আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সহযোগিতার নতুন উপায় অন্বেষণে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ব্যবসা ও বাণিজ্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বুধবার রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি কোম্পানি- পি টি পিন্দাদ, পিটি দিরগান্তারা ইন্দোনেশিয়া এবং পি টি পিএএল- এর উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আসুন আমরা সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় অন্বেষণ চালিয়ে যাই এবং আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে একটি শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তুলি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান হিসেবে তিনটি কোম্পানির প্রতিনিধিগণ ইন্দোনেশিয়া সরকারের নীতি অনুযায়ী সমন্বিত প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়নের জন্য গৃহীত পরিকল্পনার একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। তারা দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি উপস্থাপনা এবং গবেষণা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া পরস্পরের সঙ্গে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ও আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য দেশটির দূরদর্শী নেতা এবং রাষ্ট্রপতি সুকর্নোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অর্জিত ইন্দোনেশিয়ার অসাধারণ স্থিতিশীলতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করি।

আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমশ: বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ আনুমানিক ৩৩৬০.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইন্দোনেশীয় পণ্য আমদানি করেছে, আর ৬৩.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য দেশটিতে রপ্তানি করেছে। রাষ্ট্রপ্রধান দুদেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও বৈচিত্র্যময় করতে যত দ্রুত সম্ভব অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশকে বিশ্বে অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় কৌশলগত অবস্থানের কারণে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

তিনি এই চমৎকার ও তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনের জন্য সকল প্রেজেন্টার ও তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাসস


আরও খবর



মোসাদকে যেভাবে কাজে লাগাতে চান নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নিয়ে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইঙ্গিত দিলেন যুদ্ধবিরতি হলেও হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। বরং স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন দেখানো হামাস নেতাদের নির্মূলে প্রকাশ করেছেন নতুন নীলনকশা, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে। কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে নেতানিয়াহুর এ নীলনকশা তাও জানান তিনি নিজেই।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, হামাস নেতারা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মোসাদ। স্থানীয় সময় বুধবার যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কথা বলার সময় এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। নেতানিয়াহু জানান, এটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত তবে সঠিক সিদ্ধান্ত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। 

আরও পড়ুন>> ২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

এর আগে মঙ্গলবার, হামাস জানায় সংগঠনটির সামরিক বিভাগ আল-কাসাম ব্রিগেডের লেবানন শাখার ডেপুটি কমান্ডার খালিল আল খারাজ ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে তাকে বহনকারী গাড়িতে বোমাবর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়। লেবাননের গণমাধ্যম জানায়, খারাজের গাড়িটি টায়ার উপদ্বীপের দক্ষিণে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে চাইটিয়েহ এবং কালাইলেহের মধ্যে একটি রাস্তায় চলাকালীন সেখানে হামলা চালায় ইসরায়েল।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়ের হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টা করবে কিনা। জবাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী জানান, এই যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী হবে এবং গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করার জন্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শেষ হয়ে গেলেও তা পুনরায় শুরু করা হবে। বলেন, যতক্ষণ না ইসরায়েল তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাককে। হামাসকে গাজা নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে নেতানিয়াহু জানান, গাজা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না। ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ ও উত্তর গাজায় নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনবে।

২০০৭ সালে এক নির্বাচনের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার ক্ষমতা অর্জনের পর হামাসের রাজনৈতিক শাখার ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রায় কেউই গাজায় থাকেন না। সংগঠনটির নেতৃস্থানীয় অধিকাংশ নেতা মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ কাতারে অবস্থান করেন। আর দ্বিতীয় সারির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অধিকাংশই লেবাননে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে কাতার ও লেবাননে অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে মোসাদ এমন ইঙ্গিত দেন নেতানিয়াহু।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশের সব মেয়র, চেয়ারম্যানদের ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম সম্প্রতি নির্বাহী আদেশটি জারি করেন। এতে ১০টি নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাক্ষরিত আদেশ সব সিটি ও পৌর মেয়র; জেলা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। এ সংক্রান্ত অনুলিপি ইসি সচিবকেও পাঠানো হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী আদেশে বলা হয়-দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা স্থানীয় সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না। এমনকি চেয়ারম্যানদের পদমর্যাদাও ব্যবহার করতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনার অনুলিপি নির্বাচন কমিশন অফিসেও দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ-নির্দেশ জারি করেছে কিংবা করবে তা প্রতিপালন করতে হবে। নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

আরও পড়ুন>> যে আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন সাকিব আল হাসান

কোনো নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যে কোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন না যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রকার ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না, যা কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে নিয়ে সিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এসএইচএমবি নূর চৌধুরীকে নিয়ে বিশদ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করতে যাচ্ছে কানাডিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলবে। জানা যাবে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার ভাষ্যও।

 সিবিসি টেলিভিশিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‌দ্যা ফিফথ স্টেটদ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হবে আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে প্রায় দেড় মিনিটের একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে, টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখা গেছে। শোনা গেছে তার কণ্ঠও। আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান লিখেছেন, গত ৭ মাস আমরা ছুটে বেরিয়েছি অটোয়া থেকে টরন্টো, টরন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি। জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি, নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু কানাডা সরকারের পলিসির, নাকি আরও অন্য কিছু আছে?

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত।

কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্টর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় সকলেই দীর্ঘদিন ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।


আরও খবর



ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না আরব আমিরাত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে লাখ লাখ জনতা। গাজায় হামলার পরপর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছে আরব-অনারব দেশগুলো। তবে এত কিছু হলেও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আবুধাবি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে যুক্ত চারটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে আমিরাত। এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে তেলআবিবের সঙ্গে ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্পৃক্ততা সমান তালে এগিয়ে নিয়ে গেছে আবুধাবি। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি পাশ কাটিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্যান্য আরব দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথও প্রশস্ত করে এই আমিরাত। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। যদিও গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এই উদ্যোগ থেকে সরে আসে সৌদি সরকার। 

আরও পড়ুন>> কাশ্মিরে হাউসবোটে আগুন, বাংলাদেশি তিন পর্যটকের মৃত্যু

হামাসের হামলার জবাবে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত বোমাবর্ষণ করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এর মধ্যে সম্প্রতি সেখানে স্থল অভিযান শুরু করেছে দেশটি। এক মাসের বেশি সময় ধরে চরা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। এসব ঘটনায় আমিরাত জনসম্মুখে যেমন ইসরায়েলের নিন্দা করেছে তেমনি ৭ অক্টোবরের হামলার জন্য হামাসেরও নিন্দা করেছে। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথাও বলেছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। 

আরও পড়ুন>> ২২ লাখ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য আমিরাতের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে আমিরাতের অগ্রাধিকার বিষয় হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের পাশাপাশি মানবিক করিডোর চালু করা।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বের করে দিলেও আবুধাবিতে এখনো ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত অবস্থান করছেন। এ ছাড়া যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়নি আমিরাত। সরকারের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে একটি সূত্র। আরেকটি সূত্র বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যা অর্জিত হয়েছে সেটি হারাতে চায় না আমিরাত সরকার।


আরও খবর



চীনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানসি প্রদেশে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ৫১ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য বিট্রিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শানসি প্রদেশের লুলিয়াং শহরে একটি বহুতল অফিস ভবনে আগুন লাগে। এতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত ওই ভবনের চতুর্থতলায় অবস্থিত ইয়ংজু কয়লা কোম্পানির অফিস থেকে হয়েছে। আগুন লাগার পর সেখান থেকে ৬৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫১ জনকে লুলিয়াংয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। 

আরও পড়ুন>> হঠাৎ ওয়াশিংটন যাচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

এদিকে চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে পোস্ট করা ভিডিওতে ভবন থেকে আগুনের শিখা ওই ভবন থেকে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া ভবনের পার্কিংয়ের জায়গায় বেশ কিছু লোক জড়ো হয়ে আগুন জ্বলতে দেখছেন। এ সময় জরুরি বিভাগের লোকজনকে আগুন নেভানোর তৎপরতা চালাতে দেখা যায়।

গত অক্টোবরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইনচুয়ান প্রদেশের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণে ৩১ জনের প্রানহানি হয়। এছাড়াও চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানী বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ২৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর