মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাবাশপুর লাবণ্যপ্রভা
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে তাঁরই এক সাবেক
ছাত্র। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বছর উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অপরাধে ওই ছাত্রকে বহিষ্কার
করা হয় বলে জানা গেছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বালিরটেক
বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় মিজানুর রহমানকে প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা
বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা গুরুতর হওয়ায়
ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাঁর মাথায় ১৫
থেকে ২০ টির বেশি সেলাই পড়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা খাবার হওয়ায় তাঁকে ঢাকায়
রেফার করা হয়েছে।’
খাবাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান
শিক্ষক আফতাব উদ্দিন জানান, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান স্কুলে
যাওয়ার জন্য বালিরটেক বাজারে আসেন। এসময় স্কুলের বহিষ্কৃত ছাত্র রাজু আহমেদ ও তার সহযোগীরা
প্রধান শিক্ষকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে আহত করে। প্রধান শিক্ষককে
প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওযায় তাকে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিন আরও
জানান, রাজু আহমেদ স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে তাকে সাবধান করা হলেও
সে সংশোধন হয়নি। ২০২২ সালে রাজু আহমেদকে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্কুল থেকে বহিষ্কার
করা হয। রাজুর বাবা শহিদুল ইসলাম খাবাশপুর কলেজের অফিস সহকারী পদে চাকরি করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আব্দুর রউফ জানান, প্রধান শিক্ষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোর ঘটনায় থানায় মামলা
হয়েছে। পুলিশ রাজুকে গ্রেফতার করার জন্য কাজ করছে।