
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ব্যবসা
ও বাণিজ্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করতে পারে। বুধবার রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি কোম্পানি-
পি টি পিন্দাদ, পিটি দিরগান্তারা ইন্দোনেশিয়া এবং পি টি পিএএল- এর উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে
একথা বলেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আসুন আমরা সহযোগিতা
ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় অন্বেষণ চালিয়ে যাই এবং আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে একটি
শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তুলি।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন
বিষয়ক প্রধান হিসেবে তিনটি কোম্পানির প্রতিনিধিগণ ইন্দোনেশিয়া সরকারের নীতি অনুযায়ী
সমন্বিত প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়নের জন্য গৃহীত পরিকল্পনার একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন
করেন। তারা দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি
উপস্থাপনা এবং গবেষণা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর বক্তব্যে
বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে
১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া পরস্পরের সঙ্গে
চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ও আর্থ-সামাজিক
মুক্তির জন্য দেশটির দূরদর্শী নেতা এবং রাষ্ট্রপতি সুকর্নোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অর্জিত ইন্দোনেশিয়ার অসাধারণ
স্থিতিশীলতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করি।
আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের
গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে
আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমশ: বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ
আনুমানিক ৩৩৬০.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইন্দোনেশীয় পণ্য আমদানি করেছে, আর ৬৩.৭০
মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য দেশটিতে রপ্তানি করেছে। রাষ্ট্রপ্রধান দু’দেশের কৌশলগত
অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও বৈচিত্র্যময় করতে যত দ্রুত সম্ভব অগ্রাধিকারমূলক
বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশকে বিশ্বে অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল
অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের
জন্য একটি ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। ‘দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব
এশিয়ায় কৌশলগত অবস্থানের কারণে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয়।’
তিনি এই চমৎকার ও তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনের জন্য সকল প্রেজেন্টার ও তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস