আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়ায় বাড়ছে সরিষা ফসলের চাষাবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পুর্বাঞ্চলে বাড়তি ফসল হিসাবে রবিশস্য সরিষার আবাদ করেছেন কৃষকেরা। তেলবীজ হিসাবে জনপ্রিয় সরিষার ফলন পাওয়া যায় ৭০ দিনেই। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই মিলবে সরিষার তেলবীজ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাঠে মাঠে চাষ করা হয়েছে সব রকমারি ফসল। মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে। যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু হলুদ আর হলুদ। এখনো আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অধিক ফলনের আশায় রয়েছে এই এলাকার কৃষকেরা। সরিষা ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু দেখা যায় সবুজের ফাঁকে হলুদের সমাহার। পথিকের নজর কাড়তে ফুলের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে মৌমাছির দল। কখনো কখনো সরিষা ক্ষেতে বসছে পোকাখাদক বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। দিনদিন নতুন জাতের সরিষা আবাদে ঝুকছে কৃষকরা। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা, শুবলী, বোয়ালকান্দি, চৌবাড়িয়া, শৈল্ল্যাপাড়া, নলবাড়িয়া, গজারিয়া, তালপুকুরিয়াসহ প্রায় সব এলাকাতেই সরিষার আবাদ হয়েছে, খামারকান্দি ইউনিয়ের ঝাজর, বিলনোথার, নলডিঙ্গিপাড়া, ঘোড়দৌড়, মাগুড়ারতাইর, খামারকান্দি, শুভগাছা, হুসনাবাদ, বোয়ালমাড়ি, বেড়েরবাড়ি, গাড়িদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ি, কাফুড়া, রনবীরবালা সহ ১০ টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে সরিষার আবাদ করছে কৃষকরা।

কৃষক রুহুল আমিন, শফিকুল ইসলাম, জেকের আলী, ফরহাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, সরিষা হলো লাভজনক একটি ফসল। কম খরচে কম সময় দিয়ে এ ফসল উৎপাদন করা যায়। এছাড়াও জমির উর্বরতা বজায় থাকে। শরিষা তুলে ইরি ধান লাগাতে সহজ হয়। তাছাড়া ভেজাল খাবার রোধে নিজেদের জমিতে উৎপাদনকৃত সরিষা ভেঙ্গে তেল তৈরী করে বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। সবদিক থেকে সরিষা একটি উপকারী ফসল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার সরিষার ফলন আরো ভাল হবে বলে আশা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নেই সরিষার আবাদ করা হয়। তবে খানপুর, খামারকান্দি, সুঘাট, মির্জাপুর ও গাড়িদহ ইউনিয়নে শরিষার আবাদ বেশি হয়। এবছর নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর জমি বেশি অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন জাতের সরিষা আবাদের জন্য কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যাতে করে অল্প সময়ে তারা বেশি লাভবান হতে পারে। ভোজ্য তেলের আমদানি কমানোর লক্ষ্যেই পরিকল্পিতভাবে বেশি জমিতে সরিষার চাষ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। 


আরও খবর



শাহজালালে ৪০ স্বর্ণবারসহ নভোএয়ারের গাড়িচালক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০টি স্বর্ণবারসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানি নভোএয়ারের গাড়িচালকসহ দুজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। আজ শনিবার তাদের আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) ও রিসিভার কামাল হোসেন (২৯)। হেলালের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে।

আজ বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে বিমানবন্দর এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নভোএয়ারের গাড়িচালক মো.হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর এপিবিএন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মতো আজকেও ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হন।

জিয়াউল হক বলেন, এরপর এপিবিএন ও এনএসআই সদস্যরা নভোএয়ারের গাড়িচালককে নজরদারিতে রাখেন। এ সময় নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা অটোরিকশার গতিরোধ করেন এবং তাদেরকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। এ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

বিমানবন্দর এপিবিএনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন জানিয়েছেন নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলাল তাকে এই স্বর্ণ দেন। এই স্বর্ণ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে তার ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আটক হন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর



বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তারের (১২) মৃত্যু হয়েছে। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয় ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আনতালিয়া কূটনৈতিক ফোরামের ৩য় দিনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে সাক্ষাত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তুরস্কের পর্যটন নগরী আনতালিয়ায় স্থানীয় সময় রোববার (৩ মার্চ) সকালে এ বৈঠকে আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফেরত চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি এ সময় নয়জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সত্তর জন পররাষ্ট্র বিষয়ক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফলভাবে আনতালিয়া কূটনৈতিক ফোরাম আয়োজনের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী হাছান বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দুই দেশের মধ্যে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের প্রস্তাব করেন যেখানে বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। তার তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দফতরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে দেওয়া প্রশংসাপত্রের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এবং ফোরামে উপস্থিতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের বৃহত্তর ভুমিকা কামনা করেন।

বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন যে ইউক্রেনের যুদ্ধ শীঘ্রই শেষ হবে এবং এইভাবে জ্বালানি, এলএনজি এবং ফসলের দাম কমবে, যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তুর্কি হোপ স্কুল নিয়ে তুরস্ক উত্থাপিত বিষয়ের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় উভয়ই শীঘ্রই তুর্কি হোপ স্কুল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নতুন নোট পাওয়া যাবে ব্যাংকের যেসব শাখায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) নতুন নোট বি‌নিময় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানায়, আগামী ৩১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এছাড়া, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকেও আলোচিত সময়ে ৫, ১০,২০, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে।

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা (মিরপুর-১), উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা কচুক্ষেত করপোরেট শাখা, দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানের এসএমই অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণী শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।


আরও খবর