ঝালকাঠির সুগন্ধা
ও বিষখালী নদীতে জোয়ারের পানি আবারও বেড়েছে। নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে প্রবল বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে জেলার চার উপজেলার
নিচু এলাকার অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,
রাস্তাঘাট, মাছের ঘের ও ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়ায় হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ
পোহাচ্ছে। রাতে আতঙ্কের মধ্যে কাটাচ্ছেন নদীতীরের বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও
নদীতীরের বাসিন্দারা জানান, দুই দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি ও নদীতে জোয়ারের পানিতে ৫০টি
গ্রাম তলিয়ে যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে
ক্লাস সংক্ষিপ্ত করে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়েছেন।
জোয়ারের পানিতে
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়। এখানকার আউড়া আশ্রায়ণ প্রকল্পের
৪৪টি ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনওর অফিস ও বাসভবন তিন
ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অপরদিকে শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়ার ডালির খালের বাঁধ ভেঙে ফসলের মাঠ, রাস্তা ও কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বিষখালী নদীর কাঁঠালিয়া অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এ সব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। দীর্ঘ ৫০ বছরেও বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় কাঁঠালিয়া অংশে প্রায় ২৪ কিলোমিটার জায়গা অরক্ষিত রয়েছে।