ইরাকের রাজধানী
বাগদাদের একটি হাসপাতালে আগুন লেগে কমপক্ষে ২৭ জন রোগী নিহত হয়েছে। হাসপাতালটিতে নভেল
করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার রাতে বাগদাদের ইবনে খাতিব হাসপাতালের
ওই অগ্নিকাণ্ডে আরও অন্তত ৪৬ জন আহত হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানায়।
অক্সিজেন ট্যাংক
বিস্ফোরণে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
মু্স্তাফা আল খাদিমি এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই দুর্ঘটনার কারণ
জানতে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরাকের বেসামরিক
প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল খাদিম বোহান রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,
‘হাসপাতালটির নিবিড়
পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আগুনের সূত্রপাত হয়। ফুসফুসের চিকিৎসার জন্যই ওই আইসিইউটি
ব্যবহার করা হতো। এ পর্যন্ত ১২০ জন রোগীর মধ্যে ৯০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা
এএফপিকে হাসপাতালের এক সূত্র জানায়, ওই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে প্রায় ৩০ জন রোগী
ছিলেন। কোভিড-১৯ গুরুতর আক্রান্তদের জন্য ওই ইউনিটটি সংরক্ষিত ছিল। আহত এবং অন্য রোগী
যারা আহত হয়নি তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা
হয়েছে।
ইরাকের বেসামরিক
প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, রোববার ভোর নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ইরাকের হাসপাতালগুলো
করোনাভাইরাস মহামারির ধকল সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ, অবহেলা
ও দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে এমনটা হয়েছে।
ইরাকে গত ফেব্রুয়ারি
থেকে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং চলতি সপ্তাহে দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মহামারি
শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্ত এবং
১৫ হাজার ২১৭ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে।
দেশটিতে গত মাসে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে এবং এরই মধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই টিকাদানের বৈশ্বিক কর্মসূচি কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া।