বেতাগী (বরগুনা)
প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টুটুল খানের অবস্থান অবনতি হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাকা পোল এলাকায় তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। অভিযোগের তীর দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ারা হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত যুবলীগ নেতা টুটুল খান অভিযোগ করেন, জরুরি কাজে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম (৩২) দলবল নিয়ে তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় রফিকুলের
সহযোগী মো: মিরাজ গাজী (২৬), মো: মিজান গাজী (৩১), মো: রাসেল (২৬), মো: সুমন (২৭),
মো: খাইরূল ইসলাম (২৬), মো: সজীব (২৫) ও মো: নাঈম (২৮)সহ ৮-১০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে
এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে চলে যায়।
স্থানীয়দের
বরাতে ওসি বলেন, দুর্বৃত্তরা টুটুল খানের হাত-পা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে আহত
অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার লিখন বলেন, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ ও ফুলা জখম
আছে। ডান পায়ে মারাত্মকভাবে কোপ লেগেছে এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গলের ৯০ ভাগ কেটে গেছে।
উপজেলা যুবলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টুটুল খানের ভাই বেতাগী পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর মো: জসিম উদ্দিন
জানান, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালে পাঠানোর পর অবস্থার অবনতি হলে সেখান শনিবার ভোরে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর
করা হয়েছে। বর্তমানে সে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী
কেটে ফেলা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত
বহিষ্কৃত ওই ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে জানান, কে বা কারা
এ হামলা করেছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি পারিবারিক কাজে
এলাকার বাইরে আছেন।
বেতাগী থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ারা হোসেন বলেন,
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবুও ঘটনার
সঙ্গে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।