আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে আরও ডিম আমদানি করা হবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, চারটি কোম্পানিকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এ অনুমতি দিয়েছি। আমাদের প্রতিদিন প্রায় চার কোটি ডিম প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে আমরা মাত্র একদিনের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন হলে আমরা আরও বেশি ডিম আমদানির অনুমতি দেব।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সচিব। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেশীয় উৎপাদিত ডিমকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এই সুযোগ নিয়ে ডিমের অতিরিক্ত দাম নেওয়াটা যৌক্তিক নয়।

চার প্রতিষ্ঠানকে ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।

সচিব বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গতমাসে ডিমের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এই দামে বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে একটি কোম্পানি ভারত থেকে আমদানি করবে বলে জানিয়েছে। বাকিরা সুবিধামতো সোর্স থেকে আমদানি করবে।

আরও পড়ুন>> ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

ডিম আমদানিতে কোনো শর্ত আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমদানিতে কোনো শর্ত নেই। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে হবে। তবে বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। এছাড়াও আমদানি করা ডিম বার্ড ফ্লু ভাইরাস কিংবা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।

ডিম আমদানিতে দেশীয় উৎপাদিত বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে তাই এই ডিম আমদানিতে দেশীয় উৎপাদনের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা দেশীয় উৎপাদিত ডিমকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। তবে এই সুযোগ নিয়ে তারা সিন্ডিকেট করে যদি দাম বাড়িয়ে দেয় তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির বিকল্প থাকবে না।

আরো অনেক পণ্যের দাম নির্ধারণের পরও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার আলু এবং পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্ধারণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ, কোল্ড স্টোরেজের মালিক এবং খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও তাদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এটা যৌক্তিক দাম বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে পণ্য সাপ্লাই চেইনের সব ধরনের লভ্যাংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করতে সব জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ের নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি বিপণন ও উপজেলা কৃষি এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করবে। মনিটরিং আরো জোরদার করতে ডিসিদের নিয়ে দুএকদিনের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকও করা হবে।

ভোক্তা অধিকার খুচরা পর্যায়ে অভিযান করলেও পাইকারি পর্যায়ে কোনো অভিযান করা হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পণ্যের উৎস পর্যায়েও মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধারণত কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা কিন্তু সেখানে আলু রাখেন না। আলু রাখেন বড় ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে তাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন করা। তারপরও তারা যদি নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে কোল্ড স্টোরেজেও অভিযান চালানো হবে। ইতোমধ্যেই কোনো জেলায় শুরু হয়েছে। সোর্স পর্যায়ে মনিটরিং করলে দাম কমে আসবে।


আরও খবর
মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শেষ ধাপে একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তৃতীয় ধাপের আবেদন আজ থেকে শুরু হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৫০ টাকা ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://xiclassadmission.gov.bd) ঢুকে আবেদন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ দেয়া হবে আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর। এরপর সময়সীমা না বাড়ানো হলে আর কারও আবেদন এবং কলেজে ভর্তির সুযোগ থাকবে না।

একাদশ শ্রেণিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি শুরু হয়, চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর থেকে। এ বছর সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেও কলেজ পাননি ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন জিপিএ-৫ পাওয়া ২ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীও। কলেজে ভর্তি হতে তাদের পুনরায় তৃতীয় বা শেষ ধাপে আবেদন করতে হবে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হিসাবে এখনও সাড়ে ৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবছর পাস করেন ১৬ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে পাস করেছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী।


আরও খবর



বিকেলে ভিডিও বার্তা নিয়ে আসছেন তামিম ইকবাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অনেক নাটকীয়তা শেষে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

তামিমকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়ায় বিসিবির ওপর ক্ষোভ ঝারছেন দেশের হাজারো ক্রিকেট ভক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিসিবি বস থেকে শুরু করে নির্বাচক প্যানেলের সকলের মুন্ডুপাত করছে টাইগার সমর্থকরা। কেউ কেউ তামিমের না থাকার পেছনে সাকিব ও হাথুরুকেও দায়ি করছেন।

যদিও বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে ফিটনেস ইস্যুর কারণেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই তামিম। তাকে নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টও কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। এদিকে তামিম ইস্যুতে মুখ খুলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, একটা তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে। তামিমকে বাদ দিয়েছে, আসলে সত্য হলো তামিম দলে থাকতে চায়নি। দলে না রাখা আর থাকতে না চাওয়ার ব্যাবধানটা অনেক। আমার মনে হয় এতটুকু সম্মান তামিমের প্রাপ্য।

এদিকে, তার দলে না থাকা নিয়ে যখন নানা গুঞ্জন চলছে এর মধ্যেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার। যেখানে তিনি লিখেছেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলব।

তিনি আরও লেখেন, গত কয়েকদিন অনেক কথাই গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত-সমর্থক সবারই পরিষ্কারভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।


