আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়নি অদ্যাবধি

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন হলেও অদ্যাবধি কাজ শুরু হয়নি। স্থান নির্বাচন, প্রকল্প পরিচালক বা ভিসি নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে কোন দৃশ্যমান অবকাঠামো না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে বগুড়ার আপামোর জনগণ ও শিক্ষা সংশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

জানা যায় চার বছরেরও বেশি সময় আগে দ্বিতীয় দফায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছিল।

বিশ বছরের ব্যবধানে চার বছর আগে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি বগুড়ায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকল্পে আইন প্রণয়ন করা হয়। দ্বিতীয় দফা এই আইন করার পরও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাসীনতায় বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি নেই বলে মনে করছেন বগুড়াবাসী।

প্রায় ২৪ বছর আগে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, যেহেতু বিজ্ঞান প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান প্রাগ্রাসর বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চা, বিশেষ করিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ পঠন-পাঠন ও গবেষণার সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ কল্পে বৃহত্তর বগুড়া জেলার জামালপুর নামক স্থানেবগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা আইন করা হইলো।

এই আইন বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ নামে অভিহিত হবে। সে সময় স্থান নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হলেও পরবর্তীতে আর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। এর দুই দশক বা বিশ বছর পর ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। ২০০১ সালে আইন করে গেজেট প্রকাশকরা হলেও ভিসি নিয়োগ বা প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়নি। এর ফলে সেই সময় বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আইন করা হলেও তার বাস্তবায়ন ২০ বছরেরও সম্ভব হয়নি।

এরপর ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রীসভায় খসরা অনুমোদন দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ব্যাপারে বগুড়ার শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে কোন কাগজপত্র বগুড়ায় আসেনি। প্রকল্প পরিচালক বা ভিসি নিয়োগও দেওয়া হয়নি। এমনকি জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য কোন চিঠি দেওয়া হয়নি। জায়গাও নির্ধারণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় বার ২০২০ সালের সিদ্ধান্তের পর ৪ বছর পার হলেও কোন অগ্রগতি নাই। দ্বিতীয় বারের মত বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত আসার পর বগুড়ার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আশায় বুক বেঁধেছিলো, কিন্তু এত দিনেও সেই আশার প্রতিফলন দেখেনি বগুড়াবাসী।

২০২৩ সালে একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ সদর আসনে বগুড়া জেলা আওয়াপমীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নেওয়ার ঘোষনা দেন। তিনি ওই সংসদের  শেষ পর্যায়ে প্রায় ৯ মাস সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।

তার গৃহিত পদক্ষেপে জনগণ ইতিবাচক ভাবে নিলেও একাদশ সংসদের মেয়াদকালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নূন্যতম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার প্রতিটি আসনে আওয়ামীলীগ ও মহাজোটের প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ার পর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে কোন সংসদ সদস্যই এ বিষয়ে কথা না বলায় হতাশ হয়েছে বগুড়াবাসী।

বগুড়ার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সাথে কথা বললে তারা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে কোন অগ্রগতি বা ভূমি অধিগ্রহণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন।


আরও খবর



মহান মে দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন এই মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। ওই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন কয়েকজন বিপ্লবী শ্রমিক। এই দিনটির স্মরণে বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বাণী দেওয়া হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংস্থা ও সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

মহান দিবসের সূচনা আজ থেকে ১২৭ বছর আগে মার্কিন মুলুকে। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্মসময় নির্ধারণের দাবি জানান। এ দাবি পূরণের সময় হিসেবে ১৮৮৬ সালের ১ মে নির্ধারণ করেন শ্রমিকরা। কিন্তু কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের এ দাবি কানে তোলেননি। তাই দাবি আদায়ে পহেলা মে শিকাগোতে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের জমায়েত ঘটে। একপর্যায়ে শ্রমিকদের দমাতে শক্তি প্রয়োগ করে পুলিশ। সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এতে এক শ্রমিক নিহত ও অনেকে আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই বছরের ৪ মে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় হঠাৎ বোমা হামলায় নিহত হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ। এতে নিহত হন ১০-১২ শ্রমিক। আহত হন আরও অনেকে।

সে দিন শ্রমিকদের আত্মদান বিফলে যায়নি। শিকাগো শহরের রক্তাক্ত ইতিহাস সারা বিশ্বে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে আলোড়ন তোলে। এ ঘটনার দুই বছর পর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসি বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেসে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সাল থেকে পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৮৯১ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।

সেই থেকে শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা দিনে আট ঘণ্টা করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই দিনটিকে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই দিনে ছুটির কথাও বলা হয়। সেই থেকে আজও মে মাসের প্রথম দিনটিকে (মে ডে) শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

কর্মসূচি : আজ ১ মে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও কর্মসূচি রয়েছে।


আরও খবর



হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। অনেক জায়গাই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাপদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়) এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

আজ হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনের সঙ্গে মিটিং করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে একটা হলো-বয়স্ক এবং বাচ্চারা প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গেতো আমাদের কারো হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা জানান, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে বাস, প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ভেতরে ঢুকে যায়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নামে সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তিনি সিদ্দিকী সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটিকে বাসটি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর