শেরপুর থেকে আবু বকর সিদ্দিক
বগুড়ার শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ এ. কে. এম নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়ম ক্ষমতার অপব্যবহার কমিটি সদস্যদের সাথে অসৌজন্য আচরণ করায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন হওয়ার পর থেকে মো. নুরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় আর্থিক, দুর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ অনিয়ম ক্ষমতার অপব্যবহার কমিটির সদস্যদের সাথে অসৌজন্য আচরণ ও কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে রশিদমূলে ১৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৩৭ টাকা কলেজের ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে তার হাতে রেখেছেন। এসব অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় কলেজ অধ্যক্ষ্যের কক্ষে ১২ সদস্যের মধ্যে অধ্যক্ষ্যের অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের নিকট ৩ দিনের মধ্যে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, রেজুলেশন বহি, নোটিশ বহি, নিয়োগ পরীক্ষার কাগজ ও দলিল পত্র ব্যাংকের হিসাবের কাগজ জমা দেয়ার জন্য ৩৭.০২.১০৮৮.০০০০.০১৮.২২/১৫৯ নং স্মারকে গভনিং বডির সভাপতি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের সভাপতি ও জেলা আ.লীগের সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা পষিদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মজিবর রহমান মজনু জানান, দক্ষিণ বগুড়ার নারী শিক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান শেরপুর টাউনক্লাব লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজ। বেশকিছুদিন যাবৎ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ সহ অযোগ্যতার কারণে মো. নুরুল ইসলামকে সর্বসম্মতিক্রমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম বলেন বৃহস্পতিবার বিকালে গভর্নিং বডির যে সভা আহবান করা হয়েছে সেটা আমাকে জানানো হয়নি। আমি এখন বাহিরে আছি কলেজের ওই সভায় কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা আমার জানা নাই।