আজঃ রবিবার ০২ এপ্রিল 2০২3
শিরোনাম

বান্দরবানের রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ অক্টোবর ২০২২ | ৮৬০জন দেখেছেন
দর্পণ নিউজ ডেস্ক


Image

বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি দুই উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের ওপর মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ভোর থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার-ভারত সীমান্তের এপারে সন্ত্রাস দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ১৪ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে।

র‌্যাবের হেলিকপ্টার যোগে দুর্গম অঞ্চলগুলোর ওপর টহল দিচ্ছে র‌্যাব সদস্যরা।

অন্যদিকে সেনা সদস্যরা পাহাড়ি জঙ্গলাকীর্ণ এলাকাগুলোতে কম্বিং অপারেশন চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে দু’একটি পয়েন্টে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর গুলি বিনিময়ও হয়েছে। 

এমন অবস্থায় ভ্রমণে পর্যটকরা ঝুঁকিতে পড়তে পারে- এ বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকরা যাতে যেতে না পারে সে পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা মৌখিকভাবে স্বীকার করলেও এখনো কোনো লিখিত নির্দেশ জারি করা হয়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল গ্রুপ)-এর সঙ্গে নবগঠিত পাহাড়ি সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে কয়েক দফা বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। তবে হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

অন্যদিকে কুকিচিন ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান ঘোষণা দিয়েছেন, কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘোষণার পর যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান আরো জোরালো হয়েছে।

এর ফলে রুমা, রোয়াংছড়ি ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


আরও খবর