বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা
উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন কিংবা লেখাপড়া করতে যে কয়টি দেশের তালিকা পছন্দে রাখেন এরমধ্যে
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও কানাড্। আর এই করোনা মহামারির মধ্যেই কানাডায় বাংলাদেশী
শিক্ষার্থীসহ অন্য দেশের শিক্ষার্থীরা কাজের অনুমতি পাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের নতুন করে
কাজের অনুমতি দিতে যাচ্ছে কানাডা।
শিক্ষার্থীরা
আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে কাজের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদন চলবে আগামী
২৭ জুলাই পর্যন্ত। কানাডায় কাজের অনুমতির (ওয়ার্ক পারমিট) যে কর্মসূচি চালু আছে তার
আওতায় বিদেশি পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষে তিন বছর পর্যন্ত কাজ করতে
পারেন। এই কর্মসূচিটিকে স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ হিসেবেই দেখা হয়।
কানাডায় পড়তে
আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রমিক স্বল্পতা পূরণ করতে চায় দেশটির সরকার। এজন্য
বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে।বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে
কানাডায় রেখে দিতে চায় দেশটির সরকার। দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো
বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে অনেক শিক্ষার্থী সমস্যা পড়েছেন। লেখাপড়া শেষ
হলেও কাজ করতে পারছেন না। পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীর কাজের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ
হয়েছে। কারও কারও শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। এসব শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থী নতুন করে
কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন করে চাকরি খুঁজে পেতে আরও ১৮ মাস তারা কানাডায়
থাকার অনুমতি পাবেন। তথ্যসূত্র: সিআইসি নিউজ, কানাডা
বিদেশি শিক্ষার্থীদের
প্রতি অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, কানাডায় লেখাপড়া করতে আসা শিক্ষার্থীদের অবদান
এদেশে রয়েছে। তারা এদেশে লেখাপড়া করুক তা নয়, আমরা চাই বিদেশি শিক্ষার্থীরা কানাডায়
থেকেও যাক।
কানাডায় বছরে বিদেশী শিক্ষার্থীরা অর্থনীতিতে ২১ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখেন। ২০১৯ সালে কানাডায় পড়াশোনা শেষ করে কাজে যুক্ত হয়ে ৫৮ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে অনেকে কাজ পেয়েছেন। আর যারা পাননি বা শেষ হয়ে গেছে, তাদের জন্যই এই নতুন কাজের অনুমতি দিতে যাচ্ছে কানাডা সরকার।