আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাগেরহাটে মাকে হারিয়ে খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটছে চার শিশুর

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম রুইয়ার কুল। ইটের সোলিং দেওয়া গ্রামের মেঠোপথ ধরে কিছুদূর গেলে সুদাষ ব্রক্ষ্মা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি। শনিবার দুপুর প্রায় দুইটা। পানিঘেরা সুদাষের বাড়িতে ঢুকতেই চোখ আটকে যায় কলপাড়ের একটি দৃশ্যে।

আনুমানিক ৬ থেকে ৭ বছর বয়সের একটি মেয়ে থালা-বাসন ধুয়ে ঘরের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তার পেছন পেছন ঘরে ঢুকতে চোখে পড়ল আরও হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যের। তিন বছর বয়সী সকাল, বড় বোনের ধুয়ে আনা থালা নিয়ে ভাত বাড়ছে। ভাত নিয়ে এসে তরকারি দেও বলে অনেকটা চিৎকার করছে শিশুটি।

এসময় বড় ভাই ১১ বছর বয়সী সজল তরকারির একটি বাসন নিয়ে এগিয়ে আসে। খেতে বসে শিশু সকাল ছোট বোন ১১ মাস বয়সী সুমির মুখে তুলে দিচ্ছে খাবার।

ছোট ছোট প্রত্যেকটি ঘটনা একটি নির্দিষ্ট পরিবারের। মাস দেড়েক আগে চার ভাই-বোন তাদের মাকে হারিয়েছে। সেই থেকে প্রতিদিন অনেকটা এমন দিন কাটে তাদের।

বাবা সুদাষ ব্রক্ষ্মা জানান, এক বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন স্ত্রী ঝর্ণা বিশ্বাস। দিনমজুর সুদাষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাই খুব একটা চিকিৎসা করাতে পারেননি স্ত্রীর। দেড়মাস আগে অনেকটা বিনা চিকিৎসায় মারা যান ঝর্ণা। মূলত এরপরেই দূর্বিষহ জীবন শুরু হয় সুদাষ ও তার চার সন্তানের।

সুদাষ ব্রক্ষ্মা বলেন, আমার তেমন কোনো সহায় সম্পত্তি নেই। কোনো রকম দিনমজুরি করে চলি। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে চার সন্তানকে নিয়ে খুব শোচনীয় অবস্থায় আছি। না পারছি কাজে যেতে, না পারছি বাচ্চাদের খাবার দিতে। দুই ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেত, তাও বন্ধ হয়ে গেছে। ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া সজল জানায়, আগে স্কুলে যেতাম। মা মারা যাওয়ার পর থেকে আর স্কুলে যাই না। আমি নিজেই ভাত তরকারি রান্না করি। কোনোদিন না খেয়েও থাকতে হয়। কি করব, আর তো কোনো উপায় নেই।

স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বর্ণালী ব্রক্ষ্মা আস্তে আস্তে বলতে থাকে, স্কুলে যেতে ইচ্ছা করলেও পারি না। ভাই বোনদের সঙ্গে থাকি। আর থালা-বাসন ধুয়ে রাখি।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটিরকে খাদ্য সহায়তা এবং শিশুদের জন্য দুধ কিনে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের একটি ভিজিডি কার্ড করে দেব। এছাড়া আমি ওই এলাকায় গিয়ে সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও পরিবারটির পাশের দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি।


আরও খবর



স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

তালিকায় দেখা গেছে, এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন, সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজন এ পুরস্কার পাচ্ছেন। সবমিলিয়ে ৬ ক্ষেত্রে ১০ জন এ পুরষ্কার পাচ্ছেন।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ‌, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজসেবা/জনসেবায় অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।


আরও খবর



শনিবার দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশে ফিরবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ নং ফ্লাইট যোগে বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় মন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের গত ৩ মার্চ (রবিবার) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখানকার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি।


আরও খবর



বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তারের (১২) মৃত্যু হয়েছে। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয় ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



