আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বাখমুতে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রবল সংঘর্ষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার প্রবল সংঘর্ষ চলছে। দোনেতস্ক অঞ্চলের পূর্বের এই শহরটি বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই এই শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে রাশিয়া যেন যে কোনও মূল্য চোকাতে প্রস্তুত। অথচ প্রতিদিন অবিরাম হামলা চালিয়েও কিছুতেই গোটা শহর কবজা করতে পারছে না রুশ সৈন্যরা। দুই পক্ষই বিশাল সংখ্যক শত্রুদের প্রাণহানির দাবি করছে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করার কোনো সুযোগ না থাকায় হতাহতদের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও নিরপেক্ষ চিত্রও পাওয়া যাচ্ছে না।

রবিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, গত কয়েক দিনে তার সেনাবাহিনীর হামলায় এক হাজারের বেশি রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। গত ৬ মার্চ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার রুশ সৈন্যের প্রাণহানির দাবি করেন তিনি। সেইসঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম ও কমপক্ষে দশটি গোলাবারুদের গুদামও ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি জেলেনস্কির।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, রুশ বাহিনীর অক্রমণে ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জনেরও বেশি  ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর সৈন্যরা বাখমুত শহরের পূর্বাংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রোববার বলেন, বাখমুতের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রস্থলে জোরালো সংঘর্ষ চলছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী অসংখ্য সৈন্য কাজে লাগালেও তার বাহিনী আরও অগ্রসর হতে পারবে বলে প্রিগোজিন নিশ্চিত।

গত কয়েক দিন ধরে তিনি প্রকাশ্যে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভাবের অভিযোগ করার পর রোববার তিনি সুর নরম করে বলেছেন, অবশেষে মস্কো থেকে গোলাবারুদ আসতে শুরু করেছে। বাখমুত দখল করে ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যসংখ্যা আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন প্রিগোজিন। এদিকে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে যুদ্ধ ট্যাংক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম ও যথেষ্ট গোলাবারুদ পেলে ইউক্রেন সম্ভবত আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হারানো ভূখণ্ড পুনর্দখল করতে নতুন অভিযান শুরু করবে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ইউক্রেনের সৈন্যরা লিওপার্ড ২-এর মতো ট্যাংক চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা রবিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জার্মানির উদ্দেশ্যে গোলাবারুদ সরবরাহের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ইউক্রেনের পাইলটদের যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। মূলত এখনই পশ্চিমা বিশ্ব থেকে এমন বিমান সরবরাহের প্রত্যাশা না করলেও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে প্রয়োজন হতে পারে, তাই পাইলটদের প্রস্তুত রাখতে চান ইউক্রেনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



নরসিংদীতে পিকআপ-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর মাধবদীতে পিকআপভ্যান ও যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার মাধবদীর টাটা পাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নরসিংদী সদর থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, একটি যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাস ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী টাটা পাড়া এলাকার পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত আটজন।

আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আটজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



যুবকের চড় খেয়ে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিলেন তরুণী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চড় খেয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি মানামী লঞ্চ থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক তরুণী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বরিশাল নৌবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। নৌপুলিশ ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন ওই তরুণীকে নদী থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এমভি মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান জানান, এক যুবক আর এক তরুণী লঞ্চের নিচতলার সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তারা দুজনে ঝগড়াও করেছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তরুণ ওই তরুণীকে একটা চড় দেয়। এর পরই তরুণী নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে এক লোক সঙ্গে সঙ্গেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণী আমাদের লঞ্চের যাত্রী ছিল না। তা ছাড়া ঝাঁপিয়ে পড়া তরুণীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তা আমরা জানি না।

তবে সেখানে উপস্থিত মারুফ নামে একজন বলেন, প্রথমে দুজনের উচ্চবাচ্য কথা শুনি। এর পর চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটলে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, লঞ্চ পন্টুন ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। তরুণী নদীতে ঝাঁপ দিলে নৌপুলিশের সদস্য ও ঘাটে উপস্থিত থাকা লোকজন তাৎক্ষণিক নদীতে পড়া তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই তরুণী কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা পরিবারের পক্ষ থেকে বলেনি।


আরও খবর



টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নেত্রকোনার পাহাড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা শেষ স্বাক্ষী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বহেরাতলীতে স্বামীর ভিটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুর্গাপুর কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তলদেশে বিজয়পুর সীমান্তের দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলি গ্রাম। যে গ্রাম থেকে খাজনা প্রথা বিলুপ্তিতে আন্দোলনের গণজাগরণ হয়েছিল যার মৃত্যুতে সেই রাশি মণি হাজংয়ের স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন কুমুদিনী হাজং।

রাশিমণির সমাপ্তিতে খাজনা বিদ্রোহে প্রজা আন্দোলনের ইতিহাস ঐহিত্যর বীরত্বগাঁথা মনিষীদেরও চারণভূমিও বলা চলে। এ এলাকায় কুমুদিনী হাজংয়ের কাছে মানুষ শুনতে আসতেন টংক প্রথা বিলুপ্তির ইতিকথা। কিন্তু তিনি মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে কথা বলতে পারেন না। তবে যাদের চেনেন। তাদের সন্মান করতেন। বসিয়ে রাখতে চাইতেন পাশে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শয্যাশায়ী থাকাকালীন মেঝো ছেলে ও ছেলে বউ দেখভাল করেছেন। রাশিমণি স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়েই সকলে কুমুদিনী হাজংয়ের খোঁজ নেন সবাই। তার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে কয়েক বছর আগেই মারা যান। কুমুদিনী হাজংয়ের মেঝো ছেলে অর্জুন হাজং জানায়- রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

