বগুড়ায় মিথুন সরকার (২৮) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বগুড়া নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্ত মিথুন সরকার বগুড়ার শেরপুর থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। গত বুধবার (৯ আগস্ট) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। মিথুন সরকার শেরপুর জেলা সদরের বয়রা পাল পাড়ার বাসিন্দা।
মামলায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী নারী এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কের জেরে একজনকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু স্বামীর পরিবার বিষয়টি মেনে না নেয়ায় তিন মাসের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার।
কয়েক মাস আগে সেই বিয়ে নিয়ে পারিবারিক ঝামেলায় পড়ে ভুক্তভোগী নারী পুলিশের সহায়তা নেন। ওই সমস্যার সূত্র ধরে অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বর নেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মিথুন সরকার। পরবর্তীতে সেই নম্বরে যোগাযোগ করেন। এ সময় নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। গত ৩ জুন ওই তরুণীকে শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যান মিথুন। বিকেলে নিয়ে যান একজনের বাড়িতে। পরবর্তীতে সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন তিনি। সে সময় মিথুন সরকার ঈদুল আযহার পরে তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। গত ২৭ জুন এসআই মিথুন সরকারের সঙ্গে দেখা করতে শেরপুর থানায় যান ওই তরুণী। তখন তিনি জানতে পারেন মিথুন সরকার হিন্দু ধর্মের। পরবর্তীতে এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় হয়। কিন্তু মিথুন সরকার ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় শেরপুর থানায় মামলা করতে যান কিন্তু থানার ওসি মামলা না নিয়ে মিথুনের পূর্বপরিচিত একজনের মাধ্যমে আপস করার পরামর্শ দেয়। অত:পর মিথুন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মামলা করেন ঐ তরুণী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা মামলা না নেওয়া বা আপস করার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ আমার কাছে আসে নাই। আমি ওই তরুণীকে চিনি না।