বগুড়ার শাজাহানপুরে নিখোঁজের সাত দিনের মাথায় বুলবুল হোসেন বিজয় (৯) নামে তৃতীয়
শ্রেণির এক ছাত্রের গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত
ইটভাটা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,
দুপুর পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শিশু বুলবুল হোসেন বিজয় শাজাহানপুর উপজেলার
লক্ষ্মীকোলা গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। বিজয় গত ৫ অক্টোবর
বিকালে প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সঙ্গে মাদলা মালিপাড়ায় দুর্গাপূজার মেলায় যাওয়ার কথা
বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও বিজয় নিখোঁজ ছিল। স্বজনরা
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। শিশুর বাবা শহিদুল ইসলাম বিষয়টি শাজাহানপুর
থানা পুলিশকে অবহিত ও জিডি করেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের লোকজন জনৈক মাহমুদের পরিত্যক্ত ইটভাটার
চিমনির কাছে পচা দুর্গন্ধ পান। কাছে গিয়ে সেখানে নিখোঁজ শিশু বুলবুল হোসেন বিজয়ের
গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা এবং পচন ধরা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ
ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত শিশুর বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, তার তিন ছেলের মধ্যে বিজয় দ্বিতীয়। তিনি
দরিদ্র ভ্যানচালক; কারও সঙ্গে তার বিরোধ নেই। তাই কারা ও কী কারণে তার ছেলেকে নৃশংসভাবে
হত্যা করেছে তা বলতে পারছেন না।
শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকালে শিশু বিজয়ের গলার কাছে
থুতনিতে একাধিক ছুরিকাঘাত ও হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুপুর পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি। নিহতের পরিবারের সদস্যরাও এ ব্যাপারে
কিছু বলতে পারছেন না। সিআইডি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।