বগুড়া জেলার
শেরপুর উপজেলার পুর্বাঞ্চলে বাড়তি ফসল হিসাবে রবিশস্য সরিষার আবাদ করেছেন কৃষকেরা।
তেলবীজ হিসাবে জনপ্রিয় সরিষার ফলন পাওয়া যায় ৭০ দিনেই। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই মিলবে
সরিষার তেলবীজ।
সরেজমিনে দেখা
গেছে, উপজেলার মাঠে মাঠে চাষ করা হয়েছে সব রকমারি ফসল। মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে
ভরে গেছে। যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু হলুদ
আর হলুদ। এখনো আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অধিক ফলনের আশায় রয়েছে এই এলাকার কৃষকেরা। সরিষা
ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু দেখা যায় সবুজের ফাঁকে হলুদের সমাহার।
পথিকের নজর কাড়তে ফুলের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে মৌমাছির দল। কখনো কখনো সরিষা ক্ষেতে বসছে
পোকাখাদক বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। দিনদিন নতুন জাতের সরিষা আবাদে ঝুকছে কৃষকরা। উপজেলার
খানপুর ইউনিয়নের শালফা, শুবলী, বোয়ালকান্দি, চৌবাড়িয়া, শৈল্ল্যাপাড়া, নলবাড়িয়া, গজারিয়া,
তালপুকুরিয়াসহ প্রায় সব এলাকাতেই সরিষার আবাদ হয়েছে, খামারকান্দি ইউনিয়ের ঝাজর, বিলনোথার,
নলডিঙ্গিপাড়া, ঘোড়দৌড়, মাগুড়ারতাইর, খামারকান্দি, শুভগাছা, হুসনাবাদ, বোয়ালমাড়ি, বেড়েরবাড়ি,
গাড়িদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ি, কাফুড়া, রনবীরবালা সহ ১০ টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে সরিষার
আবাদ করছে কৃষকরা।
কৃষক রুহুল
আমিন, শফিকুল ইসলাম, জেকের আলী, ফরহাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, সরিষা হলো লাভজনক
একটি ফসল। কম খরচে কম সময় দিয়ে এ ফসল উৎপাদন করা যায়। এছাড়াও জমির উর্বরতা বজায় থাকে।
শরিষা তুলে ইরি ধান লাগাতে সহজ হয়। তাছাড়া ভেজাল খাবার রোধে নিজেদের জমিতে উৎপাদনকৃত
সরিষা ভেঙ্গে তেল তৈরী করে বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। সবদিক থেকে সরিষা একটি
উপকারী ফসল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার সরিষার ফলন আরো ভাল হবে বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়নেই সরিষার আবাদ করা
হয়। তবে খানপুর, খামারকান্দি, সুঘাট, মির্জাপুর ও গাড়িদহ ইউনিয়নে শরিষার আবাদ বেশি
হয়। এবছর নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর জমি বেশি অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন জাতের
সরিষা আবাদের জন্য কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যাতে করে
অল্প সময়ে তারা বেশি লাভবান হতে পারে। ভোজ্য তেলের আমদানি কমানোর লক্ষ্যেই পরিকল্পিতভাবে
বেশি জমিতে সরিষার চাষ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।