সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে বর্তমান প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতীয় পতাকা বিকৃতি করে প্রদর্শনের সত্যতা পেয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিকৃতির ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে জাতীয় পতাকা বিকৃতির প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানীকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন-মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার জিন্নাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে বর্তমান প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের একাংশ জাতীয় পতাকা অবমাননা ও বিকৃতি করে প্রদর্শনের মাধ্যমে ছবি তুলছেন। পাশাপাশি পতাকাটি মাটিতে পদদলিত হয়ে আছে।
ছবিটি ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠলেও ঘটনার দিন থেকে চুপ থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পরদিন সংবিধান লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক এবং এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিসিকে প্রধান আসামি করে ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। রোববার ঘটনা তদন্ত করে ভিসিসহ ৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।