১৯৪৬ সনের কথা। কমরেড মণিসিংহ ভারত থেকে দুর্গাপুর মামা বাড়িতে চলে আসেন। শুরু করেন টংক প্রথা বা ধান কড়াড়ি খাজনা বাতিল আন্দোলন। আন্দেলনে যোগ দেন সীমন্তের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের লঙ্কেশ্বর হাজং, রাশিমণি হাজংসহ আদিবাসীরা। এরই জেরে সে বছরের ৩১ জানুয়ারী লঙ্কেশ্বর হাজংসহ বেশ ক’জন হাজং বিদ্রোহী নেতাকে ধরে নিতে ব্রিটিশ ফন্ট্রিয়ার পুলিশ আসে বহেরাতলী গ্রামে। তাদের না পেয়ে লঙ্কেশ্বর হাজংয়ের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে তুলে নিয়ে যায়।

এ খবর এক কৃষক বিদ্রোহ সভায় রাশি মণি হাজংয়ের কাছে পৌঁছে। ছুটে যান তিনি। নারীকে নিয়ে যাওয়া মানে মান নিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। হাতে থাকা দা দিয়েই পুলিশের উপর হামলা চালান। পরে পুলিশের বন্দুকের গুলিতে তিনিসহ দুজন হাজং নেতার প্রয়াণ ঘটে। তবে রক্ষা হয় গৃহবধূ কুমুদিনী হাজং।


আরও খবর



রমজানে কদর বেড়েছে মহিষের দইয়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের মধ্যে মহিষের দইয়ের কদর বেড়েছে। সারা বছরই মিরসরাইয়ের মহিষা দইয়ের চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামজুড়ে। রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে ইফতারের আগে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জমজমাট বিকিকিনি চলছে।

মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় ইছাখালী ইউনিয়ন, বামনসুন্দর ও রহমতাবাদ এলাকা থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এখানকার দইয়ের স্বাদেও আছে কিছুটা ব্যতিক্রম। অন্যান্য এলাকায় টক দই হলেও এখানকার দই হয় মিষ্টি।

মিরসরাই কলেজ রোডে কথা হয় রহমতাবাদ থেকে দই বিক্রি করতে আসা জাহেদুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, প্রথমে এলাকার বিভিন্ন খামারীর কাছ থেকে মহিষের দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই দুধ থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করে থাকি। আবার অনেকে বিয়ে, জেয়াফত, আকিকা অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম দইয়ের অর্ডার দিয়ে থাকে। তবে রমজানে চাহিদা বেশী থাকে।

ইছাখালী এলাকার আরেক দই বিক্রেতা নুরনবী বলেন, আগের তুলনায় মহিষের দই অনেক কমে গেছে। শিল্পজোন হওয়ার কারণে মহিষের চারণভূমি না থাকায় এখন খামারে মহিষ রাখছে না মালিকেরা। যে খামারীর কাছে আগে শতাধিক মহিষ ছিল, এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। দুধের দামও বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বেচাকেনা বেড়েছে। আমি আবুরহাট, মিঠাছরা, মিরসরাই ও আবুতোরাব বাজারে নিয়মিত দই বিক্রি করে থাকি।

আরেক বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, তারা প্রতি কেজি দুধ কিনে নেন ১শ টাকা করে। দই তৈরী করে বিক্রি করেন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। মাটির হাঁড়িতে দই বসিয়ে তৈরি করা হয়। কোন অনুষ্ঠানের জন্য কেউ অর্ডার করলে বেশি পরিমাণে বানানো হয়। এবং অর্ডারকারীর বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।

স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় এলাকার দই সাধারণত খাঁটি, এখানে কোন ধরণের ভেজাল মেশানো হয়না। এখানে দইয়ের বেশ কদর রয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে এসেও অনেক দই নিয়ে যায়।

মিঠাছরা বাজারে মহিষের দই ক্রয় করতে আসা নুরুল আফছার বলেন, রমজানে দই ছাড়া চলে না। ইফতারের পর পরিবারের সবাই এক গ্লাস করে দই খাই সবাই।

খামারী শাহজালাল বলেন, আমাদের চরশরৎ এলাকায় আগে অনেকে মহিষ পালন করত। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠায় চারণভূমি না থাকায় দিন দিন মহিষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক খামারি এখন অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাকিরুল ফরিদ বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মহিষের দই পাওয়া যায় এখানে উন্নত মানের ঘাস সেগুলো খেয়ে এখানে প্রচুর গরু-মহিষ ও ভেড়া লালন পালন হয়। সেসব মহিষের দুধ থেকেই নির্ভেজাল দই তৈরী হয়।

তিনি বলেন, মহিষের দই হজমে সহায়তা করে। এর ল্যাকটোবেসিলিসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিত, তারা শরীরের জন্য ভিটামিনকে তৈরি করে ও পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বিতাড়িত করে। প্রতিদিন মহিষের দই খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ হবে।


আরও খবর



দেশবাসীকে জয়ের ঈদ শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।

জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণির মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক!

এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর