বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হয় জনপ্রিয়
রয়েল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল। রেট্রো ডিজাইনের রোডস্টার বাইক কিনতে কার্যত শোরুমের বাইরে
লাইন লাগান ক্রেতারা। কিন্তু আইনগত কারণে বাইকটি আমদানি বা রাস্তায় চালানো যায় না।
তবে লাখো বাইকপ্রেমীর স্বপ্ন হয়তো এবার সত্যি হতে চলেছে। বাইকটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান
একটি কারখানা খুলতে চলেছে বাংলাদেশে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে
বলা হয়, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও নেপালেও ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। তবে
আইনগত ঝামেলা এড়াতে দেশদুটিতে খোলা হবে কারখানা।
রয়েল এনফিল্ডের প্রধান নির্বাহী ব গোবিন্দরাজন
বলেন, গত অর্থবছরে রপ্তানি দারুণ বেড়েছে। বিশ্ব বাজারে উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ
ও নেপালে অ্যাসেম্বলি ইউনিট শুরু করতে চলেছে রয়েল এনফিল্ড।
বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে মাঝারি ওজনের
অর্থাৎ ২৫০ সিসি থেকে ৭৫০ সিসির মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলি করে রয়েল এনফিল্ড। এবার এই
তালিকায় যোগ হবে বাংলাদেশ ও নেপাল।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোবিন্দরাজন
বলেন, যেসব বাজারে রয়েল এনফিল্ডের উপস্থিতি রয়েছে, সেখানে মার্কেট শেয়ার বাড়ানোর দারুণ
সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনের কারণে ভারতে বানানো
মোটরসাইকেল তারা সরাসরি বাংলাদেশ কিংবা নেপালের বাজারে রপ্তানি করতে পারবে না, বরং
স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাজারে নামানো হবে তাদের মোটরসাইকেল।
গোবিন্দরাজন বলেন, উত্তর আমেরিকা দিয়ে
এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। যেখানে আজ আমাদের মার্কেট শেয়ার ৮ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে
ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এই মার্কেট শেয়ার প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড়
অবদান তাদের ‘জে’ সিরিজের ইঞ্জিন
যেমন রয়েল এনফিল্ড মিটিওর, ক্লাসিক ও নতুন হান্টার মডেল।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির ক্ষেত্রে দারুণ
নজির গড়েছে রয়েল এনফিল্ড। ২০২৩ সালে এক লাখ ৫৫ ইউনিট রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালে হয়েছিল
৮১ হাজার ৩২টি।
গোবিন্দরাজন বলেন, আমাদের এখন লক্ষ্য উত্তর
আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল, বাংলাদেশ ও নেপাল। নতুন অর্থবছরে
দক্ষিণ এশিয়াতেও বিক্রি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া,
থাইল্যান্ডসহ ৪০টির বেশি দেশে ২৫০ সিসি থেকে ৭৫০ সিসির মোটরসাইকেল সংযোজন করে রয়েল
এনফিল্ড। এ তালিকায় খুব দ্রুতই যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশ।