আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাড়ছে মাদকের ব্যবহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নেশার টাকা জোগাড় করতে মাত্র ২০ হাজার টাকায় দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বিক্রি করেন এক মাদকাসক্ত বাবা। গত ৮ জুন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এ ঘটনার পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমরান পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। টাকার জন্য তিনি সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার পর শিশুর মা লামিয়া আক্তার থানা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ইমরান হোসেনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার দাবি করেন, মূলত মাদকের টাকার জন্যই তাদের শিশুসন্তান অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে স্বামী।

গত ২৩ মে রাজশাহীতে নেশার টাকার জন্য ছিনতাই করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এক চাকরিজীবী। ৩৬ বছর বয়সী আব্দুল ওয়াদুদ বুলবুল নামের ওই ব্যক্তি সচ্ছল পরিবারের সন্তান। বাণিজ্যে স্নাতক পাস করে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন। রয়েছে স্ত্রী-সন্তান; কিন্তু মাদকের নেশায় তিনি এখন ভয়ংকর ছিনতাইকারী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। নেশার টাকা সংগ্রহ করতেই ছিনতাই করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ওয়াদুদ। তার বাড়ি নগরীর নওদাপাড়া এলাকায়। ওয়াদুদের বাবা আব্দুল হামিদ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন। তাদের চারতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে বাস করেন ওয়াদুদ।

পুলিশ জানায়, ওয়াদুদ ভয়ংকর ছিনতাইকারী। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, শখ করে এক বন্ধুর সঙ্গে একদিন ফেনসিডিল সেবন করেন। এরপর ইয়াবা ট্যাবলেট। তারপর চেষ্টা করেও আর এসব ছাড়তে পারেননি। মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে টাকা সংগ্রহ করতেই তিনি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ জগতে পা বাড়িয়েছেন।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শাতিল সিরাজের স্ত্রী ইফফাত জাহানের ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। থানায় অভিযোগ হলে ঘটনার পরদিন রাতে ওয়াদুদকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। ইফফাত জাহান রিকশায় চড়ে নগরীর রেলগেট থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই মোটরসাইকেল নিয়ে ইফফাতের ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যান ওয়াদুদ। পরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন ওয়াদুদ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা ব্যাগ ও টাকা। তবে ইফফাতের মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি। ছিনতাই করা মুঠোফোনটি তিনি ড্রেনে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগেও তিনি এভাবে ছিনতাই করেছেন।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মাদকের নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য অনেক সচ্ছল ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরাও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।

শুধু এক ওয়াদুদ বা ইমরান নয়, প্রায় প্রতিদিনই মাদকের টাকার জন্য কেউ হয়ে উঠছেন ছিনতাইকারী, কেউবা খুনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বাৎসরিক রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রতি বছরই দেশে মাদকের অপব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে সবচেয়ে বেশি ইয়াবার ব্যবহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৬ জুন মাদকদ্রব্য জব্দের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দেশে হেরোইনের অপব্যবহার বেড়েছে। গাঁজার অপব্যবহার ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান থাকলেও ২০১৮ সাল থেকে গাঁজার অপব্যবহার কিছুটা কমেছে। ফেনসিডিল ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে কিছুটা কমলেও ২০১৭ সালে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে স্থিতিশীল ছিল। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ইনজেক্টিং ড্রাগের অপব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে কমে ১৭ সালে আবারো বাড়ে।

২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব ও কোস্টগার্ড মিলে জব্দ মাদকের পরিমাণে দেখা যায়- ২০১৪ সালে কোকেন ২.০৮৫ কেজি, ফেনসিডিল ৭৪১১৩৭ বোতল ও ৪৩৮.২১৮ লিটার, হেরোইন ৭৮.৩০৩ কেজি, বিদেশি মদ ২৯৩২৫৪ বোতল, গাঁজা, ৩৫৯৮৮.৫৬ কেজি, ইনজেকটিং ড্রাগ ১৭, ৮৮৯ পিস, ইয়াবা ৬৫,১২,৮৬৯ পিস জব্দ করে। ২০১৫ সালে কোকেন ৫.৭৭৮ কেজি, ফেনসিডিল ৮৭০২১০ বোতল ও ৫১০৪.৭৫ লিটার, হেরোইন ১০৭.৫৩৯ কেজি, বিদেশি মদ ৩২২৫৮৯ বোতল, গাঁজা, ৩৯৯৬৭.৫৯ কেজি, ইনজেকটিং ড্রাগ ৮৫, ৯৪৬ পিস, ইয়াবা ২,০১,৭৭,৫৮১ পিস জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে- ভারত থেকে ২৩ রুটে, মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবানের ১৫টি রুট ব্যবহার করে দেশে মাদক ঢুকছে। ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশের অনুরোধে সীমান্তের আশাপাশের ফেনসিডিল কারখানা এরই মধ্যে ধংস করেছে ভারত। তবে এখনো যেসব কারখানা আছে সেগুলো ধীরে ধীরে ধংস করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভয়ংকর যেসব মাসক আসছে, সেগুলো রোধে ভারতের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের সব সময় অনুরোধ করছি এবং আমাদের অনুরোধে তারা ফেনসিডিল কারখানা সরিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমার, যেখান থেকে ভয়ংকর মাদকগুলো আসে। সেই ড্রাগগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সর্বত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমাদের ডিজি তাদের ডিজির আলাপ হচ্ছে, আমরা তাদের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মিয়ানমারকে যখন আমরা অবহিত করি তখন তারা বুঝেন, পরে আর কিছু করেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ কারণে আমরা সীমান্তে বিজিবিকে শক্তিশালী করছি, আমাদের কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করছি। এই মাদক যাতে দেশে না ঢুকতে পারে সেদিকে নজরদারি করছি। আমরা সীমান্ত এলাকায় সেন্সর বসানোর ব্যবস্থা করছি, যাতে কেউ আসলে বা গেলে তার অস্তিত্ব আমরা টের পাই।

মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহার বর্তমান বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত সব দেশই আজ এ সমস্যায় আক্রান্ত। আমাদের দেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের প্রধান দুটি মাদক উৎপাদনকারী বলয়ে অবস্থিত হওয়ায় এটি মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। এতে দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে যুব সমাজের একটি অংশ মেধা ও কর্মশক্তি হারিয়ে ফেলে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সারা বিশ্বে যেভাবে কাজ করে, আমরাও ঠিক সেভাবে কাজ করি। সাপ্লাই হ্রাস, ডিমান্ড হ্রাস ও হার্ম হ্রাস এই তিন পদ্ধতিতে আমরা কাজ করে থাকি।

মাদক যখন কেউ গ্রহণ করা শুরু করে দেয়, সেটা থাকে কৌতূহলবসত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে তারা সিগারেটে এক-দুই টান দেয়। এক দুই টান দিতে দিতেই কোস দিন যে চেইন স্মোকার হয়ে যায় সেটা তার অজান্তেই হয়ে যায়। তার পর শুরু করে দুই এক ছিলিম গাঁজা দিয়ে। তার পরে সে যে উল্কার মতো চলে, সে নিজেও বুঝতে পারে না। আমরা হার্ম হ্রাসের জন্য এই সমস্ত ড্রাগ অ্যাডিক্টেডদের খুঁজে বেড়াই। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান রয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। কারো কারো পরিসংখ্যানে আরো বেশি। মোট মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। মাদকাসক্তদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ আবার যৌন অপরাধী। জেলখানায় যত মানুষ আছে, এর বেশিরভাগই মাদক পাচারকারী কিংবা কারবারি। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদকসেবীদের ৮০ শতাংশই যুবক। আমরা সরকারিভাবে বলেছিলাম প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। এখনো কিন্তু একটা মেনে চলছে। সমীক্ষা বলছে, ৮ শতাংশ ধূমপায়ী কমেছে কিন্তু আমার মনে হয় আরো কমেছে। সবাই মিলে কাজ করলে আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ হতে পারব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে মাদকাসক্ত মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপির পাশাপাশি নোডাল এজেন্সি হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মাদকাসক্ত

আরও খবর



শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনের প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যানবাহন চলাচলেও দেওয়া হয় বাঁধা।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশা দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



সোমবার থেকে ঢাকাসহ ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে পাঁচ জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরামর্শে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) তারিখ বন্ধ থাকবে।

তবে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রবিবার থেকে নতুন করে সারা দেশে আবারও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তিন দফা ৭২ ঘণ্টা করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ রবিবার থেকে প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া বাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলার নিন্দা জানালেন বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। তবে ইরানের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের পর ইরানের হামলার বিষয়ে এক বিবৃতি জারি করেছেন বাইডেন। এতে তিনি ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

বাইডেন বলেছেন, প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে আগেই সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ইসরায়েলের নিরাপত্তার ব্যাপরেও তিনি অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বা অবকাঠামোতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে যে কোনো ধরনের হুমকির ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকবো।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



কামারখন্দে প্রভাষককে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চৌবাড়ী ড. ছালাম জহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলামকে (বাদল) গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার কলেজপাড়া এলাকায় শফিকুলের শশুর বাড়ির পাশের একটি পুকুর পার থেকে তাকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজনসহ তার স্ত্রী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কা মুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কামারখন্দ থানা-পুলিশ ও সিআইডির সদস্যরা সেখান থেকে একটি চাপাতি জব্দ করে।

শফিকুল উপজেলার চরকামারখন্দ এলাকার মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে ও জামতৈল কলেজপাড়া এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ের জামাতা।

ঘটনাস্থলে আসা স্থানীয় কয়েকজন জানান, আমরা সকালে খবর পেয়ে এখানে এসে শুনতে পাই শিক্ষককে গলা কেটে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে লোকজন তাকে স্থানীয় খোকন মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পাঠান।

চৌবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ জুনায়েদ হোসেন জানান, ওই শিক্ষক অনেকদিন যাবত মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিলেন। সে কোন ক্লাস নিতে পারত না। তবে তিনি খুব সাদা ও সরল মনের মানুষ। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না।

কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।


আরও খবর