বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বন্দরে পণ্য উঠা-নাম বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় পণ্য উঠা-নামা শুরু হয়। তবে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাতে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর রাশেদের গাড়ি জব্দ করে একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের
হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য
ওহিদুজ্জামান জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর
রাশেদ আলী তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বন্দরের হ্যান্ডলিংক
শ্রমিক ইউনিয়ন অফিস দখলের জন্য বন্দর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ৪০-৫০টি শক্তিশালী
বোমা বিস্ফোরিত হলে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বোমা বিস্ফোরণে বন্দর, কাস্টমসসহ আশপাশের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে সারাদিন বন্দরে পণ্য
উঠা-নামাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। প্রশাসন থেকে অভিযুক্তদের আটকের আশ্বাস পাওয়ার পর
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গতকাল রাতে অভিযুক্ত রাশেদ কাউন্সিলরের
গাড়ি জব্দ করে একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের
সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।