‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে বিআরটিসি কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিআরটিসি’তে কর্মরত নারীদের তথ্যপঞ্জি ও স্মরণিকা-২০২৩’ -এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব ও মোড়ক উন্মোচন করেন বিআরটিসি’চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)।
সভায় উপস্থিত সকল পরিচালক ও জিএমগণ এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নারী দিবস উপলক্ষ্যে তাদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত জিএম (আইসিডব্লিউএস) ফাতেমা বেগম বলেন, ‘নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে আজকের পৃথিবী। সভ্যতার অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে নারী ও পুরুষের সমান অবদান অনস্বীকার্য। নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের একক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নের কথা কল্পনা করা যায় না।
বর্তমান বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) নারীদের যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিআরটিসি’তে কর্ম সংস্থান করে দিয়েছে এবং নারী বান্ধব কর্ম পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন।’
বিআরটিসি’তে কর্মরত নারীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সভায় উপস্থিত নারী কর্মীরা গান ও কবিতা আবৃত্তির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলে। চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন,‘বিআরটিসি’তে বর্তমানে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৮২ জন নারী কর্মী নিয়োজিত আছে। নারী কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য শুধু নারীদের নিয়ে ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এবং নানাবিধ সুবিধা প্রদানসহ দক্ষ নারী প্রশিক্ষক দ্বারা নারীদের ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পৃথক নামাজ ঘর ও ওয়াশরুমের ব্যবস্থাসহ নারী বান্ধব কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই ‘ডে-কেয়ার’ চালু করা হবে। বিশেষ কাজে দক্ষতা অর্জন করায় নারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বিআরটিসি’তে কর্মরত নারীরা বিআরটিসি’র অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিআরটিসি এখন অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে।’