আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন জ্যাকলিন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন ২১৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। আপাতত দুই লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে আছেন তিনি। তবে নিয়মমাফিক আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। তাকে ২৫ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।

সুকেশ চন্দ্রশেখর সম্পর্কিত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত কয়েক মাস ধরেই চর্চায় জ্যাকলিন। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও কম বিতর্কে জড়াননি তিনি। জেল থেকে এখনও জ্যাকলিনকে লাভ লেটার লিখে চলেছেন সুকেশ। মঙ্গলবার (২৩ মে) অভিনেত্রীকে আইফা পুরস্কারে যোগ দিতে আবু ধাবি যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক।

আরও পড়ুন<< প্রকাশ্যে নায়িকা শিরিন শিলাকে জড়িয়ে ধরে ভক্তের চুমু!

২৫ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকবেন জ্যাকলিন। এরপর সেখান থেকেই সোজা ইতালির মিলানে যাবেন। ২৮ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শ্যুটিংয়ের কাজে মিলানে থাকতে হবে অভিনেত্রীকে। তার আবেদন মঞ্জুর করেছে কোর্ট।

গত বছর অগস্ট মাসে ২১৫ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অতিরিক্ত চার্জশিটে জানানো হয়েছে, জেলবন্দি জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকলিন। সুকেশের তোলাবাজির প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে ৭ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ইতোমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। জ্যাকলিনের পরিবারও সুকেশের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে, সুকেশ যে আদতে তোলাবাজ তা ভালোভাবেই জানতেন নায়িকা।

আরও পড়ুন<< কোরিয়ান ভাষায় রিমেক হবে প্রথম ভারতীয় ছবি ‘দৃশ্যম’

আদালতের নির্দেশে জ্যাকলিনের বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে আদালতের অনুমতি নিয়ে মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দেন অভিনেত্রী। লস অ্যাঞ্জেলস ইটালিয়াতে টেল ইট লাইক উওম্যান ছবির জন্য পুরস্কৃতও হন এই শ্রীলঙ্কান সুন্দরী।

দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংসের তরফে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলার তদন্ত শুরু করেন ইডি। সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা হাতিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুকেশ ও তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পল। তারপর থেকেই জেলবন্দি সুকেশ।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফরিদপুরে বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই সহোদর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ফরিদপুর সদরসহ মধুখালী উপজেলার বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর নিকটে এবং বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির টহলের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ অবস্থান করছে।

এর আগে সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হয় পাঁচ শতাধিক জনতা। আনুমানিক আধা ঘণ্টা স্থায়ী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মধুখালীর ঈদগাঁ ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি মহাসড়কে উঠে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে কামারখালী সেতুর দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা খণ্ড খণ্ড হয়ে মিছিল করতে থাকে। একাধিক ভাগে বিভক্ত বিক্ষোভকারী মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, নওয়াপাড়ার মোড়, মাঝিবাড়ি ও বাগাটের ঘোষঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

বাগাটের ঘোষঘাটে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি এনে অবরোধ করে এবং সড়কের মাঝে গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নওয়াপাড়ার মোড়ে একটি ইটভর্তি ট্রাক সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং একপর্যায়ে পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই জায়গায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর পুলিশের গুলি ও হামলার প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, পুলিশের হামলায় তাদের চারজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং বাকি একজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ওই মহাসড়কের মালেকা চক্ষু হাসপাতাল থেকে ফরিদপুরের দিকে এবং বাগাটের ঘোষঘাট এলাকা থেকে কামারখালী সেতুর দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ডুমাইনের পঞ্চপল্লীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালী উপজেলার পাইলট স্কুল থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। কোথাও বুঝিয়ে আর কোথাও টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে নিবৃত্ত করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হুসাইন বলেন, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহত বা জানমালের ক্ষতিসাধনের ঘটনা ঘটেনি।

নিউজ ট্যাগ: বিজিবি মোতায়েন

আরও খবর



মোজাম্বিকে নৌকা ডুবে ৯০ জনের বেশি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ১৩০ জন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা গেছে। 

নামপুলার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে দেশটিতে দেখা দেওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে নিহতরা অন্য কোথাও পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি সৈকতে বেশ কজনের লাশ পড়ে আছে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

গত বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউনিসেফের হিসেবে, চলামন প্রাদুর্ভাব গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে অন্তত ১৩ হাজার ৭০০ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে চোরাকারবারিদের নৌকা ডুবে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় উপকূলরক্ষী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

জীবিতদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, স্টিল-বটম বোটটি গিনি, বুর্কিনা ফাসো, মালি ও আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন মানুষকে নিয়ে রোববার রাতে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তারা বলেন, বুধবার সকালে নৌকাটি ডুবে যায়।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একটি ৬ মাস বয়সি শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। বেঁচে থাকা ছয়জনকে গুরুতর হাইপোথার্মিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাধারণত গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময় আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন নৌকাডুবির উদ্বেগও বাড়ে। তাই ইতালীয় বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী দাতব্য সংস্থার উদ্ধারকারী নৌকার  কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে দেয়।

