আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বান্দরবানে নবনির্মিত উপজেলা ভবনের উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের লামায় প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইসলাম বেবী, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোস্তফা জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উন্নয়ন কাজগুলো হল : স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) অর্থায়নে ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে লামা উপজেলা পরিষদ ভবন, ১ কোটি ২৬ লাখ ব্যয়ে চেয়ারম্যান কোয়ার্টার ভবন এবং ১ কোটি ২৬ লাখ ব্যয়ে ইউএনও কোয়ার্টার ভবন নির্মাণ কাজ।

এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদিতে জেলা সদর ছাড়াও লামা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাহাড়ী বাঙালি জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। দেশের প্রত্যন্তঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। অথচ বিএনপি সরকারের আমলে ফকির মিসকিনির রাষ্ট্র ছিলো। জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল এদেশ। কিন্তু বর্তমান সরকার জঙ্গী নির্মূল্যে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করে পাহাড় সমতলে নানামুখী উন্নয়ন করা হচ্ছে। এদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের নিজস্ব গাড়ী হবে। ৯৮% মানুষকে বিশুদ্ধ পানির কাভারেজের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।


আরও খবর



পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন যেসব কারণে কমে যায়, চিকিৎসা কী?

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রিয়জনকে নিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ইচ্ছে হলেও অনেকেরেই যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোনো কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী- তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি বলা হয়।

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। তাই টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন ঠিক রাখতে অণ্ডকোষ সুস্থ রাখা জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন,বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।

অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে: যৌন তাড়না কমে যাওয়া,যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা,যৌন মিলনে অক্ষমতা,অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া,শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো-স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

চিকিৎসা কী ? টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঈদে ভাড়া বেশি নিলে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মহাসড়ক/সড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ ওঠে এবং প্রমাণও মেলে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয়, তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন... ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হব। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাব। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, সেটি আমরা শনাক্ত করব।

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কী ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়কের তিনটি লেনই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। যার বড় প্রভাব পড়ে সড়কে যান চলাচলে। সেটি সমাধান না হলে ঈদযাত্রার বড় অংশ সময় যাবে ঢাকাতেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, রাস্তা লক বা ব্লক করে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমাদের নেই। যারা অবৈধভাবে পার্কিং করবে সড়কে, আর যানচলাচল বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তো সড়কই নেই, সড়ককেও টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়েই আগে মহাখালী যাব। দেখি ওখানে কী সমস্যা। আবারও বলছি, যারাই অবৈধ পার্কিং করবেন, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে লাগবে লাখ টাকা জামানত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত ১ লাখ টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে মঙ্গলবার জারি করে ইসি। প্রজ্ঞাপনও হলো।

সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল ৮ ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন।

বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পস্টও করা হয়েছে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন-আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।

জানা যায়, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জেরে রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের এক অনুসারীকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জন এখানে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশি মদপানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবক মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। শনিবার রাতে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- গাজীপুর জেলার ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (২৯) ও হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২১)।

মৃত দীপু সরকারের মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী জানান, তাঁর বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদে আয়োজন ছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে সেই আয়োজনে দেশিয় মদপান করে দীপু ও প্রসেজিৎসহ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে শনিবার সকালের দিকে দীপু ও প্রসেজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বিকেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে প্রসেনজিৎকে কর্নেল মালেক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। অপরদিকে অসুস্থ দীপু সরকারকে অসুস্থ অবস্থায় হাটিপাড়া থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে অসুস্থ অন্যরা এখন সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদা নাজনীন বলেন, শনিবার প্রসেনজিৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। পরে তার শরীরের পালস না পাওয়ায় তাকে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, মারা যাওয়া প্রসেনজিৎ সরকারের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, সদরের হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদপান করে দুজন মারা গেছে। এরমধ্যে একজনের বাড়ি হরিরামপুর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর