আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাতাসে করোনা ছড়ানোর শক্তিশালী প্রমাণ পেলেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
বাতাসের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের তৃষ গ্রিনহাফ। তার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা পর্যালোচনা শেষে তা প্রকাশ করেছেন এবং বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বলে শক্তিশালী প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে একটি টিম গবেষণা চালিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছেন বলে ব্রিটিশ চিকিৎসাবিষয়ক ম্যাগাজিন দ্য ল্যানচেটে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই ওই প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, করোনার এসএআরএস-কোভ-২ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার এমন সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দৃঢ় প্রমাণ পাওয়া গেছে। করোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসকরা যেসব প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা বাতাসের কারণে ব্যর্থ হয়। বাতাসে করোনাভাইরাস ব্যাপক বিস্তার ঘটে। ফলে করোনা আক্রান্ত রোগীরা অনিরাপদ হয়ে পড়েন।

কো-অপারেটিভ ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস (সিআইআরইএস) এবং ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বৌলডারের এক রসায়নবিদ হোসে লুইস জিমেনেজ বলেছেন, বাতাসের করোনাভাইরাস ছড়ানোর বড় ধরনের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। তবে বড় বড় ড্রপলেট বা হাঁচি কাশির যেসব বিন্দু আকারে জলীয়বাষ্প বেরিয়ে যায়, তার মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়ানোর পক্ষে প্রমাণ কম।

তিনি আরও দাবি করেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার বিষয়ে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক নির্ভরশীলতার ওপর নির্ভর করে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্য স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক এজেন্সিকে সংক্রমণ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত বর্ণনা প্রচার করা খুব জরুরি। বিজ্ঞানসম্মত বর্ণনা প্রচার করলে বাতাসের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

বাতাসের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের তৃষ গ্রিনহাফ। তার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা পর্যালোচনা শেষে তা প্রকাশ করেছেন এবং বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়, তার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ১০টি পয়েন্ট উত্থাপন করেন। এর শীর্ষে রয়েছে স্কাগিট চোইর প্রাদুর্ভাবের মতো সুপার স্প্রেডার। এতে একজন মাত্র আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ৫৩ জন আক্রান্ত হতে পারে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, অভিন্ন কোনো তল স্পর্শ করা বা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ব্যাখ্যা করা যায় না।

গবেষণা দলের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ অধিক হারে ইনডোর বা আবদ্ধ ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি। ঘরের বাইরে বা আউটডোরে এই সংক্রমণের হার কম। ফলে ইনডোরে ভেন্টিলেশন বা বাতাস যাতায়াতের পথ খোলা রাখার মাধ্যমে এ সংক্রমণকে অনেকাংশে কমিয়ে রাখা যায়।

গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, নীরব সংক্রমণে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনভাবে আক্রান্ত হওয়ার শতকরা হার মোট সংক্রমণের মধ্যে শতকরা কমপক্ষে ৪০ ভাগ। বিশ্বজুড়ে বাতাসের মাধ্যমে এই নীরব সংক্রমণ করোনা ছড়িয়ে পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।


আরও খবর



লোকসভায় টিকিট পেলেন কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমা জগতের বাইরেও বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ সক্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। জানান দিয়েছেলেন রাজনীতিতে নামার আগ্রহের কথাও।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সমর্থনেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকেছেন বেশ সক্রিয়। এবার যেন সেটিরই পুরস্কার পেলেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে মোদির দলের হয়ে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

রবিবার (২৪ মার্চ) লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের পঞ্চম তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই পাওয়া গেল কঙ্গনার নাম। এছাড়া এই তালিকায় অভিনেতা অরুণ গোভিলের নামও রয়েছে। তিনি বিজেপির হয়ে লড়বেন উত্তর প্রদেশের মিরুত থেকে।

বিজেপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক্স-এ কঙ্গনা লিখেছেন,প্রিয় ভারত ও ভারতীয় জনতার নিজস্ব দল বিজেপির জন্য বরাবরই আমার সমর্থন ছিল। আজ দল থেকে আমাকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে, আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে। আমি দলের উচ্চ পর্যায়ের আদেশ মেনে নির্বাচন করব। আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করছি দলের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে মানুষের সেবা করতে পারব।

