আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর তিনটি এবং শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টার প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো.জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন। বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়া।

পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম। আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১৩৫ স্কোর নিয়ে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। বুধবার (০৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ পাকিস্তানের লাহোর ১৬৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ভারতের দিল্লি আজ ১৫৮ স্কোর নিয়ে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, পথে পথে নানা দুর্ভোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে অলিগলি ও প্রধান সড়কে পানি জমতে দেখা গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে।

বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ মোড়, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী রোড ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে এসব এলাকার রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় স্কুলফেরত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রিকশাচালক, অফিসগামী যাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এমন অবস্থায় যানবাহনে গণপরিবহন ও রিকশা সিএনজির সংকট দেখা গেছে। কেউ ছাতা কেউবা রেইনকোট পরে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

শান্তিনগর মোড়ে মায়ের হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ভিকারুননিসা স্কুলের শিক্ষার্থী সাইমা সুলতানা। তারা বলেন, এই এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। স্কুল আসা যাওয়ার কষ্ট হয়। সকালবেলা ভালোভাবে স্কুলে গেলেও লাগাতার বৃষ্টিতে বাসায় পৌঁছাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখানে কোনো রিকশা পাচ্ছি না। রাস্তায় ময়লা পানির মধ্যে জুতা পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।

মালিবাগ মোড়ে কথা হয় পথচারী আব্দুল আজিজের সঙ্গে। তিনি জানান, হাতে জুতা নিয়েও হাঁটতে পারছি না। রাস্তায় হাঁটু সমান পানি। সবসময় এই এলাকায় যাতায়াত করি। এক ঘণ্টার বেশি বৃষ্টি হলেই আমাদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। প্রতি বছর বর্ষা এলেই এই এলাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাসা মৌচাক হওয়ায় চারপাশে যেদিকে যাই পানি জমে থাকে।

এদিকে মৌচাক মোড়ে দাঁড়িয়ে রাস্তায় যানবাহনের সংকটের কথা জনান আসলাম উদ্দীন। তিনি বলেন, পল্টন যাব, বাস আসছে না অনেক্ষণ ধরে। একটা বাস এলেও ধাক্কাধাক্কি করেও উঠতে পারিনি। রিকশা ও সিএনজি ভাড়া বেশি। আবার রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে হেঁটেও যেতে পারছি না।

জানা গেছে, সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারাদিন ঢাকায় গরমের অস্বস্তি থাকবে না। আকাশ মেঘলা থাকবে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ থেকে চলে যাওয়ার পর তারা নিভে গেছে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে, সূর্যের  আলোকে আলোকিত হয়। যারা আওয়ামী লীগকে ছেড়ে গেছে তারা নিজেরাই নিভে গেছে। দলের আলোতে তারাই আলোকিত হয়েছিল। এরপরও কেউ কেউ ফিরে এসেছে তাদের আমরা নিয়েছি। কিন্তু এখনো কেউ কেউ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগকে সরাতে চেষ্টা করছে।

আজ রোববার (২৩ জুন) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন করার পর মাত্র অল্প কিছুদিন সময় পেয়েছিল জাতির পিতা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে ফেলে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। দেশে অতিদারিদ্র্য বলে কেউ থাকবে না। দেশে কারিগরিসহ শিক্ষার উন্নয়ন ও স্মার্ট জনগণ তৈরি, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি। 

আওয়ামী লীগের নেত্রী বলেন, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য আমরা সবকিছু করেছি। মাছ, মুরগি, ডিম উৎপাদন, মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি করে মানুষের চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে। 

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে দলীয় সভাপতি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সংগীত বাজানো হয়৷ জাতীয় সংগীত শেষে আওয়ামী প্রধান বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং আসন গ্রহণ করেন। এরপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আমরা আগামী ১০০ বছরের জন্য ডেল্টা প্লান তৈরি করেছি। দেশ এগিয়ে যাবে। বারবার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, আমন্ত্রিত অতিথিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্যদিয়েই নিরসন হবে।

পরিমণি কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণ হওয়ায় কারণেই সাকলাইনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্যদিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

এর আগে তিনি চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।

পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা

আরও খবর



সাপের শরীরে কীভাবে প্রাণঘাতী বিষ তৈরি হয়, কী বলছে বিজ্ঞান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি দেশের অন্তত ২৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার। বিশেষ করে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহীসহ পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রবের কারণে জনমনে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে দেশবাসীর মধ্যেও।

পদ্মার তীরবর্তী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর চরেই জেঁকে বসেছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। গত তিন মাসে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরেছেন অন্তত ৩৫ থেকে ৪০টি সাপ।

ওই চরে ভুক্তভোগীর এক স্বজন জানান, তার বোনজামাই ভুট্টা আনতে গেলে সাপ ছোবল মারে। সেই সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। পরে তার বোনজামাইকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়েছিল। সেখানে অ্যান্টিভেনম দিলেও বিষক্রিয়া থামানো যায়নি। পরে রাজধানী ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনে জেগে উঠতে পারে প্রাসঙ্গিক একটি প্রশ্ন। রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপগুলো কীভাবে নিজের শরীরে এমন প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করে?

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপের বিষ হলো একটি অত্যন্ত বিষাক্ত লালা। সাপ তার মাথার পিছনের দিকে চোখের নিচে থাকা অতিক্ষুদ্র গ্রন্থিগুলোতে তৈরি করে এই বিশেষ লালা। এই গ্রন্থিগুলো সাধারণত পেশীবহুল আবরণে আবদ্ধ থাকে।

উৎপন্ন এই বিষ অ্যালভিওলি নামক অপেক্ষাকৃত বড় একটি গ্রন্থিতে জমা হয়। ছোবল দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রন্থি থেকে অতিসরু নালী দিয়ে সাপ এর ফাঁপা বিষদাঁত (ফ্যাং) দিয়ে শিকারের রক্তনালীতে বিষ ঢুকিয়ে দেয়। নির্গত এই বিষে ২০ টিরও বেশি বিভিন্ন যৌগ রয়েছে, যা বেশিরভাগই প্রোটিন এবং পলিপেপটাইড। এই বিষ শিকারের স্নায়ুতন্ত্রসহ পেশিকে অকেজো করে দেয়।

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ যাকে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আবারও দেখা মিলছে এই সাপের। গবেষকরা বলছে, প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে স্বভাব পরিবর্তন করছে রাসেলস ভাইপার।

সাপ ও সরীসৃপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রমন বলেন, সঠিক সার্ভে না করেই বাংলাদেশ থেকে রাসেলস ভাইপার বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপটি টিকে ছিল। পরবর্তীতে গঙ্গা হয়ে পদ্মা দিয়ে ২০০৯-১০ সালে ভেসে এসে পদ্মার চরাঞ্চলে অবস্থান নেয়। পরে তারা বংশ বিস্তার করে এবং বন্যায় এগুলো বিভিন্ন জেলায় ভেসে যায়।

চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মিলছে যেসব এলাকায়, সেখানকার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানালেন, সংকট আছে অ্যান্টি ভেনমের। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অ্যান্টি ভেনেমের কোনো সংকট নেই।


আরও খবর