আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

বেগমগঞ্জে ৪০ লিটার চোলাই মদসহ নারী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আলেয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে ৪০ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আলেয়া বেগম জেলার সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের এলাছ মিয়ার মেয়ে এবং মনির আহমদের স্ত্রী।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর এলাকাপাটোয়ারী মার্কেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই বাজারের পাটোয়ারী মার্কেটের সামনে থেকে আলেয়া বেগমকে আটক করা হয়। এরপর তার সাথে থাকা একটি ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত ওই নারী একজন পেশাদার মাদক কারবারি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ফলে সিলেট নগরীর কিছু অংশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ থাকলেও জেলার অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাইভোল্টেজের তারের স্পা‌র্কিং থেকে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কা‌দির বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে হাইভোল্টেজের তারের স্পা‌র্কিং থেকে কেন্দ্রে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে।

এ ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান।


আরও খবর



চৈত্র সংক্রান্তি আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন আজ শনিবার। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। এছাড়া আগামীকাল রোববার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।

চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আগামী রোববার সফলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেখা দেবে নতুন ভোর। পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে রোববার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সব কিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে গোটা জাতির।


আরও খবর



দু’দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুদিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়েও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, আজ মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ফিলস লাইক’-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার।

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে ফিলস লাইক’...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ফিলস লাইক’-এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে ফিলস লাইক’ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা ফিল’ হচ্ছে সেটাকেই গুগল ফিলস লাইক’ বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সিয়াম সাধনার মাস রমজান ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে। ঘনিয়ে আসছে খুশির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

দিন যত এগিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। এতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কোলাহলেও পড়তে শুরু করেছে ভাটা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিনই শিক্ষার্থী কমছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জিয়া হলসহ ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোর সামনে দাঁড়ালেই এখন ব্যাগ-বস্তা ও বিভিন্ন মালপত্র চোখে পড়ছে। বিশেষত সকাল ও সন্ধ্যা সময় এ দৃশ্যটা বেশি দেখা যাচ্ছে। হলগুলো থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে গ্রামে ফেরার আনন্দের ঝিলিক। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে তাদের কথাবার্তায়ও।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সিয়াম কবির বের হয়েছেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। পিঠে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হলের গেটে রিকশার অপেক্ষায়। কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ক্লাস ও পরীক্ষার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয় না। অনেকদিন পর গ্রামে যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগছে। রমজানের শেষ কয়েকটা দিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে ইফতার ও সেহরি করবো, এটা ভেবে খুব আনন্দ লাগছে।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সুলতানা বলেন, বাড়িতে সবাই অনেক অপেক্ষা করে আছে। শেষ সময়ে এখন যেন আর তর সইছে না। কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবো, নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। পড়াশোনার কারণে পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থাকতে হয়। মাঝেমাঝে বাবা-মাকে খুব বেশি মিস করি। একে তো বাড়ি যাচ্ছি, তার ওপর ঈদ- সব আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার। খুব ভালো লাগছে।

তবে শিক্ষার্থীদের এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাওয়ার আনন্দঘন দৃশ্যের বিপরীতে কিছু বেদনাঘন চিত্রও রয়েছে। কারণ, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি যাচ্ছেন না। কারও কারও বিসিএস লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। তারাও যাচ্ছেন না। যদিও আবাসিক হলগুলোতে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন খুবই নয়।


আরও খবর