টানা বর্ষনে বান্দরবানের একাধিক এলাকায় পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে রবিবার (৬ আগষ্ট) ভোর থেকে থেকে বিকাল পর্যন্ত ৬ জন আহত হওয়ার খবর এসেছে। এদিন বিকাল ৪টায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পাহাড় ধসে আহতদের মধ্যে দুইজন বান্দরবান সদর উপজেলার ও ৪ জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার।
বান্দরবান সদর উপজেলায় আহত দুইজনের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার নাম রুমি আক্তার। তিনি বান্দরবান পৌরসভার কালাঘাটা বীরবাহাদুর নগর এলাকার বাসিন্দা। অপরজন বান্দরবান সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) এস এম ইকবাল জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড় ধসে আহত হয়ে রুমি আক্তার নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আহতরা হলেন বাইশারী ইউনিয়নের করিমার ঝিরি এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা বেগম, তাদের সন্তান আনিকা, জেসমিন ও শাহাজালাল।
স্থানীয়রা জানান, জসিম উদ্দিনের মাটির ঘরে দুপুর ১২টার সময় পাহাড় ধসে পড়ে তার পরিবারের সদস্যরা আহত হন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টানা ৪ দিনের বর্ষনে পাহাড় ধস ছাড়াও বান্দরবানের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার, কাশেম পাড়া, বীরবাহাদুর নগর, কানাপাড়া, বালাঘাটা, লেমুঝিরি, ক্যাচিংঘাটা নতুনপাড়া মিলনছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলিকদম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।
বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। গত ৪ দিনে এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪০০ মিলিমিটার। এমন বৃষ্টিপাত আরও ৫-৬ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করছে প্রশাসন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, জেলায় ১৯২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৯টি পরিবারের ৩৫জন আশ্রয় নিয়েছেন।