আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাঙালির ঐক্যের তান হোক সম্প্রীতির বাংলাদেশ : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাঙালির ঐক্যের তান হোক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। বাঙালির বাংলাদেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের সমাজ ব্যবস্থায় মানুষরূপী যে অসুর রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে”।

রবিবার (১০ অক্টোবর) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে নাজিরপুর উপজেলার দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণ, ব্যক্তিগত অনুদান প্রদান এবং জেলা পরিষদের অনুদান প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ পিরোজপুর, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং নাজিরপুর পূজা উদডাপন পরিষদ যৌথভাবে এ মতিবিনিময় সভা আয়োজন করে।

তিনি আরো বলেন, সকল ধর্মই সৃষ্টির কল্যাণের কথা বলে। সত্যকে গ্রহণ করে অসত্যকে বর্জন করার কথা বলে। পরার্থে নিজেকে বিলীন করার কথা বলে। কোন ধর্মই উগ্রতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কিছু উগ্র ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের মতো করে আলাদা ধর্ম রচনা করে। সে ধর্ম দিয়ে সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট করে, মানবতার জয়গানে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তারা মানবতার শত্রু, অসাম্প্রদায়িকতার শত্রু। এরা অস্তিত্বের উৎসমূলে আঘাত করে, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে। এদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে”।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, দুর্গাপূজা এখন আর পূজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমাদের সৌভাতৃত্ব, সহমর্মিতা, ভালোবাসা আমাদের একটি জায়গায় আবদ্ধ করেছে। সে জায়গা হচ্ছে আমরা সকলে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। যে বাঙালিত্বকে প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ত্রিশ লাখ শহিদ রক্ত দিয়েছিল, দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম দিয়েছিল”।

নাজিরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুখরঞ্জন বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল কৃষ্ণ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিত দত্ত লিটু প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের দিঘীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হল রুম নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।


আরও খবর



সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৩৫২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিসের অফিস থেকে ৩৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনা কাউকে আটক করতে পারেননি।

সোমবার (৪ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম। এর আগে গতকাল অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার শহীদ তুলশীরাম সড়কে অবস্থিত সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে সৈয়দপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩৫২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন। এসময় সেখানে ৪ টি লোহার তৈরী রোলারের ভিতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ছিল এই ফেনসিডিলগুলো। রোলার ভেঙে এসব ফেনসিডিল উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মাদক বহনকারী ব্যক্তিকে সনাক্তের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে আগামীকাল রোববার (১৭ মার্চ) টুঙ্গিপাড়া যাবেন তারা। এদিকে এই সফর ঘিরে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

মুক্তির মহানয়কের জন্মবার্ষিকী। তাই তার জন্মভিটায় উৎসব আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তি। যার অংশ হতে পেরে খুশি ক্ষুদে শিল্পীরা। ক্ষুদে শিল্পীরা জানায়, তারা জাতির পিতাকে খুব ভালোবাসে। জাতীয় শিশু দিবস তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে পারফর্ম করতে পারবে বলে আনন্দিতবোধ করছে তারা।

এরই মধ্যে শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। উৎসাহের কমতি নেই নেতাকর্মীদের মাঝেও। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এরইমধ্যে নিরাপত্তাসহ সব প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

নিউজ ট্যাগ: গোপালগঞ্জ

আরও খবর



টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লংকান অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলবে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে লংকান শিবিরে একটি পরিবর্তন হয়েছে। মহেশ থিকশানার বদলে একাদশে এসেছেন দুনিথ ওয়েলালাগে।

এর আগে বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ৬ উইকেটে জিতে নেয়। এই জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান।

শ্রীলংকা একাদশ: কুসল মেন্ডিস (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, আভিশকা ফার্নান্দো, সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রামোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশানকা।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৪ মার্চ চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। কিন্তু হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই তিন মামলার বাদীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন ও তৌফিক মাহমুদ।

মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়, বিজ্ঞাপন দেখে তারা মোটরসাইকেল কেনা বাবদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে ইভ্যালি তাদেরকে পণ্যের সমমূল্যের চেক প্রদান করে। এরপর চেকগুলো নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না দেওয়ায় এবং কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও রাসেলের বিরুদ্ধে বাদীরা প্রতারণার মামলা করেন।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১৭ জানুয়ারি তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।

প্রসঙ্গত, এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। এরপর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নেওয়া হয়েছিল রিমান্ডেও।

ইভ্যালির পুনর্গঠন হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে তার স্ত্রী শামীমাকে এক বছরের মাথায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছিল আদালত। আর রাসেল মুক্তি পান গত ১৯ ডিসেম্বর।


আরও খবর