আরও খবর



ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে খুনের অর্ডার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রীতিমত ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে মানুষ খুনের অর্ডার নিচ্ছিলেন সুপারি কিলার! আজব মনে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে কলকাতার কাছেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং এলাকায়। নিজেকে 'সুপারি কিলার' বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লা সম্প্রতি মানুষ খুনের অর্ডার নেওয়ার জন্য ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে বিলি করেন, যাতে স্পষ্ট হরফে লেখা, মানুষ হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করা হয়। যোগাযোগের জন্য কার্ডে রয়েছে মোবাইল নম্বর। সঙ্গে লাল কালিতে বড় করে লেখা বুলেট

কার্ডের একপাশে রয়েছে, নিজেকে সুপারি কিলার বলে দাবি করা বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লার ছবি, আরেক পাশে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বুলেটের অ্যাকশন ছবি। কার্ডের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ক্যানিং থানা পুলিশ।

ক্যানিং থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সোমবার ক্যানিং এলাকার ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় বুলেটকে। তার বাড়ি থেকে একটি বন্দুক, দু রাউন্ড কার্তুজ ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। বুধবার তাকে ক্যানিং মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ৭ জুলাই ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিনে-দুপুরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতাকে। সেই খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বুলেটকে। কিন্তু সে সময় নাবালক থাকায় জামিনে মুক্তি পায় সে। সে বছরই, বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ফের পাকড়াও করা হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বুলেট।

স্থানীয়দের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত বুলেট। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য 'সুপারি' নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে। হাফ মার্ডার করলে পঞ্চাশ হাজার ও ফুল মার্ডার করলে এক লাখ রুপি নেওয়া হয় বলেও জানা যায়।

ক্যানিং সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার দিবাকর দাস জানান, গ্রেপ্তার বুলেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হচ্ছে এই ভিজিটিং কার্ড সে কোথা থেকে করল এবং কোথায় কোথায় এই কার্ড বিলি করেছে। আর এই কার্ডের মাধ্যমে কাজের অর্ডার মিলেছে কি না সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না আলু-পেঁয়াজ-ডিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে এ খবরে যারা আজ, শুক্রবার সকালে পণ্যগুলো কম দামে কেনার আশায় বাজারে গেছেন, তাদের অনেকেই হতাশ হয়েছেন ফিরেছেন। কারণ বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না বিক্রেতারা। আলু, পেঁয়াজ, ডিম এখনো বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতিকেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ঘোষণার পর থেকেই বাজারে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে পরের দিন শুক্রবারও সেটা হয়নি।

শুক্রবার সকালে রামপুরা মালিবাগ এবং শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০-৫২ টাকা অর্থাৎ প্রতিটি সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি সাদা আলু ৫০ টাকা এবং লাল আলু ৫৫ টাকায় রয়ে গেছে। কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতাদের অজুহাতের শেষ নেই। কয়েকজন বিক্রেতা আবার বলছেন তারা নাকি বেঁধে দেওয়া দামের বিষয়টি জানেন-ই না। তবে অধিকাংশরা বলছেন বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।

রামপুরা কাঁচাবাজারের মুদিপণ্য বিক্রেতা শফিউল্লাহ বলেন, সরকারের হিসাব আমাদের জানা নাই। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, কমে কিনলে কমে বেচি।

আরও পড়ুন>> অকারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, আইনের কঠোর প্রয়োগ

ওই বাজারে মহিউদ্দিন ইন্টারপ্রাইজ নামের দোকানের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কাল মাত্র দাম কমিয়েছে শুনেছি। একটু সময় দেন। এগুলো মাল (পণ্য) শেষ হোক। আমরা যখন পাইকারিতে কম দামে কিনতে পারবো, তখন অটোমেটিক খুচরাই কমে যাবে। সরকারকে বলেন, পাইকারি বাজার তদারকি করতে।

মালিবাগ বাজারে তাহের নামের এক ডিম বিক্রেতা বলেন, সরকার ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে, আমিও ১২ টাকা বিক্রি করবো। তবে ১০০ পিস নিতে হবে একসঙ্গে। কারণ পাইকারি ডিম কিনেছি ১২ টাকা দরে। এরপর ভাড়া ও অন্যান্য খরচ আছে। আমিতো আর লোকসানে বেচবো না। লোকসানের টাকা কি সরকার আমাকে দেবে?

ডিম বিক্রেতা তাহের যখন এমন মন্তব্য করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এনামুল হক নামের একজন ক্রেতা। তিনি কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করে বিক্রেতাকে বলেন, 'কেন দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তো আপনারা (বিক্রেতারা) বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেন। তবে কমলে কেন এত অজুহাত?