প্রসঙ্গত, ভারতে লোকসভা নির্বাচনে সাত ধাপে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে যা চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ৪ জুন।


আরও খবর



পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরীফ। রোববার (৩ মার্চ) দেশটির জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে এই পদে নির্বাচিত হন তিনি।

এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন প্রভাবশালী শরীফ পরিবারের এই সদস্য। রোববার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরীফ ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২, নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ জন্য জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি ও অন্য সমমনা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন পিএমএল-এন নেতারা। একপর্যায়ে ছয়টি দলের একটি জোট গঠন করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন।

অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। তাই নির্বাচনে জয়ী পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। মূলত জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই।

নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়েও পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বার বার নওয়াজ শরীফ নাম উঠে আসছিল। তবে নির্বাচনের পরে হঠাৎ করে এই দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ছোট ভাই শাহবাজ শরীফের নাম ঘোষণা করেন নওয়াজ। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের জোট সরকার বিদায় নিলে শাহবাজের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। ওই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবারও পাকিস্তানে এই ধরনের একটি জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে।

জাতীয় পরিষদে হট্টগোল

রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট হয়। ভোট উপলক্ষে সকাল গড়াতেই একে একে পার্লামেন্ট ভবনে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা। এরপর জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় কারাবন্দি ইমরান খানের দল পিটিআই এবং পিএমএল-এন ও জোটের শরিক দলের এমপিরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাদের এই পাল্টাপাল্টি স্লোগানে জাতীয় পরিষদে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) সংসদ সদস্যরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পরিষদ থেকে ওয়াক আউট করেন। বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) মেঙ্গালের আখতার মেঙ্গল প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন বর্জন করেছেন। তিনি জাতীয় পরিষদে অবস্থান করলেও ভোট দেননি।


আরও খবর



লাদাখকে কেন্দ্র করে ফের প্রকট চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ছয় দশক পর ফের তীব্র হয়েছে ফের চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা। চীনের ঘনিষ্ট মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর ঘিরে দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে পারমাণবিক শক্তিধর এই দু'দেশ। সংবাদমাধ্যম দ্য ইউরোএশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্লেষকদের দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চীন এখন এ ব্যাপারে সতর্ক যে, নতুন ভারতকে সহজে পরাজিত করা সম্ভব নয় এবং তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের আগে তারা কোনো সংঘাতের ঝুঁকি নেবে না।

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। সম্প্রতি সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীনের সরকারি গণমাধ্যম বারবার ওই যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে বলা হচ্ছে, ১৯৬২'র অবস্থা থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা।

এর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে চীনা সেনাদের হামলায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এতে চীন-ভারত সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত অবস্থান সংঘর্ষের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বহু বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি পুরোনো অবস্থায় ফেরানো যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েই চলেছে। চলতি বছর (২০২৪) প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। তাইওয়ানে আক্রমণ করে দেশটিকে চীনা মূল ভূখণ্ডের সাথে একীভূত করার লক্ষ্যে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

চলতি সপ্তাহে (৫ মার্চ) প্রকাশিত চীন সরকারের এক কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে এমনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে চীন বলেছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বাইরের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।

তাইওয়ানকে চীনের সাথে একীভূত করার ব্যাপারে বহুদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পূণঃএকত্রীকরণ বলে একটা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল চীন। নতুন প্রতিবেদনে তা সরিয়ে জোরপূর্বক একত্রীকরণ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চীন পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দৃঢ় থাকবে।

