আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিআরটিসির ‘চেয়ারম্যান পদক’ প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)র চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে বিআরটিসি অগ্রসর হচ্ছে। বিআরটিসিকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

বিআরটিসি পরিচালনা পর্ষদ সভায় প্রতি ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীকে চেয়ারম্যান পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আলোকে  কারিগর-বি (জেনারেল ও ট্রেড) ও কারিগর-ডি (জেনারেল ও ট্রেড)এ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৮ জন কারিগরকে বিআরটিসির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুরে দীর্ঘ একমাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়।

ভিন্ন চারটি গ্রুপে (ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন, অটো ইলেক্ট্রিক ও এসি সিস্টেম, মেশিনারিজ ও বডি) দুইজন করে মোট আটজন কারিগরকে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয় এবং তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থী মোঃ শাজাহান সম্রাটকে, (কারিগর-ডি সাধারণ) চেয়ারম্যান পদক এর জন্য নির্বাচিত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গাজীপুরে কারিগর-বি (জেনারেল ও ট্রেড) ও কারিগর-ডি (জেনারেল ও ট্রেড) পদে সদ্য যোগদানকৃতদের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ পরবর্তী সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মহোদয়।

সভায় প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন যে, এধরনের প্রশিক্ষণ তাদের কাজকে অনেক সহজ করে, নিজেকে দক্ষ করে তোলে এবং মনোবল বৃদ্ধি পায়। সভায় উপস্থিত সকল পরিচালক ও জিএমগণ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ বিষয়ে তাদের বক্তব্য রাখেন এবং সমাপনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন এধরনের প্রশিক্ষণে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কাজে আরো দক্ষ হবে এবং কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে নির্বাচিত চারজন প্রশিক্ষণার্থীর প্রত্যেককে সনদপত্র, সম্মানী এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।


আরও খবর



বিএসএমএমইউর ১২০ শিক্ষককে সনদ প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিচিং মেথডোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১২০ জন শিক্ষককে সনদ প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ র্মাচ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের মেডিকেল এডুকেশন ডিভিশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে এসব সনদ তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের মেডিকেল এডুকেশন ডিভিশন বিভিন্ন সময়ে ৪টি ব্যাচে ১২০ জন কর্মরত শিক্ষককে টিচিং মেথডোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আরও দক্ষ করে তোলা।

সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, হতাশার কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে। কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিল কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই-তো বাড়ছে। কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই, যে কিছু হয়নি। যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী (সাবেক) ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না। এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন, এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে। এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছ।

মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সে ব্যাপারে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, খালি ইনফ্লেশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে।

আয়কর আদায়ে ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবেন। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে। বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন। মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নস্যাৎ হয়েছে: আমু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। তবে কোন ষড়যন্ত্রই তাকে দেশপ্রেম থেকে বিচলিত করতে পারেনি। দেশকে স্বাধীন করে দেশের মানুষকে, তিনি পরাধীনের শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন। ঠিক তেমনি তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একইভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। সবকিছুই পিছনে ফেলে দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এভাবেই তিনি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মোকাবেলা করে সুষ্ঠভাবে, ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতিতে অংশীদারিত্ব ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।

রবিবার (৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি এসব কথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়াম্যান খান আরিফুর রহমান, সহ-সভাপতি ও নলছিটি উপজেলা চেয়াম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান শামসুল ইকরাম পিরু।

সংবর্ধিত আমির হোসেন আমু আরও বলেন, দেশের ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন জিয়াউর রহমান। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও হ্যাঁ-না ভোটের নামে ব্যালট পেপারে সিল মেরে মানুষের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। সেই জিয়াউর রহমান সৃষ্ট বিএনপি তত্ত্বাবধায়কের হাস্যকর দাবি করছে।

এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিলো। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। সেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। কারো ভয়ভীতিতে নয়, এই দেশ পরিচালিত হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা এ দেশের পবিত্র সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, জাতীয় চার মূলনীতিকে ভূলুন্ঠিত করে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা, দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান জ্যেষ্ঠ নেতা এমপি আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নতুন নিমৃত মুক্তমঞ্চ ফিতা কেটে উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



হলমার্ক কেলেঙ্কারি

তানভীর-জেসমিনসহ ১৮ জনের মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ১২ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২৮ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এদিন ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন পূর্বক দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত দুদকের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এদিন (৪ মার্চ) তৎকালীন ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও কেশব রায় চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন তাদের সাক্ষ্য শেষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন। গত ১২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগ গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ।

টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

এছাড়া সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা শাখার সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান। এর মধ্যে আসামি জামাল উদ্দিন সরকার, আলতাফ হোসেন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া সাইফুল, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল নাথ, তসলিম, সাইফুল, মেরী ও জাকারিয়া পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



এবার গাজা ইস্যুতে সামরিক ইউনিফর্মে আগুন দিলেন মার্কিন সাবেক সেনারা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা ইস্যুতে গায়ে আগুন দেওয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর আত্মহননকারী সদস্য অ্যারন বুশনেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেদের সামরিক পোশাকে আগুন দিয়েছেন আমেরিকার কিছু সাবেক সেনা সদস্য।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যে বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে বুশনেল গত রবিবার ওয়াশিংটন ডিসির ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার এই পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মার্কিন সাবেক সেনারা নিজেদের পোশাকে আগুন দেন। এর মধ্যদিয়ে মূলত তারা ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতিবাদ জানালেন।

শুক্রবার (০১ মার্চ) সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়- কয়েক ব্যক্তি একটি ট্র্যাশ ক্যানের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে তার মধ্যে নিজেদের সামরিক পোশাক ফেলে আগুন ধরিয়ে পোড়াচ্ছেন। সেখানে অবস্থান করা লোকজনকে ফিলিস্তিন মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা যায়। ট্র্যাশ ক্যানের ভেতরে বেশ কয়েক ব্যক্তি নিজেদের সামরিক পোশাক ফেলে পুড়িয়ে দেন। যেখানে সামরিক পোশাকে আগুন দেওয়া হয় সেখানে ফিলিস্তিন মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান সম্বলিত ব্যানার দেখতে পাওয়া যায়।

অ্যারন বুশনেল আত্মহত্যা করার আগে ফিলিস্তিন মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন। সেসময় তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, আমাদের শাসক শ্রেণি ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি তাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়।’


আরও খবর