আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বেনাপোল-হিলিতে কমেছে রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

যশোরের বেনাপোল ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কমায় সরকারের রাজস্ব আদায় সঠিকভাবে হচ্ছে না। ডলার সংকটে ভারত থেকে আমদানি কমায় কমেছে রাজস্ব আয়। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি ৩০৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা বলে কাস্টমস সূত্র জানায়। ৬ মাসে কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ২ হাজার ৬৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

কাস্টমস ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে খাদ্যপণ্য ও শিল্প কারখানার কিছু পণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতে ব্যাংক এলসি খুলছে না। এতে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে পারছে না।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। আমদানি কম হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গেছে। গত বছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ৫৫৮ কোটি টাকা ৮ লাখ টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছিল। অর্থবছরটিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা, সেখানে আদায় করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বেনাপোল দিয়ে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দিয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলছে না। যে কারণে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে রাজস্বও আদায়  কম হয়েছে।

ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, বর্তমানে বেনাপোলসহ যশোরের কোনো ব্যাংক এলসি খুলছে না। যে কারণে আমরা পণ্য আমদানি করতে পারছি না। ব্যবসায়ীরা পড়েছে চরম বিপাকে। পণ্য আনতে না পারার কারণে বিক্রি কমে গেছে। ব্যবসায়িকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যে কারণে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গেছে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, সরকার এলসি করতে শতভাগ মার্জিন দেওয়ার নিয়ম করেছে। গত কয়েক মাস ধর ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এতে আমদানির সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী বেকায়দায় পড়েছেন।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার জানান, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে এলসি খুলতে পারছে না। যে কারণে গত ৬ মাসে পণ্য আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে আমাদের রাজস্ব আয়ও কমে যায়। আমাদের এখানে কোনো হয়রানি হয় না বলে তিনি দাবি করেছেন।

এদিকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কমায় সরকারের রাজস্ব আদায় সঠিক ভাবে হচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণে ভারত থেকে আমদানি কমায় হিলি স্থলবন্দরে কমেছে রাজস্ব আয়। চলতি (২০২২-২৩) চলতি অর্থবছরের গত ছয় মাসে ২৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় এনবিআর। যার বিপরীতে হিলি কাস্টমস আদায় করে ২১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা, ফলে রাজস্ব ঘাটতিতে পরে ৮০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন ডলার সংকটের কারণে তারা চাহিদা মতো পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। আমদানি বৃদ্ধি পেলে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে বলে জানান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য ভারত থেকে পণ্য আমদানি করে থাকে। তবে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ডলার সংকট দেখাচ্ছে; যার জন্য চাহিদা মোতাবেক আমরা পণ্য আমদানি করতে পারছি না। ফলে সরকার যেমন ক্ষতির মুখে পড়ছেন, তেমনিভাবে আমরা ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছি। যেখানে ২০০-২৫০ ট্রাক প্রতিদিন হিলি বন্দরে প্রবেশ করত। বর্তমানে সেটা ১০০-১২০ গাড়িতে এসে দাঁড়িয়েছে।

হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমরা আমদানি করতে পারছি না। কারণ ডলারের সংকট এখনো কাটেনি। বৈশ্বিক করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা ব্যাহত হচ্ছে। এতে হিলি বন্দর দিয়ে পাথরসহ বেশি শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি কমেছে।

হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, ডলার সংকটের প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরে। কমছে আমদানি। যার ফলে রাজস্ব আদায়ে পড়েছে বড় ঘাটতি। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে হিলি বন্দরেই রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৮১ কোটি টাকা। রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে লাগাম টানার চেষ্টা করছে সরকার। বিলাসী পণ্য-দ্রব্যসহ অনেক পণ্যের এলসি খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে হিলি স্থলবন্দরে। আমদানি কমায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ২৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আদায় হয়েছে ২১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন সম্পর্কে জানা যায়, ঈদুল ফিতরে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১ ও ৩) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ ও ৪) চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরে ৫ দিন চালানো হবে।

কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৯ ও ১০) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে (৮ ও ৯) এপ্রিল ও ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।

এছাড়া শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।

ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ঈদের আগে ৭-৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিন এবং ঈদের পরের দিন থেকে ৩ দিন চলাচল করবে।


আরও খবর



কেজিতে জিরার দাম কমলো ৫৫০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান ও ঈদ মাথায় রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে জিরা আমদানি। ফলে প্রতি কেজিতে ৫৫০ টাকা দাম কমেছে মসলাজাতীয় পণ্যটির। আগামীতে এর দর আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে হিলি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এখন কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১১৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে কেজিতে মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৫০ টাকা। সারাদেশের বাজারে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গোটা দেশে প্রকারভেদে এই মসলা বিকোচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকায়।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এবং হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, চলতি বছর ভারত থেকে জিরা আমদানি বেশি হয়েছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারি থেকে ৩ মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দরপতন ঘটেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা ভালো মানের জিরা কাকা ৬০০ টাকা, বাবা ৬২০ টাকা, মধু ৬২০ টাকা, অমরিত ৬০০ টাকা, সোনা ৬৩০ টাকা এবং ডিবিগোল্ড ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমায় ক্রেতার পাশাপাশি খুশি বিক্রেতারাও। তারা জানান, এতে বেড়েছে কেনাবেচা। হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা ওঠায় বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে দর কমছে।

গত বছর রোজা শুরুর আগে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। তবে ডলার সংকট, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কয়েক দফা বেড়ে গত ডিসেম্বরে খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় জিরা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। এখন সেই জিরাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা।

শক্তিমত্তা আর অর্জন যে কোনো দিক থেকে বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবুও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করতে প্রস্তুত টাইগ্রেসরা। এদিকে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার নারী দল এসেছে বাংলাদেশ সফরে। ২০১৪ সালে একবার বাংলাদেশের এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার নারী দল। সেটা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশ দল : মুর্শিদা খাতুন, শোভনা মোস্তারি, ফারগানা হক, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), রিতু মনি, ঝর্ণা আক্তার, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার ও সুলতানা খাতুন।

অস্ট্রেলিয়া দল : অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক), ফোবি লিচফিল্ড, এলিস পেরি, বেথ মুনি, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, জর্জিয়া ওয়ারহাম, অ্যালানা কিং, কিম গার্থ ও মেগান শুট।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবু নাছের বলেন, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে।

এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


আরও খবর