
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ
জয়। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশে ৩৯টি
হাই টেক পার্ক করা হয়েছে। এসব পার্কে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি, বিদেশিদের জন্য শতভাগ মালিকানার
নিশ্চয়তা, আয়কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক
ধরণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক
সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির ‘মিনিস্ট্রিয়াল
কনফারেন্সে’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন সজীব ওয়াজেদ
জয়।
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাক্টরি
বা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে তৈরি অবকাঠামোর সুবিধা নিতে চান তারা এখানে বিনিয়োগ
করতে পারেন।’
বর্তমানে স্যামসাংসহ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে
পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে উল্লেখ করে সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের
অষ্টম কনজুমার মার্কেট। এখানে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে। এখানে স্টার্টআপদের জন্য
বিশাল সুযোগ রয়েছে। আমার বিশ্বাস, আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মেইড ইন চায়না বা
ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট, হার্ডড্রাইভে মেইন ইন বাংলাদেশ
দেখা যাবে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব
দিতে চায় এবং সে অনুযায়ী দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন,
‘চতুর্থ শিল্প
বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে
নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি,
রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে নেতৃত্ব দিতে
সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জয় বলেন, উদ্ভাবনের পথে একযোগে কাজ করতে হবে।
তাহলেই আমরা এগিয়ে যাবো। বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার, বিদ্যুতের ব্যবহার এবং ট্রানজিস্টার
আবিষ্কার ব্যাপক শিল্পায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে মানব সভ্যতার গতিপথ বদলে দিয়েছিল বলে ওই
তিন ঘটনাকে তিনটি শিল্প বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এখন বলা হচ্ছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন
উদ্ভাবনের পথ ধরে আসছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, যেখানে বহু প্রযুক্তির এক ফিউশনে ভৌত জগৎ,
ডিজিটাল জগৎ আর জীবজগত পরস্পরের মধ্যে লীন হয়ে যাচ্ছে।
২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আইটি রফতানি এক সময় পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে।’ মহামারিকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে জয় বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের প্রসার বেড়েছে মহামারির এই সময়ে।
অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় ‘এনশিওরিং এন ইনক্লুসিভ, ট্রাস্টেড অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডিজিটাল সোসাইটি’ শীর্ষক এই আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও বক্তৃতা করেন।