আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিবাহবার্ষিকীতে দোয়া চাইলেন নাঈম-শাবনাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাই ছবির নব্বইয়ের দশকের তুমুল জনপ্রিয় জুটি ছিলেন নাঈম-শাবনাজ। চলচ্চিত্র নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী ছবির মাধ্যমে এই জুটির অভিষেক হয়। তারপর থেকে রুপালি পর্দায় দারুণ সাড়া ফেলে এই জুটি। নাঈম-শাবনাজ অভিনীত অধিকাংশ ছবিই ছিল ব্যবসাসফল। রুপালি পর্দার এ জুটি বাস্তবেও জুটি বাঁধেন। তাদের প্রেম পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর নাঈম-শাবনাজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ তারকা দম্পতির ২৮তম বিবাহবার্ষিকী পার হল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাঈম-শাবনাজ নামের একটি পেজ রয়েছে এই তারকা দম্পতির। বুধবার দুপুরে সেখান তাদের বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে দোয়া চেয়ে এই দম্পতি লেখেন, আমরা দুজনে দুজনার হাত ধরে আরও অনেকটা পথ চলতে পারি এই দোয়া চাই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নেক হেদায়েত দান করুন। আমিন।

নাঈম-শাবনাজ দম্পতি বর্তমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে দূরে আছেন। নাঈম মনোযোগী তার ব্যবসা নিয়ে, শাবনাজ ব্যস্ত সংসার নিয়ে। তারা জুটি বেঁধে ২০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জিদ, লাভ, চোখে চোখে, অনুতপ্ত, বিষের বাঁশি, সোনিয়া, টাকার অহংকার, সাক্ষাৎঘরে ঘরে যুদ্ধ

নিউজ ট্যাগ: নাঈম-শাবনাজ

আরও খবর



আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে হৃদয়কে শাস্তি দিল আইসিসি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে হতাশ বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অল্প ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে লংকানদের উড়িয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচে নুয়ান থুশারার বিধ্বংসী বোলিংয়ে আর সুবিধা করতে পারেনি দলটি। সিরিজ হারের পর দুঃসংবাদ পেলেন বাংলাদেশের ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে হৃদয়কে। এছাড়াও তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। রবিবার (১০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শাস্তির কথা জানায় আইসিসি।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ঘটনা সেটি। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই লংকান পেসার নুয়ান থুশারার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন হৃদয়। আউট হয়ে ফেরার পথে তিনি ঘুরে দাঁড়ান এবং আগ্রাসী ভঙ্গিতে লংকান খেলোয়াড়দের দিকে তেড়ে যান। পরে আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে মাঠ ছাড়েন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি। সংস্থাটির কোড অব কন্টাক্টের ২.২০ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। হৃদয় নিজের ভুল স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের দেওয়া সাজা মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

এবারই প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন হৃদয়। আইসিসির নিয়মানুযায়ী, ২ বছরের মধ্যে কেউ যদি ৪ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পায় তাহলে সেটিকে ধরা হয় সাসপেনশন পয়েন্ট। কোনো ক্রিকেটার দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেলে একটি টেস্ট অথবা দুইটি ওয়ানডে কিংবা দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (যেটি আগে আসে) নিষিদ্ধ হন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত চান ইমরান খানের প্রার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাত পোহালেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। তবে ভোটের আগমুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত করতে কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাই। খবর জিও নিউজের।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে লেখা এক চিঠিতে মাহমুদ খান বলেছেন, দেশের সংবিধান ও আইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেকটোরাল কলেজের কথা বলা হয়েছে। তবে ইলেকটোরাল কলেজ এখানো সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ জাতীয় পরিষদ ও সব প্রাদেশিক পরিষদে কিছু সংরক্ষিত আসন এখনো খালি রয়েছে। এসব সংরক্ষিত আসনে কেউ নির্বাচিত হননি। যদি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় তাহলে তাদের ভোটাধিকারকে অস্বীকার করা হবে।

পাকিস্তানে আগামীকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উভয় কক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়। জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন। এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মাহমুদ খান। আসিফ আলি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যৌথ প্রার্থী।


আরও খবর



রোজাদারের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার কী?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসজুড়েই ইফতারে সবাই বাহারি খাবার রাখেন। তার মধ্যে সব খাবারই কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক সময় দেখা যায়, খারাপ খাবারের মাধ্যমে ভালো খাবারের পুষ্টিগুণ আপনার শরীর পায় না। সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই মনে করেন, পেট ভরে যা ইচ্ছে তা-ই খাবেন।

যদিও সারাদিন না খেয়ে ফাস্টিং করার মাধ্যমে শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আপনি যখন রোজা ভেঙে ভুল খাবার খেয়ে ফেলবেন, তখন কিন্তু তা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

রমজানে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাহলে রমজানে কোন কোন খাবার পাতে রাখবেন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রমজানের সবচেয়ে ভালো ৫ খাবার সম্পর্কে-

কলা : কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা তৃষ্ণা নিবারণ করে ও দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। কলা ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের একটি দুর্দান্ত উত্স। রোজা ভাঙার পর কলা খেলে এর প্রতিরোধী স্টার্চ আপনাকে পূর্ণতা অনুভব করতে সহায়তা করে। ফলে কম খাবার খেয়েও পেট ভরাতে পারবেন আপনি। এটি শরীরও পুষ্টি পাবে।

খেজুর : সারাদিন রোজা রাখার কারণে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টির জন্য সবারই লোভ বেড়ে যায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন খেজুর। এটি একটি আদর্শ ডেজার্ট হতে পারে। খেজুরে প্রচুর অ্যানার্জি, ফাইবার ও আয়রন আছে।

খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় তা অল্প পরিমাণে খেলেও আপনি দ্রুত অ্যানার্জি পাবেন। ইফতারে দুটি খেজুর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে ও আপনার মিষ্টি তৃষ্ণাকে মেটাতে যথেষ্ট হওয়া উচিত।

গোটা শস্য : জোয়ার, বাজরা, ওটস ও রাগির মতো গোটা শস্য প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেট রাখে, ক্ষুধা নিবারণ করে ও শক্তি জোগায়। এগুলোতে প্রচুর জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। ফলে এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় ও শরীরও বেশি শক্তি পায়।

বাদাম : বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- ওমেগা ৩ ও ৬ এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা বোধ করায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

টকদই : রোজা রাখার ফলে খালি পেটে অ্যাসিড তৈরি হওয়ার কারণে শরীর প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। সেই প্রভাব নিয়ন্ত্রণে ইফতারে টকদই বেছে নিন। এতে থাকে প্রোবায়োটিক। যা হজমে সহায়ক। ইফতারে আপনি টকদই ও বিভিন্ন ফল দিয়ে একটি সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন। দীর্ঘ বিরতির পরে ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের লোভ বাড়তে পারে। এজন্য ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।


আরও খবর



অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টির লাশ বুঝে পেল পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর আগে সকালে ঢাকার রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে তার বলে, সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। তবে তার মরদেহ নানা জটিলতায় হস্তান্তর করা হয়নি মরদেহ।

তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মরদেহ রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে। তবে আজ তার মরদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মেয়ের মৃত্যুর খবরে ওইদিনই কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এর পরই বাধে বিপত্তি। সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী। পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ১ মার্চ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও ওই সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


আরও খবর