আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বামনডাঙ্গা স্টেশন আধুনিকায়ন হলেও মান বাড়েনি যাত্রী সেবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধা জেলার ঐতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ফিট দৈর্ঘ্য প্লার্টফর্ম উচুঁ ও বর্ধিত করণ, প্রথম, দ্বিতীয় ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য বিশ্রামগার নির্মাণ করা হয়। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কারণে স্টেশনটি শোভাবর্ধন হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে।

ওই প্রকল্প কাজের নির্মাণ শেষে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২০২১ সালের ২২মে উদ্বোধন করেন। নির্মিত বিশ্রামাগারে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আধুনিকায়ন এই স্টেশনটিতে ৫০ ফুট একটি যাত্রী ছাউনি থাকলে তা ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় বৃষ্টির সময় যাত্রীদের পানিতে ভিজতে হয়। অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা সংযুক্ত না করায় স্টেশন মাস্টারের অফিস রুমটির কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন বিল্ডিংয়েই চলছে। রুমটিতে সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। সেখান থেকে টিকিটও বিক্রি করা হয়। অনেক যাত্রী উঁচু প্লাটফর্ম থেকে টিকিট কাটতে বা স্টেশন মাস্টারের রুমে যেতে সিঁড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমেস উদ্দিন বলেন, পার্শবর্তী কয়েক উপজেলার লোক এই স্টেশনে আসায় সব সময় ভীড় লেগেই থাকে। এই রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস, করতোয়া এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন প্রামানিক জানান, প্লাটফর্ম বর্ধিতকরণ করা হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ প্লাটফর্মের অনেক অংশে না থাকায় সন্ধ্যা হলেই ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করে।

বামনডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার হাইউল মিয়া বলেন, যাত্রী ছাউনির ছাদ উঁচু, প্ল্যাটফর্ম উঁচু করণ করায় আমার অফিস রুমটি নিচু হয়েছে। এই পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি ছাদ থেকে চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে। প্লাটফর্মের ৫০ ফিট সেডটি দীর্ঘদিন থেকে জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে আমি প্ল্যাটফর্মের অনুপোযোগী সেডটি (যাত্রী ছাউনি) পরিবর্তন সহ সেডের (যাত্রী ছাউনি) দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে নতুন অফিস কার্যালয় নির্মাণসহ স্টেশনের বিভিন্ন সমস্যা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের মধ্যে বামনডাঙ্গা স্টেশনটি আয়ের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যার ফলে রেল কর্তৃপক্ষ এই রুটে চলাচলকারী প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি দিয়েছেন।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের মিনাহাসা উপদ্বীপে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে ইন্দোনেশিয়ার ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা বিএমকেজি বলেছে, অগভীর এ ভূমিকম্পের কারণে সুনামির সম্ভাবনা নেই।

এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। সবশেষ গত ২৯ আগস্ট ভোরে দেশটির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বালিসহ লম্বক অঞ্চলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।

এদিকে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার কিছু পরে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সূর্যের উদ্দেশে উড়াল দিলো আদিত্য-এল ১

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সূর্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে ভারতের নভোযান আদিত্য-এল ১। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য শ্রীহরিকোটার লঞ্চপ্যাড থেকে সূর্যের কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা করে আদিত্য-এল ১। আশা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১২৫ দিনের মধ্যে বা চার মাসের মধ্যে সূর্যের কক্ষপথে পৌঁছাবে আদিত্য-এল ১।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরবে আদিত্য-এল ১। এই ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে গতিবেগ বাড়াবে আদিত্য। এরপর ১১০ দিন সূর্যের অভিমুখে যাত্রা করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নক্ষত্রটিকে পর্যবেক্ষণ করবে সেটি। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। মহাকাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, তার উপর সূর্যের কী প্রভাব পড়ে, সেসব জানার চেষ্টা করবে আদিত্য-এল ১।

সংস্কৃত ভাষায় সূর্যের আরেক নাম আদিত্য। সূর্যের কক্ষপথের উদ্দেশে পাঠানো নভোযানটির নাম তাই সূর্যের নামেই রাখা হয়েছে। আর, এল ১ আসলে লেগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। পৃথিবী থেকে রওনা হয়ে ১৫ লাখ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর যেখানে গিয়ে থামবে আদিত্য, সেই এলাকাটিকেই সূর্যের লেগ্রেঞ্জ পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেছে ইসরো।

 ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সংজ্ঞানুযায়ী, লেগ্রেঞ্জ পয়েন্ট হলো মহাবিশ্বের এমন একটি এলাকা, যেখানে দুই বৃহৎ বস্তু, যেমন: সূর্য ও পৃথিবীর মহাকর্ষীয় শক্তি পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। আদিত্য-এল ১ যদি তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, তাহলে পৃথিবী যে গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেসেই একই গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম হবে আদিত্য-এল ১।

আদিত্য-এল ১ ভারত থেকে সূর্যের দিকে পাঠানো প্রথম মহাকাশযান। ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটিকে সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার একটি হ্যালো কক্ষপথের এল-১ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। সংস্থাটির দাবি, এই পয়েন্ট থেকে সূর্য নিয়ে গবেষণা করা তুলনামূলক সহজ।

বলা হচ্ছে, অভিযান সফল হলে সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হবে ইসরো। পাশাপাশি সূর্যের আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবও বুঝতে এ অভিযান সহায়ক হবে। ২০২০ সালেও সূর্যে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিল ইসরো। কিন্তু সে সময় করোনা মহামারির কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।


