আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বাড়ে দূষণ কমে বাজেট!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে উন্নয়নে দৃশ্যচিত্রের উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে পবিবেশকে সুরক্ষা রাখার সক্ষমতা। প্রতি বছর উন্নয়নের জন্য সব খাতে বাজেট বাড়ানো হলেও বাজেট বাড়ে না পরিবেশ খাতে। অথচ দেশের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পরিবেশ। প্রতি বছর পরিবেশ দূষণের কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কারণেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ থাকে দেশ। ২০২০ সালে এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্স (ইপিআই) অনুযায়ী, বিশ্বের চরম ঝুঁকিপূর্ণ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল একেবারে তলানিতে অর্থাৎ ১৮০তম। অথচ এ অবস্থায়ও বিগত বছরগুলোতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ কমেছে। প্রতি বছর বাজেটে পরিবেশকে গুরুত্বে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন দেশে এখনো পরিবেশকে মনে করা হয় ক্রসকাটিং বিষয়। কিন্তু সারা বিশ্বে পরিবেশ এখন একটা প্রধান বিবেচ্য বিষয়। পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে চিন্তা করার নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন, সেটি দেখা যেতে পারত বাজেট থেকে। বিগত বছরগুলোয় পরিবেশের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, তা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটের তুলনায় খুবই কম। পরিবেশের ক্ষতির কারণে আমাদের অর্থনীতিতে যে পরিমাণ নেতিবাচক প্রভাব আছে সেটা যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আরো সক্ষমতা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শও দেন তারা।

বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচটি অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়লেও বরাদ্দ খুব একটা বাড়েনি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের। সবশেষ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। যা এর আগের অর্থবছরের (২০২০-২০২১) চেয়ে ২৫ কোটি টাকা কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দ পেয়েছিল ১ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) এ বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে (২০১৭-২০১৮) তা ৭৩১ কোটি টাকা কমিয়ে করা হয় ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। তবে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা করা হয়।

সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা যেন পরিবেশের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ও উৎপাদনে এ বরাদ্দের ৩০ ভাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি সবুজায়ন বাড়ানোর জন্য সারাদেশে ১০ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা যেতে পারে। পরিবেশ খাতের উন্নয়নের অন্যতম শর্তই হচ্ছে পর্যাপ্ত গবেষণাগার। যার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পারব ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব।

কৃষির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব, তা থেকে উত্তরণ ও আগাম ফসল প্রস্তুতিতে বরাদ্দের অর্থ প্রয়োজন পড়বে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সারিতে অবস্থান। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিল্পায়ন বাড়লেও ছোট হয়ে আসছে নদ-নদী ও খাল-বিল। উজাড় হচ্ছে বনভূমি, দূষিত হচ্ছে বাতাস। বায়ুদূষণে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় প্রথম থেকে পঞ্চম সারিতে উঠানামা করছে। আবার কোনো সময় হুট করেই শীর্ষে চলে আসে। যা নগরীবাসীর জন্য স্বাস্থ্যের ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করেছে। আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, টেকসই পরিবেশ-বান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলো সঠিক মূল্যায়ন ও প্রয়োগ করা না গেলে সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মহলে।

আবদুল্লাহ আল নাঈম। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবেশ নিয়ে কাজও করছেন একটি পরিবেশ সংগঠনে। পরিবেশে বাজেট নিয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা এমনি একটি কাজ, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক কিছু। এটি সুরক্ষায় সর্বদায় আমাদের সবাইকে সচেতন ও সংঘবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পরিবেশে যে বাজেট আমরা লক্ষ করছি সেটা পরিবেশের ক্ষেত্রে সেটা সামান্য। এটা দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় শতভাগ মনিটরিং করা হয়তো সম্ভব হয় না। আমরা চাই, সরকার এ বিষয়ে আরো জোরালোভাবে নজর দিক। এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশ দূষণে সব কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, পরিবেশের বাজেট অবশ্যই বাড়ানো উচিত। বিগত সময়ে যখন বাজেট কম ছিল তখন পরিবেশে বাজেট হিসেবে ঠিক ছিল। মাঝেও বাজেট বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে যে বাজেট রয়েছে তার থেকে বাজেট বাড়লে মাঠ পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষায় মনিটরিংটা একটু বৃদ্ধি পাবে। আমরা সব সময়ই বলব, পরিবেশ রক্ষায় সর্বদায় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমাদের দেশে যখন বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ছিল তখন পরিবেশে বাজেটের পরিমাণ ভালো ছিল। এখন আবার সেটা লক্ষ করা যায় না। দিন দিন বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু পরিবেশের বাজেটের পরিমাণ বাড়ছে না। সবশেষ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ২০২১-২০২২ বাজেট কমেছে ২৫ কোটি। পরিবেশে বাজেট বাড়ানো খুবই জরুরি। পরিবেশের ভেতরে অন্যান্য জিনিসগুলো এমনভাবে দেয়া হচ্ছে যেগুলো আসলে পরিবেশের না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা অবকাঠামোর বরাদ্দকে পরিবেশে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, যথাযথভাবে যেন পরিবেশের জন্য টেকসই বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলে হামলার জেরে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ইইউ’র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে বসা সংঘাতের লাগাম টানতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ’র ২৭ দেশের নেতাদের বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েল ইরানের হামলার প্রতিশোধ নেয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটি তারা কীভাবে নেবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরায়েল নিজস্বভাবে বড় ধরনের হামলার জবাব যেন না দেয়।’


আরও খবর



সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর



ঢাকা থেকে আরব আমিরাতগামী ৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নজিরবিহীন বৃষ্টি আর আকষ্মিক বন্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে দুবাই ও শারজাহগামী নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আরব আমিরাতে বাজে আবহাওয়ায় কারণে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে দুবাই ও শারজাহগামী যে নয়টি ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল, সেগুলো বাতিল করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলো। এর মধ্যে এয়ার এরাবিয়ার পাঁচটি, এমিরেটসের দুটি এবং ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইট রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টিতে দুবাইয়ের পথঘাট, শপিংমল ও বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়ে তলিয়ে গেছে। বন্ধ রাখতে হয়েছে বিমান চলাচলও। খালিজ টাইমস জানিয়েছে, ১৯৪৯ সালের পর থেকে এমন বৃষ্টিপাত দেখেনি মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানুষ।


আরও খবর



এবার ঈদেও চমক নিয়ে আসছেন ড. মাহফুজুর রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত কয়েক বছর ধরে ঈদে ড. মাহফুজুর রহমানের গান মানেই শ্রোতাদের বাড়তি আগ্রহ। ইতিবাচক-নেতিবাচক, আলোচনা-সমালোচনার মধ্যদিয়ে তার গান বাড়তি আনন্দ যোগ করে ঈদে। প্রতি বছরের মতো এবারও একগুচ্ছ নতুন গান নিয়ে আসছেন তিনি। থাকছে বিশেষ একক সংগীতানুষ্ঠান। ১০টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানটি। বিষয়টি এটিএন বাংলা’র পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন গানের শুটিংয়ে শেষ। আর খুব শিগগিরই গানগুলোর সম্পর্কে সবাইকে জানানো হবে। এবারের অনুষ্ঠানে থাকছে একাধিক চমক।

এদিকে, বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান বরাবরই তার একক গানের অনুষ্ঠানে নানা চমক রাখেন। গেল বছর তিনি গজল সম্রাট ও পাকিস্তানের গজল গায়ক মেহেদী হাসানের প্যায়ার ভারে দো শার্মিলে ন্যান’, রাফতা রাফতা’ গেয়ে শোনান।


আরও খবর