শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে ফুফুর সহযোগীতায় নাবালিকা কিশোরী মীম (১২) গণধর্ষনে স্বীকার হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফুফুসহ ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে আসামীদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আদালতে প্রেরণ করে।
এর আগে কিশোরী বাবা আব্দুল মোমিন বাদি হয়ে শেরপুর থানায় সোমবার (২৪ মে) রাত্রিতে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সুঘাট ইউনিয়নের চকসাদি গ্রামের মোসলেম হোসেন ছেলে আসলাম হোসেন (৩৯), মজনুর ছেলে মো: সোহাগ (২৫), নুরু হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫), বেল্লাল হোসেনের স্ত্রী নাবালিকার ফুফু মোছাঃ রাশেদা ওরফে আসেদা খাতুন (২৫)।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আব্দুল মোমিন তার মেয়েকে বাড়িতে মা ও বড় ছেলের নিকট রেখে স্ত্রীসহ কাজের জন্য ঢাকায় যায়। গত ৪ মাস পূর্বে ঢাকা হতে বাড়িতে এসে মেয়ের কিছু অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করি। আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করিলে সে নিশ্চুপ থাকে এবং আমাকে কোন কিছু বলে না। আমি আমার মেয়ের অস্বাভাবিক আচরণের বিষয়ে জানার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হই এবং স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আবার ঢাকা চলিয়া যাই। গত ১৩ মে রাত্রি অনুমান ৮টায় মেয়ে মোছাঃ মীম নিখোঁজ হয়। মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান পাই না। পরের দিন ১৪ মে সকালে আমার ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ রেনুকার বাড়িতে মেয়ে মীম যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে জানায়, তার ফুফু রাশেদা খাতুনের সহযোগিতায় আসলামের বাড়ীর একটু দূরে বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে আসলাম, সোহাগ, জাহিদুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এবং এর আগেও ফুফুর সহযোগিতায় আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ফুলবাড়ী এলাকার মৃত বাবর আলীর ছেলে মোঃ ভুট্টু মিয়া (৪৫), মৃত সোবাহান আলীর ছেলে মোঃ আলামিন (৩০), দর্জি মাসুদ (৩৫), পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে আব্দুল মোমিন জানান, আমি আসলামের (১নং আসামী) মুদি দোকানের সামনে দিয়ে যেতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি এর কারণ জিজ্ঞাসা করিলে আসলাম তার দোকান ঘরের ভিতর থেকে প্লাস্টিকের পাইপ নিয়া এসে আমাকে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে। আমার ডাক চিৎকারে আমার স্ত্রী ও এলাকাবাসী উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে আত্মীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার শেরপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, রাত্রিতে অভিযান চালিয়ে মামলার ৪জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং কিশোরী মিমকে ধর্ষণ পরিক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।