বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ শুরু হয়েছে। বাড়ির আশেপাশে পরিত্যাক্ত জমিতে আদা চাষ করে আশার আলো দেখছেন মেহেরপুরের আদা চাষিরা। কৃষি প্রযুক্তির এই আধুনিকায়নে কৃষকের প্রতি ইঞ্চি জায়গা ব্যবহারে এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষীরা।
কৃষি অফিসের উদ্যোগে পরিত্যাক্ত প্রতি ইঞ্চি জায়গা চাষের আওতায় আনতে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু হয়েছে। সেই লক্ষে পরীক্ষামূলক মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে দু’জন চাষী তাদের বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত জায়গায় ৮০০টি বস্তায় চাষ আদা করেছে।
চাষীরা জানায় কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমে একটি বস্তায় ৩ ঝুড়ি মাটি, ১ ঝুড়ি বালি, ১ ঝুড়ি গোবর সার ও ২৫ গ্রাম দানাদার কীটনাশক মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে বস্তায় ভরে তিন টুকরো অঙ্কুরিত আদা পুঁতে দিয়ে এই চাষ করা হয়েছে। এতে বস্তা প্রতি খরচ হয়েছে ২০-২৫ টাকা। ইতোমধ্যে আদার গুটি নিতে শুরু হয়েছে । চাষীরা আশা করছে ভাল লাভের।
আমঝুপি গ্রামের আদা চাষী জানান, আমার বাগানে দুই কাঠা জমি পড়ে ছিল কৃষি অফিসের পরামর্শে ৩০০ বস্তায় আদা চাষ করি। এ চাষে বেশি খরচ হয়নি মাত্র পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এতে যে আদা হবে বাজারে সর্ব নিম্ন দামো পায় তাও ৩০ হাজার টাকা আসবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার আদা চাষী জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে আদা চাষ করে প্রতি বস্তায় এক কেজি করেও ফলন পাওয়া যায়। তবে বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হলেও চাষীরা ভাল লাভবান হবে। আমার এ আদা চাষ অনেকে দেখতে আসছে আমি আশা করি এবার আমার দেখাদেখি অনেকেই করতে উদ্ধবো হবে।
মেহেরপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, পতীত জমির সৎ ব্যবহারের অনেক গুলো উপাদান আছে তার মধে সব থেকে ভালো চাষ আদা চাষ। একদিকে পতীত জমি অন্যদিকে ছায়াযুক্ত পতীত জমি যেখানে কোন আবাদ হয়না এমন এক জায়গায় এই জায়গা গুলো আবাদের আওতায় আনতে। আমরা কৃষি বিভাগ চাচ্ছি যে বাড়ির পতীত জমিতে আবাদ করতে পারি তারই একটি উদাহরণ আদা চাষ। আগামিতে কিভাবে লাভবান হতে পারি সেই সম্পর্কে তাদের আমরা পরামর্শ দিচ্ছি।