আরও খবর
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ

ফাইনালে হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে গেল বাংলাদেশ। রোববার ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতের কাছে ০-২ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ। লাল সবুজের দলকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল ভারত।

ম্যাচের আট মিনিটে রক্ষণের ভুলে ভারতকে গোলের সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলকিপার নাহিদুল ইসলামের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান ভরত লাইরেনজম (১-০)। বাংলাদেশ ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল ১৭ মিনিটে।

সতীর্থের বাড়ানো বলে ভারতের গোলকিপার সুরাজ সিংকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড মুর্শেদ আলী। কোচ সাইফুর রহমান মনি মুর্শেদকে তুলে নেন।

৭২ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের। ৭৩ মিনিটে লিভাইস জাংমিনলুম বাঁ-পায়ে শট নেন। বাংলাদেশ গোলকিপার ফেরানোর কোনো সুযোগই পাননি (২-০)। ভারতের প্রথম গোলের উৎস ছিলেন মিডফিল্ডার লিভাইস। সোমবার সকালে রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরবে কিশোররা।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আগেও আমলে নেয়নি অনেক দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণা এসেছে। এর পর থেকে বিরোধী দল এটিকে সরকারের ওপর চাপ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করলেও এই ভিসানীতির আওতার মধ্যে রয়েছে তারাও। মার্কিন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে যারা এর আওতায় রয়েছে, তারা হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে যেসব দেশকে এই ভিসানীতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, তাদের গ্লোবাল স্ট্যাটাস ভ্যালু বাংলাদেশের চেয়ে কম। তারাই এই ভিসানীতি আমলে নেয়নি, ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমেরিকা তার দেশে কাকে ভিসা দেবে, না দেবে সেই এখতিয়ার তাদের আছে। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

এর পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না। তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। যদি কোনও কারণে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে-নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনোটিতে নির্বাচনের আগে, কোনোটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ম্যাথু মিলার  ভিসানীতি ঘোষণার পরে সবার মনে প্রশ্ন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কী হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সেটা যে উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক ৯ দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল-নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি সে দেশে। উগান্ডায় ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি, তিনি একইসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাকে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার জন্য প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বিরোধী দলের প্রার্থীদের ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। তবে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। এর পরের ধাপে সেই সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে থাকেন। ভিসানীতির পর কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ, সোমালিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সেখানকার রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল। কারণ, সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়। 

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুক্রবার ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশে আমেরিকার নতুন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। যার অর্থ হচ্ছে, এখন থেকে প্রয়োগ হবে। এই ধরনের (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা প্রদানকারী) কোনও ব্যক্তি অ্যাপ্লাই করলে তাকে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটি। তবে এই ঘোষণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তাদের বুঝার দরকার ছিল। তারা ঘোষণা না দিয়েও ভিসা না দিতে পারতো। ঘোষণা দিয়ে বিষয়টা পাবলিক করাটা দৃষ্টিকটূ, অবন্ধুসুলভ আচরণ। আমাদের সরকার ও বিরোধী দল কারোর এটি গ্রহণ করা উচিত না, সোচ্চার হওয়া উচিত সবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা বিষয়টিকে লঘু শাস্তি উল্লেখ করে বলেন, এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এই ভিসানীতির বিপরীতে করণীয় কী নির্ধারণ করে। এর আগেও একই কারণে নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়াকে কেন্দ্র করে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সেসব দেশে কী ঘটেছে? কোথাও কোথাও নির্বাচনের আগে, কোথাও নির্বাচনের পরে ভিসানীতি প্রয়োগ করে আমেরিকা। নাইজেরিয়া, উগান্ডা এই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করেনি। নাইজেরিয়ার জনগণ যারা আমেরিকায় বাস করে, তারা সেখানে বসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কথা বলেছে, তা ভিসানীতির আওতায় পড়ার মতো হলেও দেশটি কিছুই করতে পারেনি। উগান্ডাতেও তেমন হয়েছে। ফলে এটা তোয়াক্কা না করলেই হয়।

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসা নীতিতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না: ডিএমপি

বাংলাদেশের জন্য সেটা অসম্মানজনক কিনা, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনও রাষ্ট্রের স্ট্যাটাসের জন্য এটা সম্মানহানিকর। যে তিনটি দেশের কথা বলা হচ্ছে, তাদের চেয়ে রাষ্ট্রের ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান উঁচুতে। আবার গ্লোবালি বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ব্র্যান্ডিং ভ্যালু আছে। নাইজেরিয়া-সোমালিয়া-উগান্ডার কাতারে বাংলাদেশকে নামানো হয়েছে, এরকম না ভেবে আমি মনে করি, যে ভিসানীতি নাইজেরিয়া-উগান্ডার মতো দেশ আমলে নিচ্ছে না, সেটা বাংলাদেশ থোড়াই কেয়ার করবে।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২১২৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, আর ঢাকার বাইরে ৮ জন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৫০ জন।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার হাসপাতালে ৪ হাজার ১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৪ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭১ হাজার ৫০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯০ হাজার ৪৬১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৬ হাজার ৯৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৪ হাজার ৩৪৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এত মৃত্যু এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় দুজনের। মার্চে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে মারা যায়।

জুন মাসে এসে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায় ২০৪ জন। আগস্ট মাসে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ দিনে মারা যায় ১৯৭ জন।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