তার হয়নি। ফাইল পড়ে দেখে মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না। তাকে বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছিলাম। ডাক্তার তাকে চিকিৎসাও করেছিলেন, ডাক্তার তাকে সুস্থও করেছেন। খালেদা জিয়ার এবারের মেয়াদ ছয় মাস হয়, নাকি আরও বেশি হয়, সেটা জানার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

গত ৬ মার্চ পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।

আবেদন পত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। সোমবার সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি করার আইনি সুযোগ আছে, কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি বা অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নাই।

আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্ত। তাকে দুটো শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। তাকে কিন্তু চলাফেরা বা চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনুমতি নিতে হয় না এবং তিনি অনুমতি নেনও না। সেই ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে আবার মুক্তির কথা বলাটা একটু ইরিলেভেন্ট।

কেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না, সেই প্রশ্নে পুরোনো ব্যাখ্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পারছি না। বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তারপর প্রতিবারই তারা প্রথম যে চিঠি লিখেছিল সেই আকারেই আবেদন করছে।

সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, সরকারপ্রধান মানে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি যেহেতু এটা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন, এখন এটা পরিবর্তন করার আইনি কোনো বিধান নেই। সরকার প্রধানকে আইনের ভেতরে থেকে মানবিক বিবেচনা করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি মানবিক কারণ দেখাতে পারবেন না। প্রথম বার থেকেই মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন (নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি) দেওয়া হচ্ছে। এখন সেই মেয়াদ বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটা কিন্তু মানবিক কারণেই হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।


আরও খবর