
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়া শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চক মুকুন্দ গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চক মুকুন্দ গ্রামে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তিকৃত আহতরা হলেন মির আহমেদ (১৮), সাইফুল ইসলাম (৫০), নায়েব আলী (৬০), জিয়া হাসান (৩১), অমেলা বেগম (৪৫), আবদুল মসজিদ (৪২), সার বানু (৪৩), বেগম আকতার (৪৫), শাহআলম ইসলাম (৩৬), অঞ্জনা বেগম (২৫), রজনী বেগম (২০) ও শাহ আলম (৩৫) বৈশাখী খাতুন (১২)। তারা সকলেই উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চক মুকুন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে আহত জিয়া হাসানের মা অমলা বেগম প্রতিবেশী আসাদুলের জায়গার উপর দিয়ে নিজের জায়গায় গাছের পাতা শুকাতে যান। এ সময় আসাদুল তাকে গালি গালাজ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইফতারের পর দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
আহত নায়েব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম (৪৫) বলেন, "সন্ধ্যার সময় আসাদুলের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে হামলা করে। আমার স্বামী তাকে অনেক অনুরোধ করে। কিন্তু তারা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তার হাতে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ সময় সঙ্গে বহিরাগত কিছু লোকজনও ছিল।
তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন আসাদুল ইসলাম বলেন, জিয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক আমাদের বাসায় হামলা করেছে। এতে আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ১২ বছর বয়সী মেয়ে আহত হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। তার জের ধরেই আজকে হামলা করেছে তারা।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খন্দকার দৈনিক আজকের দর্পণকে জানান, মারামারি বিষয়ে শুনেছি এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয় নাই অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।