বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কান্নার রেকর্ড
ভাঙতে টানা সাতদিন ধরে কেঁদেছিলেন টেম্বু এবেরে নামের এক নাইজেরীয় যুবক। গিনেস ওয়ার্ল্ড
রেকর্ডের খাতায় নাম তুলতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তিই আংশিক হারিয়ে ফেললেন তিনি।
টানা সাতদিন ধরে চোখের পানি ফেলায় ওই ব্যক্তির
রেটিনার একটা অংশকে শুকিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।এক সপ্তাহ ধরে চোখের পানি
ফেলার জন্য এবেরের মাথাব্যথা শুরু হয়। তার মুখ ও চোখ ফুলে গিয়েছিল। প্রথমদিকে তিনি
সব ঝাপসা দেখছিলেন। পরে দৃষ্টিশক্তি আরও ক্ষীণ হয়ে আসে। ফলে বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের কাছে
যান তিনি। তখনই আংশিক অন্ধত্বের বিষয়টি জানতে পারেন নাইজেরীয় ওই যুবক।
আরও পড়ুন<< টমেটো বিক্রি করে এক মাসেই কোটিপতি কৃষক
টানা সাতদিন ধরে কাঁদার জন্য রাসায়নিক
ব্যবহার করেন এবেরে। যা তার চোখের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে এক্ষেত্রে কী ধরনের
রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। এত কিছুর পরও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে
তার নাম ওঠেনি। কারণ, রেকর্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করেননি তিনি।
গিনেসে নাম তোলার জন্য এর আগেও বহু নাইজেরীয়
নানা বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হাইদা বাচি। পেশায় শেফ এই তরুণী
নাইজেরীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরায় খবরের শিরোনামে চলে আসেন।
তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট। কিছুদিন আগেই ম্যারাথন রান্নার রেকর্ডের
চেষ্টা করেন তিনি।
টানা ১০০ ঘণ্টা ধরে রান্না করতে চেয়েছিলেন
নাইজেরীয় বাচি। কিন্তু সেই রেকর্ড তার ছোঁয়া হয়নি। এর আগে ম্যারাথন রান্নার রেকর্ড
ছিল এক ভারতীয়র। সেই রেকর্ড অবশ্য ভাঙতে পেরেছিলেন বাচি।
আরও পড়ুন<< হিজাব না পরায় ইরানের প্রখ্যাত অভিনেত্রীর জেল
এছাড়াও বলতে হবে জন ওবটের কথা। নাইজেরীয়
ওই শিক্ষক প্রায় ১৪০ ঘণ্টা ধরে উচ্চস্বরে কালজয়ী সাহিত্য পড়ানোর জন্য রাতারাতি বিখ্যাত
হয়ে যান। এর মাধ্যমে নাইজেরীয় সংস্কৃতিতে তুলে ধরেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার
এই রেকর্ড দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
অন্যদিকে এই ইস্যুতে নাইজেরীয়দের সতর্ক
করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ। রেকর্ডের নেশায় ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে
আসার পরামর্শ দিয়েছে ওই সংস্থা।