ইতালির অতি-ডান-নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি দাতব্য নৌকাগুলোকে উদ্ধারের পর উত্তর বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম কমিয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে নৌকাগুলোকে আটক করছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ফেদেরিকো ফসি বলেন, গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। কারণ এ সময় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত নৌকা নিয়ে ইতালি যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, এই বছর এ পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালিতে আসার পথে ভূমধ্যসাগরে ৩৮৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প চালু করার পর থেকে ২৩ হাজার ১০৯ জন নিখোঁজ হয়েছে।


আরও খবর



সাংবাদিকদের শিকলে বাঁধার হুমকি দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি দিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে সংবাদ সংক্রান্ত ব্যাপারে ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাহিদুল হক খান ডাবলু তাকে ফোন দিলে এ কথা বলেন।

সাহিদুল হক খান ডাবলু বলেন, একটি নিউজের তথ্যের জন্য সকালে ইউপি চেয়ারম্যান রেশমা আক্তারকে কল দিয়ে পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে তিনি খেপে গিয়ে বলেন, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোনো সাংবাদিক আমার ত্রি-সীমানায় এলে তাকে আমি শিকল দিয়ে বেঁধে রাখব। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। আপনারা যাকে বলার বলেন। এমপি, মন্ত্রী যাকে পারেন বলেন।

হঠাৎ ইউপি চেয়ারম্যান রেশমার মুখে এমন কথা শুনে তাজ্জব হয়ে যান স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। একজন চেয়ারম্যানের এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। তবে কিসের ক্ষমতার জোরে চেয়ারম্যান এমন আচরণ করলেন তার অনুসন্ধান করছেন সংবাদকর্মীরা।

সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণের ব্যাপারে জয়কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, এ ব্যাপারে আপনার সাথে কথা বলতে আমি বাধ্য নই। এরপর তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।


আরও খবর



রাজধানীতে বাসায় ২৫ দিন শেকলে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় এক তরুণীকে ২৫ দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। ধর্ষণের পর তাকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফ্ল্যাটে বন্দি রাখা হতো। এভাবে পাশবিক যৌন নির্যাতনের পর তার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এই অপকর্মে তিন যুবককে সহায়তা করে এক নারীও। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ খবর পেয়ে গত শনিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

অভিযুক্তরা হলো– ভুক্তভোগী ওই তরুণীর কথিত প্রেমিক সান (২৬), তার বন্ধু হিমেল (২৭) ও রকি (২৯) এবং তাদের সহায়তাকারী সালমা ওরফে ঝুমুর। তরুণীকে উদ্ধারের পরপরই তারা পালিয়ে যায়। তবে গতকাল রাতে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র। আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মেয়েটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মেজো বোনের ঢাকার বাসায় থাকতেন তরুণী। মেজো বোনের স্বামীর মাধ্যমে মাসুদ নামে এক ব্যারিস্টারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে মাসুদ ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে জড়ান। ব্যারিস্টার তাকে সালমা ও অনি নামে দু’জনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের সঙ্গে মেয়েটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেন। ব্যারিস্টার মাসুদের পরামর্শে মাস ছয়েক আগে মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাড়ির চারতলায় ভাড়া নেন সালমা। বাসার খরচসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করতেন মাসুদ। তবে কিছু দিন পার হওয়ার পর ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাসুদ।

পরে সান নামে এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় করিয়ে দেয় সালমা। পরিচয়ের সূত্র ধরে সান মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলেও গত ৩ ফেব্রুয়ারি তরুণীকে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি সালমা জানত। এরপর আরও কয়েকদিন একই ফ্ল্যাটে ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। ২৭ ফেব্রুয়ারি একইভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে সান তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেয়। তবে বিয়ে না করলে থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললে সান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

গত ৫ মার্চ দুপুরে দুই বন্ধু হিমেল ও রকিকে নিয়ে ওই বাসায় যায় সান। তাকে সারপ্রাইজ’ দেবে বলে চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এ সময় সালমা খাবার আনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সানের কথায় চোখ বন্ধ করলে তারা তিনজন মিলে তরুণীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। হিমেলকে সেখানে রেখে অন্যরা শিকল আনতে দোকানে যায়। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে হিমেল। ওইদিন থেকে মেয়েটিকে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখে তারা। এভাবে আটকে রেখে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৫ দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। খাবার এবং বাথরুমে যাওয়ার সময় বাসায় থাকা সালমা শুধু পায়ের শিকল খুলে দিত। মোবাইল ফোনে ভিডিও করত সালমা।

পুলিশ জানায়, তরুণীকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে পর্নো ভিডিও তৈরি করতে থাকে এই চক্র। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্নো ভিডিও তাকে দেখানো হতো। শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মেয়েটি শিকলে বাঁধা অবস্থায় বাসায় একা ছিলেন। এ সুযোগে তিনি বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, একজন মেয়ে বাসায় আটকা আছে। উদ্ধারের জন্য চিৎকার করছেন। এরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই বাসায় যায়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। একই সময় ওই বাসা থেকে একাধিক ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের মোহাম্মদপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, উদ্ধার করার পর ওই তরুণী পাশবিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ভয়াবহ। এর অনেক কিছু ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি। এ ঘটনায় তিন যুবক ও এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তরুণী। সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর