আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাংলা একাডেমির নতুন ডিজি মুহম্মদ নূরুল হুদা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ পেয়েছেন প্রথিতযশা কবি, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ নূরুল হুদা।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিন বছরের জন্য এ নিয়োগ দিয়ে সোমবার (১২ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩ অনুযায়ী নূরুল হুদা এ নিয়োগ পেয়েছেন। যোগদানের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী গত ২৫ মে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নূরুল হুদার জন্ম ১৯৪৯ সালে কক্সবাজার জেলায়। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ১৯৮৮ সালে বাংলা কবিতায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে একুশে পদক দেয়া হয়।


আরও খবর



বিআরটি প্রকল্পের ৭ ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হলো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) অংশের সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারগুলোর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে আছে- এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ও চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার।

তিনি বলেন, নানা ঝামেলায় এই প্রজেক্টের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন এটি শেষের পর্যায়ে। আশা করি, এ বছরেই এটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময় এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (আরএইচডি) কাজ ১৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ।

সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং হতে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে। এ ছাড়া সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।

বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য থাকছে ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।

২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেক বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।


আরও খবর



সোয়া ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ডেমরার আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় একটি ভবনে কাপড়ের গুদামে লাগা আগুন সোয়া আট ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (মিডিয়া) রায়হানুল আশরাফ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে এখন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়।

এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সকালে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আগুন পুরোপুর নেভাতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন ছড়িয়েছে।

আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

নিউজ ট্যাগ: ডেমরা

আরও খবর



পূর্বাচলে আন্ডারপাসে দুর্ঘটনার কবলে বিআরটিসি বাস, আহত ২২

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পূর্বাচলে আন্ডারপাসে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস। এতে ২২ জন যাত্রী আহত হয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে বিআরটিসির একটি দ্বিতল পিকনিকের বাস পূর্বাচল সী-সেল পার্কে যাওয়ার সময় ৩শ ফিটের তিন নম্বর ব্রিজের আন্ডারপাসে এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ওই বাসের ২২ জন যাত্রী আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, ওই বাসে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ড্রিষ্টিভিশন কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য ছিলেন।


আরও খবর



স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে গৃহবধূ আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ মার্চ) দশমিনা সদর ইউনিয়নের পূজাখোলা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে আটক করে। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে এ অঙ্গহানির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি পূজাখোলা এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ওই গৃহবধূ (৪০) ছুরি দিয়ে তার স্বামীর (৩৫) ডান পায়ের বিভিন্ন স্থান ও পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আহত স্বামীকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

দশমিনা থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, আলামতসহ অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর



ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয় যেসব লক্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ক্যানসারবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএআরসি) জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ৪১ লাখ এবং ৮২ লাখ। এক দশক পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ কোটি ও ৯৭ লাখে।

সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে আরও সাড়ে তিন কোটি, যা ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৭৭ শতাংশ বেশি।

তবে ৭০ এর দশকের পর থেকে ক্যানসারে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার তিনগুণ বেড়েছে। মূলত সঠিক সময়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করালেই ভালো হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

যুক্তরাজ্যের ক্যানসার গবেষণা সংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা জীবনের কোন না কোন সময়ে এমন কোন উপসর্গে ভুগেছেন যেটি আসলে ক্যানসারের উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু মাত্র ২ শতাংশ মনে করেছেন যে এর কারণে তাদের ভুগতে হতে পারে এবং এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ একে কোন ধরণের পাত্তাই দেননি এবং এর ফলে চিকিৎসকের কাছেও যাননি। এমন কিছু লক্ষর সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

হুট করে ওজন কমে যাওয়া : ক্যানসার আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোন সময় ওজন হারাতে শুরু করে। যখন আপনি কোন ধরনের কারণ ছাড়াই ওজন হারাতে শুরু করেন, এটাকে বলা হয় ব্যাখ্যাহীন ওজন হারানো। আর এই ব্যাখ্যাহীন ওজনহীনতা ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী বা ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়ার এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।

জ্বর : ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। এছাড়া ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে প্রায়ই জ্বর দেখা দেয়।

ক্লান্তি : এখানে ক্লান্তি বলতে বোঝায় চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না। ক্যানসার বাড়ার সাথে সাথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্যানসার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। কিছু কোলন বা মলাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে তবে এটা সবক্ষেত্রে হয় না। এর কারণেও ক্যান্সারের সময় ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

ত্বকে পরিবর্তন : ত্বকের ক্যানসার ছাড়াও আরো কিছু ক্যানসার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে আপনার ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। যেমন- ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি, অন্ত্রের ক্রিয়া বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। অন্যদিকে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, প্রস্রাবে রক্তপাত বা মূত্রাশয়ের কার্যক্রমে পরিবর্তন যেমন আগের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা ইত্যাদি মূত্রাশয় বা প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

রক্তপাত : ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া আপনার যদি মলের সাথে রক্ত বের হয়, তাহলে মলদ্বারে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

শরীরের যে কোন স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া : অনেক ক্যানসার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরনের ক্যানসার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দেহে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে- এ ধরনের অনুভূতি হয়। এটা এসব ক্যানসারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।


আরও খবর