চীনের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যেই লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (আরইউএসআই) একটি মন্তব্য কলাম প্রকাশ করেছে। ওয়ার ক্লাইডস ওভার দ্য ইন্ডিয়ান হোরাইজন শীর্ষক ওই কলামে লেখক ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল রিস্ক অ্যানালিটিকসর প্রেসিডেন্ট সমীর টাটা একটি ভয় উদ্রেককারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধ সম্ভবত ২০২৫ ও ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পূর্ব লাদাখে সংঘটিত হবে। লেখক দাবি করেছেন, বেইজিং পূর্ব লাদাখকে (যেটি ভারতের অন্তর্গত) জ্বালানি সুরক্ষার লেন্সের মাধ্যমে দেখে যা চীন-ভারতকে অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।

বিষয়টির ব্যাখা করে লেখক বলেছেন, পূর্ব লাদাখ হলো একমাত্র পথ যেখান থেকে কোনো শত্রুশক্তি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ শিনজিয়াংয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস কাশগরে আক্রমণ ও দখল করতে পারে।

চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো একটি পরিকল্পিত স্থল-ভিত্তিক পাইপলাইন যা ইরানের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে কাশগরের সাথে সংযুক্ত করেছে এবং পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মধ্যদিয়ে গেছে।

ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে এই যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে পূর্ব লাদাখ ও কারাকোরাম পাস চীনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ। কারণ এগুলো তাদের সিপিইসি প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরোএশিয়ান টাইমসকে জেনারেল নারাভানে বলেন, কিন্তু যদি চীনারা মনে করে যে আমরা সিপিইসি বা পাকিস্তান-অধিকৃত-কাশ্মীর বা তিব্বতে তাদের বিচ্ছিন্ন করার অবস্থানে আছি, তবে এটি ১৯৬২ সালের (ভারত ও চীনের মধ্যে প্রথম যুদ্ধের বছর) পর একটি বড় পরিবর্তন।

নিউজ ট্যাগ: চীন-ভারত লাদাখ

আরও খবর



ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ২০

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী ইউক্রেনের শহর ওডেসায় রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৫ জনেরও বেশি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, চলতি মাসে প্রায় প্রতিদিনই রুশ ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা হামলার শিকার শহরটিতে নিষ্ঠুর’ হামলার জন্য রাশিয়া ইউক্রেনের বাহিনীর কাছ থেকে ন্যায্য জবাব’ পাবে।

রাশিয়ার কয়েক সপ্তাহের হামলাগুলোর মধ্যে শুক্রবারের বেসামরিক অবকাঠামোতে চালানো হামলাটিই ছিল সবচেয়ে মারাত্মক।

ইউক্রেনের জাতীয় টেলিভিশনে আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার জানান, মস্কো অধিকৃত ক্রিমিয়ার উপদ্বীপ থেকে ছোড়া দুটি রাশিয়ান ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র শুক্রবার ওডেসার একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত হেনেছে। ধর্মঘটের ফলে কিছু বাসিন্দা গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সম্মুখীন হয়েছে।

কিপার বলেন, বিস্ফোরণগুলো খুবই শক্তিশালী ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি... এটি খুবই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র যা রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় এখানে উড়ে এসেছে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আহতদের চিকিৎসা দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা একজন চিকিৎসক ও একজন উদ্ধারকর্মী দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় নিহত হন। একই সঙ্গে ১০ জন গুরুতর আহত হন।’

স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি ঘটার পরে আহতদের রক্ত দান করার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে লাইন ধরেন। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয়ভাবে শোক দিবস ঘোষণা দেওয়া হয়।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার জানিয়েছেন, হামলায় একটি তিনতলা বিনোদনকেন্দ্র ও ১০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ হত্যাকারীরা যাতে এ হামলায় আমাদের ন্যায্য প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী অবশ্যই সবকিছু করবে।


আরও খবর



স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে গৃহবধূ আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ মার্চ) দশমিনা সদর ইউনিয়নের পূজাখোলা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে আটক করে। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে এ অঙ্গহানির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দম্পতি পূজাখোলা এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ওই গৃহবধূ (৪০) ছুরি দিয়ে তার স্বামীর (৩৫) ডান পায়ের বিভিন্ন স্থান ও পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আহত স্বামীকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

দশমিনা থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, আলামতসহ অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর