আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাজারে জিনিসপত্রের দাম সহসাই কমার কোনও লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে কিছুই করতে পারবো না। বুধবার (১৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের  দাম কবে নাগাদ মানুষের নাগালে আসবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এটির উত্তর জানতে হলে আমার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমা পর্যন্ত আমরা কিছুই করতে পারবো না। কলকাতায় খবর নিন সেখানে কত দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। মানুষকে বৈশ্বিক অবস্থা জানাতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি) পদ্ধতিতে আনা যাবে। দেশে গমের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।

টিসিবির পণ্য বিক্রির বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, সরকারের তো বহন করার একটা ক্ষমতা আছে। তাই এক কোটি মানুষকেই এখন টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। যার সুবিধা পাবে পাঁচ কোটি মানুষ। এর পরিমাণ আর বাড়ানো হবে না। জুন মাস থেকে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া।

পেঁয়াজের দাম বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজের দাম হলে সেটা যৌক্তিক। ২০২৫ সালের পর আমাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না, সেভাবেই উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মেঘ দেখলেই বলে ঝড় এসে গেছে। সেটা কিন্তু না। এছাড়া আমাদের দেশে এই মুহূর্তে গমের যে স্টক আছে, তাতে ভয়ের আশঙ্কা করি না।

ভোজ্যতেল ইস্যুতে তিনি বলেন, গ্লোবাল এ ক্রাইসিসকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা একটাই মেসেজ দিতে চাই, ভোজ্যতেলের এখন যে অবস্থা আছে, তাতে আশা করছি ক্রাইসিস হবে না।


আরও খবর



সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (৩ মার্চ) সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ রোববার সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিতব্য ৪ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন এন্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪) এ অংশগ্রহণ করবেন।

পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সেনাবাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো স্ব-স্ব স্থল বাহিনীসমূহের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্কন্নোয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যাসমূহ মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীসমূহের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

সম্মেলন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ৬ মার্চ দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।


আরও খবর



আসামি ছিনিয়ে নেওয়া যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরকে (৩৫) ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাগর মাদবর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের টেকেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা। সাগর বড় গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টাসহ ৮টি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও র‍্যাব সূত্র জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারে অভিযান চালিয়ে আধা কেজি গাঁজাসহ আরিফ মাদবর ও সবুজ মাদবরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় খবর পেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাগর মাদবর ও তার লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদকসহ আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সাগর মাদবরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা সাগর মাদবর। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাগর মাদবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রুহুল কুদ্দুস কাজলের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মারুফ ফাহিম বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনিটের দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজলকে তার পল্টনের চেম্বার থেকে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, কাজলকে গতকালের মামলায় শাহবাগ থানায় নেয়া হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ৪ জনকে এবং (৯ মার্চ) দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, ডা. কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামিরা করা হয়েছে।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৭০ রোহিঙ্গার মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে নৌকা ডুবে ৭০ জনের বেশি রোহিঙ্গা নিখোঁজ বা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭৫ জনকে। শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন- আইওএমের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এ বছর এটিই হবে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।

এর আগে বুধবার জেলেরা ছয়জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করার সময় সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছিল। আচেহ প্রদেশের এক জেলে সম্প্রদায় জানিয়েছে, তীব্র স্রোতে নৌকা উল্টে যাওয়ার পর তারা এর তলদেশের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বারবারা বালুচ বলেন, নৌকাটিতে ১৫১ জন ছিল। তাদের ৭৫ জনকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে। বাকিরা মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে।

আচেহ প্রদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েট ফয়সাল রেহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা ভালো আছে। তাদের আচেহ পশ্চিমাঞ্চলে রেডক্রসের একটি ভবনে রাখা হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা গত বছর ইন্দোনেশিয়া গেছে। এ সংখ্যা দেশটিতে গত চার বছরে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।


আরও খবর



রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ।

এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ব্যতীত আরও যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।

মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে। 

৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রান পাঠানো হয়েছি।

তবে এ পর্যন্ত সেখানে যত ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে, সেসবের মধ্যে এই বহরটি সবচেয়ে বড়। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে বহরটি সাজানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ৯টি দেশইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি, আরহাম অনলাইনকে বলেন আবদেল-আলীম কাশতা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭২ হাজার। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধের শুরু থেকে হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে এই তিন দেশের উদ্যোগে গাজায় রমজান মাস থেকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধের দুই পক্ষ হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বহু আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি আর হয়নি।


আরও খবর