
বগুড়ায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হল সনাতন ধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ’র শুভ জন্মাষ্টমী। দিবসটি উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা জিলাস্কুল মাঠ থেকে বের হয়ে শহড়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জানা যায় দ্বাপর যুগে এ মহাপুণ্য তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে তিনি আবির্ভূত হন।
সনাতন শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হয়ে শ্রীকৃষ্ণ এদিন জন্ম নিয়েছিলেন মাতা দেবকীর গর্ভে। ছোটবেলায় তাকে সবাই আদর করে গোপাল বলে ডাকত। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এদিন শ্রীকৃষ্ণ বা গোপাল পূজার আয়োজন করা হয়। তিনি গোবর্ধন পর্বতকে এক আঙুলে তুলেছিলেন বলে তার আরেক নাম গোবর্ধন।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম (বার) পিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মজিবর রহমান মজনু, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান পরিষদ এর সভাপতি এন সি বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক তপন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলার সভাপতি সাগর কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় নির্মল, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের সহকারি প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দূল ওয়াদুদ শেখ, পরেশ সাংবাদিক এমদাদুল হক এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তগণ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শান্তিহীন পৃথিবীতে শান্তি আনতেই শান্তিদাতা শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব।
তার শিক্ষা হলো-অন্যায়কে পরাভূত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্মের সময় এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পাপ ও অরাজকতায় পরিপূর্ণ ছিল। নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শ্রীকৃষ্ণ মানব জাতির কাছে জীবন ধারণের অনন্য উদাহরণ রেখে গেছেন। তার বাণী হাজার হাজার বছর ধরে আলোড়িত করছে বিশ্বকে।
এদিন সব অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে অন্তরাত্মাকে জাগ্রত করার শপথ নিলেন কৃষ্ণপ্রেমীরা।