শান্তিনগর বাজারে তামিম এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানের বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, ক্যাশমেমো আছে। সেই দামের হিসাবে পণ্য বিক্রি করছি। হুট করে বললেই কমানো যায় না। আগে দেখি কমে কিনতে পারি কি না।

এদিকে, বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেঁধে দেওয়া দাম বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে মনিটরিং চলবে। সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। তবে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর এই তিনটি বাজারে কোনো ধরনের মনিটরিং কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

আরও পড়ুন>> দ্রব্যমূল্য ও সিন্ডিকেট নিয়ে সংসদে তোপের মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী

এসব বিষয়ে শান্তিনগর বাজারে ওবায়দুল হক নামের একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, এর আগেও করোনার সময় একবার আলুর দাম অস্থিতিশীল হয়েছিল। তখন দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তেল চিনির দামও নিয়মিত বেঁধে দেওয়া হয়, কিন্তু বাজারে এসব বিক্রেতারা মানেন না।

তিনি বলেন, এখনো বাজারে চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারিত রয়েছে, কিন্তু আপনি বাজারে কোথাও চিনি ১৩৫-১৪০ টাকার নিচে কিনতে পারবেন না। তাহলে এসব কার্যক্রম সরকারের লোক দেখানো নয় কি?

তিনি বলেন, তারপরও আমরা ক্রেতারা আশায় থাকি, সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে সফল হবে। ক্রেতারা সামান্য হলেও স্বস্তি পাবে। কারণ বর্তমান বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষদের ভালোভাবে বাঁচতে দিচ্ছে না।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একই বৈঠকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণাও দেয়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন দাম ৫ টাকা কমে এখন ১৬৯ টাকা হওয়ার কথা। তবে বাজারে এখনো কম দামের তেল সরবরাহ হয়নি। ফলে ভোক্তাকে সেই আগের ৫ টাকা বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকা দরে।


আরও খবর
মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আট মাসে ৩৬১ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে সারা দেশে ৩৬১ জন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে স্কুলগামী মেয়েদের সংখ্যা বেশি। প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিল।

শনিবার অনলাইনে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ক্রমবর্ধমান : কোন পথে সমাধান শীর্ষক সমীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়। বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন সমীক্ষাটি করেছে।

সমীক্ষায় বলা হয়, আত্মহত্যাকারী ৩৬১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৭ জন ছেলে এবং ২১৪ জন মেয়ে। এর মধ্যে ১৬৯ জন স্কুলশিক্ষার্থী, ৯৬ জন কলেজ, ৬৬ জন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩০ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে আত্মহত্যার তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থাটি। এ বছর ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ বিভাগে আত্মহত্যার হার ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া খুলনা বিভাগে ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, রংপুরে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১০ শতাংশ, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, বরিশালে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সিলেটে ২ দশমিক ৫ শতাংশ আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে সংখ্যায় মেয়েরা বেশি। ৫৯ দশমিক ৩০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ৪০ দশমিক ৭০ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়- অভিমানে ২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ, প্রেমঘটিত কারণে ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, পড়াশোনার চাপ ও ব্যর্থতায় ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ, পারিবারিক বিবাদে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ মেয়ে যৌন হয়রানিতে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ মেয়ে আত্মহত্যা করে। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে স্কুল শিক্ষার্থী। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১১২ জন মেয়ে এবং ৫৭ জন ছেলে। এছাড়া ২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ কলেজ, ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ৩০ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ মেয়ে এবং ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ ছেলে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশের আত্মহত্যার পেছনে কারণ অভিমান। আর ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রেমঘটিত সম্পর্কে এবং ১০ শতাংশ যৌন নির্যাতনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, এর আগে আত্মহত্যার পেছনে প্রেমঘটিত সম্পর্ককে দায়ী করা হয়েছিল। কিন্তু এবারে ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনে মূল ভমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যা পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে। গত বছর আত্মহত্যার পেছনে করোনা একটা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিল। এ বছর করোনা না থাকলেও আত্মহত্যার সংখ্যা আমাদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ বলেন, ২০২২ ও ২০২৩ সালে আত্মহত্যার সংখ্যাটি কাছাকাছি। অভিমান কিন্তু অনেকেই করে- সবাই আত্মহত্যা করে না। আবার অনেকে প্রেমে ব্যর্থ হয়- সবাই আত্মহত্যা করে না। এসব বিষয়ে আমরা দৃষ্টি দেব তবে একজন মানুষের ঘাত সহনশীলতার দিক আমরা বিবেচনায় নেব। তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগী হওয়া। পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে।

আত্মহত্যাপ্রবণ ১৭৭ নারীর মধ্যে ১২২ জনই মাদকাসক্ত : ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে সেবাগ্রহণকারী ৩২২ জন নারীর মধ্যে ১৭৭ জনের আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল। এর মধ্যে ৯৮ জন কখনো না কখনো আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এবং পাঁচজন শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে। বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এ তথ্য প্রকাশ করে। রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের বিষয় ছিল আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা, মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তি এবং আত্মহত্যার উচ্চ ঝুঁকি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস মজুমদার বলেন, আত্মহত্যার গড় হারে ২০১১ সালে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৩৮তম দেশ। কিন্তু ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ১০তম স্থানে উঠে আসে। বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণগুলো হলো- শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, পারিবারিক কলহ এবং সম্পর্কের বিচ্ছেদ, মাদকের অপব্যবহার, অর্থনৈতিক সমস্যা, পড়াশোনার চাপ, বেকারত্ব, পারিবারিক আত্মহত্যার ইতিহাস ইত্যাদি।


আরও খবর