আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বাগেরহাটে ৪৯৪ তম ফায়ার স্টেশনের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের অংশ হিসেবে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় দেশের ৪৯৪তম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ মার্চ শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে ফকিরহাট ফারার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নামের এই ফায়ার স্টেশনটির শুভ উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানিয়ে অভিবাদন মঞ্চ আরোহণ করেন। সেখানে একদল চৌকস অগ্নিসেনা প্রধান অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অভিবাদন গ্রহণ করে সংসদ সদস্য ফায়ার স্টেশনটির শুভ উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন। এরপর শুভ উদ্বোধন বেলুন উড়ান। এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেশন আঙিনায় একটি আম্রপালি বৃক্ষ রোপণ করেন। ফায়ার স্টেশনটির শুভ উদ্বোধনের পর দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য, গণপূর্ত বিভাগ ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের ৪৯৪তম এই ফারার স্টেশনটির নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।

ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার কে এম অরিফুল হক, ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, ফারার সার্ভিসের খুলনার বিভাগীয় প্রধান মামুন মাহমুদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছে ৬০ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিজেপির মাইল ফলক ও বিরোধীদের টিকে থাকার লড়াই।

প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সময় বিকাল ৫টায় পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ভোট পড়েছে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে৷

তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে।

এছাড়া আসাম ও মহারাষ্ট্রে পাঁচটি করে, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি, মণিপুরে দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু ও কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত।

চারটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) এবং সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা কোচবিহারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। তবে কোনো সহিংসতা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে দুজন বয়স্ক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন নায়িকা রত্না

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নতুন মেয়াদের সভাপতি পদে মিশা সওদাগর (২৬৫) ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আলেকজান্ডারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ ভোট পেয়েছেন সভাপতি পদে জয়ী মিশা সওদাগর।

সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন ইতিহাস খ্যাত নায়িকা রত্না কবির। তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নারী প্রার্থীদের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব আমি।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চিত্রনায়িকা রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম কেন ভালোবাসলাম ছবির মধ্য দিয়ে এ জগতে নাম লেখান এ নায়িকা। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন অভিনয়। প্রায় অর্ধশত ছবির এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেই শুরু।

দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস ছবির কাজ। এ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি খ্যাতি এনে দেওয়া এ ছবির কল্যাণে এ ঢালিউড নায়িকার হাতে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে। এরপর একে একে কাজ করেছেন ধোঁকা, মরণ নিয়ে খেলা, নষ্ট, পড়ে না চোখের পলক, সন্তান আমার অহংকার, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, সন্তানের মতো সন্তানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি তামান্না ফিল্মস নামে প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন রত্না। তবে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। তখন থেকে অনিয়মিত দেখা যায় তাকে।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন রত্না। তার ভাষ্য, শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসেন। সেই প্রমাণ ব্যালট বক্সে তারা দিয়েছেন। এবার আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রে নিয়মিত থাকতে চাই।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদত পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে  গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিরা।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।

শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব।  তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই  নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২৮-৩২৫১৫০ নম্বরে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



এবার কুকি-চিনের সহযোগী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) লাল লিয়ান সিয়াম বম নামে এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রুমার বেথেল পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। লাল লিয়ান জেলার সদর ইউনিয়নে ০৪ নং ওয়ার্ডের বেথেল পাড়ার মৃত থন আলহ বমের ছেলে।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায়হান কাজেনী বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রত্যেকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং এরপর দিন থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ২০২২ সালে সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর