আবারও ভারত বাংলাদেশে ৩মাসের জন্য পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে একলাফে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুন। ইচ্ছামত দাম নিচ্ছেন ব্যাবসায়িরা। রাতারাতি গুদামগুলো থেকে পেঁয়াজ গায়েব করে দিয়েছে অসাধু ব্যাবসায়িরা।
ফলে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে নাভিশ্বাস। ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। দাম আরো বাড়াবে বলে জানান বিক্রেতারা।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যাসহ বিভিন্ন কারণে পেঁয়াজের দাম যায় বেড়ে। ফলে মসল্লার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাতে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবে বলেও দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) আদেশে জানান হয়েছে। পূর্বের এলসির পেঁয়াজ ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রফতানিতে থাকছে শিথিলতা।
গত অগাস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শূল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করে ভারত। এরপর ২৮ অক্টোবর পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি টন ৮০০ ডলারে বেঁধে দিয়ে আদেশ জারি করে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার জানানো হয়, ন্যূনতম রপ্তানিমূল্যের ওই সীমা আরও তিন মাস, অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর রপ্তানিই বন্ধ করার ঘোষণায় বাংলাদেশে দাম যায় বেড়ে।
পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে পেঁয়াজ না কিনে খালি হাতে ফিরছে বাড়ীতে। বাজার মনিটরিংয়ের দাবী জানান তারা। ক্রেতা মফিজুর ও গোলাপ বেগম বলেন নিত্য প্রয়োজনীয় মসল্লা পেঁয়াজ। হঠাৎ রফতানি বন্ধসহ দাম বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
বিক্রেতা মশিশার রহমান ও মোমিন উদ্দিন বলেন, বেশীদামে মোকাম থেকে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজ। বড় বড়ৎ ব্যাবসায়িরা রাখি করে বাজারে ছাড়ছে না পেঁয়াজ। এজন্য বাড়ছে দাম। দেশি পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ বাড়লে ১৫দিনের মধ্যে দাম কমার আশা ব্যাবসায়িদের।
বেনাপোল স্বলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ১ মাসের মধ্যে বন্দরে আসেনি কোন পেঁয়াজ। তবে ভোমরা দর্শনাপোর্ট দিয়ে পেঁয়াজ বেশী আমদানি হয়ে থাকে। দেশীয় পেঁয়াজ আমদানি বাড়লে দাম কমার আশা করেন তিনি।
এদিকে রাতারাতি আসাধু ব্যাবসায়িরা পেঁয়াজের দাম বাড়ালেও প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।