সড়ক ও জনপথ
বগুড়া অধিদপ্তরের আওতায় মোকামতলা-সোনাতলা ভায়া হরিখালি হাটশেরপুর সড়কে ২৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য
দৃষ্টিনন্দন আড়িয়ারঘাট সেতু নির্মাণে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব
হবে এমনটি আশা করছে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ সেতুতে র্দীঘদিন
বেইলি ব্রিজ থাকার কারণে পথচারি ও যানবাহন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতো। প্রায় ঘটতো
ছোট বড় দুর্ঘটনা। কৃষি ও গবাদিপশু সমৃদ্ধ ইউনিয়ন গুলো মাঠে মাঠে প্রচুর খাদ্যশস্য উৎপন্ন
হয়। কিন্তু সেতুটি খারাপ থাকার কারণে কৃষি প্রধান এসব এলাকার কৃষকরা কখনো তাদের কৃষিপণ্য
সঠিক দামে হাট বাজারে ক্রয়-বিক্রয়, সার-বীজসহ কোন ধরনের মালামাল আনা নেয়া করতে পারতো
না।
গ্রামের ছেলে
মেয়েরা শহরের স্কুল কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে হতো জীবনের ঝুকি নিয়ে। কেউ অসুস্থ হলে
চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে খুজতে হতো বিকল্প রাস্তা। তাতে সময় ও অর্থ বেশি লাগতো।
কৃষকরা তাদের
উৎপাদিত পণ্য বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হতো। এ নিয়ে স্থানীয়দের
মনে দুঃখের কোন শেষ ছিল না। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের আমলে সেতুটি নির্মাণে এগিয়ে
আসে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
এই সেতু নির্মাণে
মানুষের সহজ যাতায়াত নিশ্চিতের পাশাপাশি উৎপাদিত শষ্য সহজে শহড়ে বিক্রির সুযোগ হবে
এমনটি প্রত্যাশা এলাকার কৃষক ও জনগণের।
নবনির্মিত এই
সেতুটি ৩১শে মার্চ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যর আড়িয়ার ঘাট সেতু
নির্মাণে ব্যয় হবে ৪০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এছাড়া এই রাস্তায় খানপাড়া ৯৭ মিটার, কালিতলা
৪৭ মিটার, আগুনি তাইর ৪৭ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ কাজ চলমান। নির্মাণ ব্যয় হবে ৪৪
কোটি ।
বগুড়া সড়ক ও
জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানজানান, আড়িয়ার ঘাট সেতুসহ এ সড়কে আরও ৩টি সেতু নির্মাণে কয়েকটি উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের
সব দুর্ভোগের অবসান হবে। শহরের সাথে গ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে
মাইল ফলক হবে।