আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) সকালে উপজেলার বাকলাই এলাকার সিম্পলাম্পি পাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকালে বাকলাই এলাকা থেকে আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। তবে নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের থানচি উপজেলার সিম্পলাম্পি পাড়া ও তাজিংডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কেএনএফের পোশাক পরা এক যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়।

পোশাক দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় একদিন একটু কষ্ট হোক না : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাড়ি যাবে আনন্দ করে, সেখানে একদিন কষ্ট হলো, তাতে এমন কী হবে? একদিন একটু কষ্ট হোক না। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঈদ সামনে রেখে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি বলা হলেও তা মানেন না মালিকপক্ষ। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, গার্মেন্টস ছুটি দিলে হাজারো শ্রমিক রাস্তায় নেমে যায়, যানজট বাড়ে। এ সময় গাজীপুর ও চন্দ্রায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়া রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভার যানজটের আরেকটি বড় উৎস।

ঈদের সময় রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি না করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টির সময় এসেছে, এখন কিসের খুঁড়াখুঁড়ি? ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের খুঁড়াখুঁড়ির কাজ ঈদের সময় কঠোরভাবে বন্ধ রাখতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের কাজ ঈদের আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়া নতুন করে কোথাও কোনও ধরনের খোঁড়াখুঁড়ি করে যেন জনভোগান্তি সৃষ্টি না করা হয়, সেই বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া, ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোর বাইরে যেন কোনও বাস দাঁড়িয়ে না থাকতে পারে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনও বাস যেন অতিরিক্ত ভাড়া না আদায় করে, সেই বিষয়ে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে যায়, কিন্তু ফ্লাইওভারে এক ঘণ্ট-দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকতে হয়। এটা কেন হচ্ছে? সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেন।‌ হেলমেট ছাড়া সিএনজি স্টেশনে যেন কেউ তেল দিতে না পারে, আমি মন্ত্রীর লোক, এমপির লোক... এসব বলে যেন কেউ ছাড় না পায়। ঢাকা শহরে লক্কড়-ঝক্কড় বাস দেখতে ভালো লাগে না। ফিটনেসবিহীন কোনও বাস যেন চলতে না পারে, এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রধান সড়কের পাশে যেন কোরবানির হাট না বসে। এছাড়া বিআরটিএ, পুলিশ কমিশনার, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সওজ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।

পাশাপাশি দেশের সব বাস টার্মিনাল ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং সড়কপথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। লক্কড়-ঝক্কড়, ফিটনেস বিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল-যাত্রী পরিবহন না করা, নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার জাতীয় গাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল বন্ধ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিআরটিসির স্পেশাল ঈদ সার্ভিস, সিএনজি ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখা, গার্মেন্টসসহ সব শিল্প, কল-কারখানার কর্মীদের পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত।

ঈদের দিনসহ এর আগের ৩ দিন ও পরের ৩ দিন মহাসড়কে পশুবাহী গাড়ি ছাড়া ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-দ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন আওতামুক্ত রাখা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নুর মোহাম্মদ মজুমদার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন কোনো সমাধান নয়: ম্যাকেঞ্জি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। মানবিক কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুর্নবাসন করা হলেও তৃতীয় কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক শরণার্থীবিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখভালে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বাস্তুচ্যুত জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে নিজ ভূমিতে ফেরত যেতে পারে, সে জন্য মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আঞ্চলিক দেশগুলো ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত হয় এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ কোটি ডলার এসেছে বাংলাদেশে।

মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর জানান, আঞ্চলিকভাবে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্বাসিত হলেও মানবিক সংকটের সমাধান হিসেবে এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া নয়। আগামী সেপ্টেম্বরে আমাদের রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নতুন সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

মানবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের দেওয়া সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছাক, যাদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর এসব বিষয়ে সমাধানে আমরা অংশীদারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করছি।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের একটি অপরিহার্য ভিত্তি হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


আরও খবর



ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা, জিয়াসহ চারজনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

একই সঙ্গে এ মামলার দায় থেকে পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান জাকির এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিচার শুরু হওয়া অপর তিন আসামি হলেন- রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও আকরাম হোসেন। অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন-মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।


আরও খবর



তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।

১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।


আরও খবর