আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়ায় করোনা ভাইরাসে ১৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১১ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বগুড়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এ সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৩ জনের। 

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।

অন্যদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ও টিএমএসএস হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বাংলানিউজকে জানান, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শমিজেক) হাসপাতালের পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার মোট ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এতে ১০৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে, এছাড়া জিন এক্সপার্ট মেশিনে ২৬ নমুনায় ১৬ জন, এন্টিজেন পরীক্ষায় ১৩৮ জনের মধ্যে ৩৬ জন এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪১টি নমুনার মধ্যে ২৩ জনসহ মোট ১৮৩ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ নিয়ে বগুড়ায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭০৭ জনে দাঁড়ালো। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩৫ জন। এছাড়া নতুন সাত জনসহ মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৭ জনে এবং বর্তমানে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জন।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজম আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মকিমপুর গ্রামের মো. সোহাগ, একই গ্রামের হাবিয়া বেগম, শাহিনুর ইসলাম ওরফে নেরন, নাধন ও মত্ত ঢাকুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর। এদিকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মো. খলিল, আলী আকবর ও টুটুল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি সোহাগ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৪ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মাজমের লাশ সোহাগের চৌচালা টিনের ঘরের উত্তর-পশ্চিম পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেকা বেগম ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মো. আমিনুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এই রায় দেন। হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার।

তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা, খলিলুর রহমান খলিল ও মো. শাহজাহান। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।


আরও খবর



ডিইউজের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদ হোসেন।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে। ফলে সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন-আবদুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন-আকতার হোসেন, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ও খায়রুল আলম।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন-আশরাফুল ইসলাম, আসলাম সানী, নজরুল ইসলাম মিঠু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন- ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাঁধন কুমার সরকার, মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।

যুগ্ম সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন-আছাদুজ্জামান, এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মো. শাহজাহান মিঞা। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য লড়ছেন-মীর আফরোজ জামান, রেজাউল কারীম, সাকিলা পারভীন ও সোহেলী চৌধুরী।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও রাজু হামিদ। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আসাদুর রহমান, মাসুম আহাম্মদ ও রবিউল হক। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আমানউল্লাহ আমান, এম শাহজাহান সাজু ও মুহাম্মদ মামুন শেখ।

দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আইরিন নিয়াজি মান্না, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। কল্যাণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন- আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন ও শাহজাহান স্বপন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন- ইস্রাফিল হাওলাদার, এস এম বাবুল হোসেন, দুলাল খান ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ)। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন দীপা ঘোষ রীতা, সুমি খান ও সুরাইয়া অনু।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে ৮টি পদের জন্য লড়ছেন-অনজন রহমান, আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার সাদাত সবুজ, আনোয়ার হোসেন আকাশ, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, এ এম শাহজাহান মিয়া, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, জি এম মাসুদ ঢালী, নাঈম মাশরেকী, নাসরিন বেগম গীতি, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, রারজানা সুলতানা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজেদা হক, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী এবং সালাম মাহমুদ।

নিউজ ট্যাগ: ডিইউজে

আরও খবর



ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগা‌যোগ স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের বাসাইলে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ৩ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়েছে।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে ট্রেনটি জেলার বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া এলাকায় বিকল হয়। এ সময় টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আটকা পড়ায় ভোগান্তি পড়তে হয় যাত্রীদের।

বঙ্গবন্ধু পূর্ব রেলস্টেশনের টিকিট মাস্টার রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিকল ইঞ্জিনটি প্রথমে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। পরে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়।

এ বিষয়ে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) ওমর আলী বলেন, টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা থেকে ছেড়ে আসার ১৫ মিনিট পরই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে আর ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না। পরে ঢাকা থেকে একটি সাহায্যকারী ট্রেন এসে ওই ট্রেনটি উদ্ধার করে


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ‘সুবচন নির্বাসনে’র ১ম প্রদর্শনী মঞ্চায়িত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন থিয়েটার সার্কেলের নাট্যযাত্রার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে নাটক সুবচন নির্বাসনে’ মঞ্চায়িত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় দলের ৫৬তম প্রযোজনার ১ম প্রদর্শনীর এই নাটকটি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রয়াত নাট্যজন আব্দুল্লাহ আল মামুনের রচনায় গুণী নাট্যকার ও সঙ্গীত শিল্পী শিশির রহমানের নির্দেশনায় নাটকটিতে স্থানীয় গুণী শিল্পীরা অভিনয় করে।

নাটকটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র হীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা, প্রেসিডিয়াম সদস্য উত্তম সাহা।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববির সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহিন মোঃ আমান উল্লাহ্, নাট্যকার নির্দেশক জাহাঙ্গীর আলম ঢালী, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি প্রমুখ।

অভিনয়ে অংশ নেয় শিশির রহমান, আশরাফ আলী, মাশফিক শিহাব, রবিন ঢালী, সিমান্ত দাস, দিগন্ত দাস, মেহেরুন নেছা তন্নী, ইকবাল মাহমুদ, মো: শিপন, লোকনাথ দাস, কামরুল হাসান প্রমুখ।

নাটকটিতে ফুটে উঠেছে স্কুল মাস্টার বাবার বাঙালি সমাজের প্রচলিত চিরন্তন কিছু সুবচনে বিশ্বাস। আর তিনি চান তার ছেলে-মেয়েরাও যেনো ওই সব আদর্শেই বড় হয়। বাবা বিশ্বাস করেন- সততাই মহৎ গুণ’, লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে.... ইত্যাদি। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিক জীবন-সবক্ষেত্রেই সে দেখেছে বাবার শিখিয়ে দেয়া আদর্শের পরাজয়। স্বাধীনতার পর এভাবেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে আদর্শহীনতা, নীতিহীনতা, কপটতা, ভন্ডামি ইত্যাদি। আমাদের বর্তমান সমাজ, সংসার, পরিবার, রাষ্ট্র-সব ক্ষেত্র থেকেই সুবচন আজ নির্বাসনে। বিষয়টি আরো বেশি দৃশ্যমান আমাদের রাজনীতিতে।


আরও খবর