পরী-বুবলীর তর্কযুদ্ধে মজা লুটছেন অপু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বৃষ্টিময় শীতল আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই শীতল এক যুদ্ধ চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যটফরম ফেসবুকে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র তারকার মধ্যে চলছে কথার লড়াই। একজন পরীমনি, অপরজন বুবলী। বুধবার (২০ মার্চ) রাত থেকেই চলছে দুই নায়িকার ফেসবুক যুদ্ধ। চলছে পাল্টাপাল্টি পোস্ট।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনকে ঘিরে। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় পাঁচ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।

তবে বিপত্তি বাধে সেই ভিডিও নিয়েই। বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরপরই মধ্যরাতে নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি। কিন্তু পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন করেননি তিনি। তবে কারো বুঝতে বাকি নেই যে পোস্টটি বুবলীকে ইঙ্গিত করে করা! নিজের স্ট্যাটাসে পরীমনির দাবি, প্রায় ছয় মাস আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে বানানো ভিডিওকে কপি করেই বানানো হয়েছে বুবলীর সন্তানের সেই ভিডিও।

অবশ্য পরীমনির পোস্টের পর বুবলীও আলাদা করে পরীকে ইঙ্গিত করে পোস্ট করেছেন। তার দাবি, কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে- এ রকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এক ধরনের সিন্ডিকেটের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই শুধু মা হয়েছে, আর কেউ মা হয়নি। এ ছাড়া অভিনেত্রী বিভিন্ন ইঙ্গিতমূলক কথা লেখেন নিজের স্ট্যাটাসে।

এরপর বুবলীর সেই পোস্টকে ঘিরেও নতুন করে পোস্ট দেন পরীমনি। সেটিকে গরুর রচনার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। পাল্টা পোস্ট দিয়ে লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনা! সেই সঙ্গে বুবলীকে বেচারি উল্লেখ করে খোঁচাও মারেন পরী মনি। এটাও লেখেন যে বুবলী নিজেও জানে না সে কী লিখছে! নিজের লেখা সে নিজেও বুঝতে পারবে না।

এদিকে পরীমনি-বুবলীর মধ্যে ভার্চুয়াল লড়াই যখন চলছে, এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেন অপু বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টায় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন উফ কী সুন্দর ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।

অপু বিশ্বাসের এ স্ট্যাটাসের অর্থ অবশ্য বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। তারা বলছেন, বুবলীকে এবার অপু বিশ্বাসও খোঁচা দিলেন। সামাজিক মাধ্যমে যা নিয়ে চলছে এখন নানা সমালোচনা। তিন তারকার ভক্তরাও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের একে অপরকে ইঙ্গিত করে চলা এই তর্কযুদ্ধে। অনেকেই অনুরোধ করছেন এই তর্কযুদ্ধ থামাতে। এখন দেখার বিষয়, অপুর ইঙ্গিতের পর এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়!


আরও খবর



সিরিজ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৭৫

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতায়। তাই তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে 'অলিখিত ফাইনাল'। এমন ম্যাচে কুশল মেন্ডিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্ত পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে ১৭৫ রানের টার্গেট দিয়েছে লঙ্কানরা।

শনিবার (৯ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। টস হেরে ব্যাট করতে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা। তবে দলীয় ১৮ রানে উইকেট হারায় তারা। ১২ বলে ৮ রান করা ধানাঞ্জায়াকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

ধানাঞ্জায়ার আউটের পর ক্রিজে আসেন কামিন্দু মেন্ডিস। তাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কুশল মেন্ডিস। কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন কুশল। তবে দলীয় ৫২ রানে ১২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান কামিন্দু।

এরপর ক্রিজে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে মারমুখি ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন কুশল। ৫৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ১১১ রানে ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন হাসারাঙ্গা।

তবে অন্যপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন কুশল। এরপর দ্রুতই তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। চারিথ আসালাঙ্কা ৫ বলে ৩, কুশল ৫৫ বলে ৮৬ ও আঞ্জেলো ম্যাথুস ৭ বলে ১০ রান করে ফিরে যান।

এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা ও দাসুন শানাকা মিলে ব্যাট করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে  তাসকিন ও রিশাদ হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